|
|
|
|
কংগ্রেসের আনা অনাস্থায় সায় তৃণমূলের একাংশের |
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অপসারিত হলেন দেগঙ্গায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
জোট পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি অপসারিত হলেন কংগ্রেসের আনা অনাস্থায়। শুক্রবার অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতিতে। ২৫-৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন সভাপতি মীরা মণ্ডল। পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যদের একাংশও সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল পেয়েছিল ১৬টি আসন। কংগ্রেস জয়ী হয় ১৫টিতে। অন্য দিকে, বামফ্রন্ট ৫টি এবং বিজেপি একটি আসনে জয়ী হয়। সে সময়ে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট করে বোর্ড গঠন করে। সভাপতি হন তৃণমূলের পম্পা দত্ত। কিন্তু বছর দেড়েকের মাথায় পম্পাদেবীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দলের নির্দেশেই তিনি পদত্যাগ করেন। নতুন সভাপতি হন মীরাদেবী। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনেন কংগ্রেসের ১৫ জন সদস্য। শুক্রবার ভোটাভুটিতে তৃণমূলেরও ন’জন সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
দেগঙ্গার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবদুল গনি দেওয়ান বলেন, “কাজ করার কোনও ক্ষমতা না থাকায় বাইরের লোকের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিলেন সভাপতি। উন্নয়নের কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তা ছাড়া, পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের সময়ে দু’দলের নেতারা বসে ঠিক করেছিলেন, প্রথম তিন বছর সভাপতির পদটি পাবে তৃণমূল। বাকি দু’বছরের জন্য সভাপতি পদ ছেড়ে দিতে হবে কংগ্রেসকে।” তাঁর দাবি, সেই মতোই তৃণমূলের সভাপতিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা না করায় অনাস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কংগ্রেস নেতার দাবি অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা ইসমাইল মল্লিক বলেন, “এমন কোনও শর্ত ছিল বলে আমার তো জানা নেই। গোটা ঘটনাটি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”
ভোটাভুটিকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরও ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূল নেতা তারাপদ ঘোষের বক্তব্য, শেষ দু’বছর কংগ্রেসকে সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথা হয়েছিল আগেই। তাঁর কথায়, “উনি (মীরাদেবী) পদত্যাগ না করায় সকলে মিলে আলোচনা করে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” অন্য দিকে, মীরাদেবীর কথায়, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। দল আমার পাশে আছে।” খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, অনাস্থায় যাতে দলের কেউ ভোট না দেয়, সে জন্য হুইপ জারি করা হয়েছিল। যারা ভোট দিল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কংগ্রেসের আচরণে ‘ক্ষুব্ধ’ জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “এ বার বসিরহাট পুরসভায় আমরা অনাস্থা আনব।” |
|
|
|
|
|