কেন্দ্রের শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী প্রবেশিকা পরীক্ষা চলবে না। আবার লটারির মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থাও তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই অবস্থায় অন্য কোন পদ্ধতিতে স্কুলে ছাত্র ভর্তি করা যায়, সেই ব্যাপারে শিক্ষক সংগঠন এবং বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষের মতামত চাইবে স্কুলশিক্ষা দফতর। তার পরেই স্কুলে ছাত্র ভর্তি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা তৈরি হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব বিক্রম সেন।
২০০৯ সালে সংসদে পাশ হওয়া শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না। আর বৃহস্পতিবারেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, লটারির মাধ্যমে স্কুলে ছাত্র ভর্তির ব্যবস্থাও তুলে দেওয়া হবে। তা হলে ভর্তি হবে কী ভাবে, সেই বিষয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারের তরফে বলা হয়, স্কুলগুলি নিজেদের মতো করে পড়ুয়া ভর্তি করবে। কী ভাবে ভর্তি হল, স্কুলের তরফে তার বিবরণ শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দিতে হবে বলে ওই দিন জানিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবারেই বলেছিলেন, মুখ্যসচিব ও স্কুলশিক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য সরকার। ব্রাত্যবাবু শুক্রবার জানান, শীঘ্রই ওই নির্দেশিকা বেরোবে।
আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে জানুয়ারিতে। নতুন শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ২ জানুয়ারি।
অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব দ্রুত। স্কুলশিক্ষাসচিব বলেন, “কী পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তি করা যায়, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।
যত দ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে বলা হচ্ছে ওঁদের।” সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির নির্দেশিকা জারি করেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। জেলায় জেলায় তা পৌঁছেও গিয়েছে। সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি কবে হবে, তারও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় কী করণীয়, তা জানতে কয়েকটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ দিন স্কুলশিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করেন। উল্টে তাঁদের কাছেই ভর্তির পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। |