চিকিৎসকের অভাবে শুক্রবার থেকে বন্ধ হল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের বর্হিবিভাগ। অর্ন্তবিভাগেও একই সমস্যায় রোগী ভর্তি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ জারি হয়েছে। শুক্রবার থেকে জটিল সমস্যা ছাড়া সার্জিকাল বিভাগে রোগী ভর্তি করা হবে না বলে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেন। কেবল সার্জিকাল নয়, শুক্রবার হাসপাতালের সাধারণ বর্হিবিভাগও বন্ধ ছিল। চিকিৎসকের অভাবে মেডিসিন বিভাগের বর্হিবিভাগ শনিবার বন্ধ থাকবে। সার্জিকাল ও সাধারণ বর্হিবিভাগ মিলিয়ে গড়ে তিনশোর বেশি রোগী রোজ আসেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রোগী যাতে সমস্যায় না পড়েন তাই শুক্রবার থেকে সার্জিকাল বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসকও ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কিছু জানাননি। শিগগিরি ব্যবস্থা নেব।” শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে নোটিস জারি করেছেন তাতে ‘পরবর্তী নোটিস জারি না করা পর্যন্ত’ সার্জিকাল বিভাগের বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকবে এবং অন্তর্বিভাগে রোগী ভর্তি ‘নিয়ন্ত্রণ’ করা হবে বলে জানানো হয়। এই নোটিসের প্রতিলিপি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা থেকে শুরু করে এক পদস্থ আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ৬ জন শল্যচিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২ জন রয়েছেন। বাকিদের কেউ অবসর নিয়েছেন, কেউ বা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। মাস তিনেক ধরে এই পদগুলি শূন্য হলেও কোনও চিকিৎসক সদর হাসপাতালে যোগ না দেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের অর্ন্তবিভাগে ১৩০ জন রোগীকে রাখার শয্যা রয়েছে। রোগীর চাপ বাড়লেও মেঝেয় রোগী রাখা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাত্র দু’জন চিকিৎসকের পক্ষে অর্ন্তবিভাগে রোগীদের চিকিৎসার পরে সকাল থেকে বর্হিবিভাগ চালানো সম্ভব নয়। একই সমস্যা রয়েছে সাধারণ তথা মেডিসিন বিভাগেও। সেখানে ৬ জন চিকিৎসকের পরিবর্তে রয়েছেন মাত্র তিন জন। সে কারণে সাধারন অর্ন্তবিভাগে রোগীর চাপ সামলে বর্হিবিভাগ চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শুক্রবার ও শনিবার সাধারণ বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকার পরে ফের কবে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গিয়েছে সাধারণ বিভাগের ক্ষেত্রেও একই ভাবে বর্হিবিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিল না। চিকিৎসকের অভাবে অর্ন্তবিভাগ আর বর্হিবিভাগ একসঙ্গে চালানো সম্ভব নয়। এদিন স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক না পেলে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না। তবে শুধু চিকিৎসক নয়, হাসপাতালের নার্স ও কর্মীদেরও অভাব রয়েছে। সবই বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
চিকিৎসকের অভাবে অচল হতে বসেছে কাঁথি ব্লাডব্যাঙ্ক। কাঁথি ও এগরা মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষের নির্ভরতার একমাত্র জায়গা এই ব্লাডব্যাঙ্ক। অথচ গত ফেব্রুয়ারি থেকে ব্লাডব্যাঙ্কে স্থায়ী কোনও চিকিৎসক নেই। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার তপন পালিত নিজেই বলছেন, চিকিৎসকের অভাবে রক্ত সংগ্রহের শিবির পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। ফলে ব্লাডব্যাঙ্ক চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ছে। চিকিৎসক না এলে কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো ব্লাডব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিতে হবে।” মহকুমা হাসপাতাল সূত্রের খবর, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের কাঁথি ব্লাডব্যাঙ্কে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও কয়েক মাসেও তিনি আসেননি। বেশ কিছু দিন ধরে এক জন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসককে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়ে কাজ চালানো হলেও বতর্মানে তিনিও অসুস্থ। ফলে ব্লাডব্যাঙ্কে আর চিকিৎসক নেই। সিএমওএইচ সুকুমার দাসও এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। তাঁর বক্তব্য, “আপাতত কাঁথি হাসপাতালের কোনও চিকিৎসককে দিয়েই হয়তো কাজ চালাতে হবে। রক্ত সংগ্রহের শিবির পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন কাঁথির সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক।” সুকুমারবাবুও হতাশ, কেননা স্বাস্থ্য দফতরে বার বার জানিয়েও ব্লাডব্যাঙ্কের জন্য নতুন চিকিৎসক এখনও পাওয়া যায়নি।
|
অজানা জ্বর সম্পর্কে বিশদে জানতে ফের ভগবানপুরের গ্রামে এল কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চার জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল। সিএমওএইচ সুকুমার দাস জানান, শুক্রবার দুপুরে মহম্মদপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলকণ্ঠপুর গ্রামে এসে জ্বরে আক্রান্তদের বাড়ির আশপাশ থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিরা।
|
ক্যানসার আক্রান্ত নবম শ্রেণির ছাত্রী বার্নপুরের বাসিন্দা পিঙ্কি মণ্ডলের হাতে ৫০ হাজার টাকা অনুদান তুলে দিয়েছে প্রবাসি বাঙালিদের একটি সংগঠন। সম্প্রতি বার্নপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহে এই টাকাটি তুলে দেন আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
ডায়াবেটিক সচেতনতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির আয়োজিত হল কেন্দা এরিয়ার নেতাজি আবাসিক অধিবেশন কক্ষে। এ দিন ৬৫ জনের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। |