|
|
|
|
ক্লাবের চাঁদা চেয়ে হুমকির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
ক্লাবের বাড়ি সারানোর জন্য এলাকার একটি সংস্থার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। তারা তা দিতে রাজি না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় এবং বাড়িওয়ালা তাদের পক্ষ নেওয়ায় তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁকেও গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।
দুর্গাপুরের বেনাচিতির ওই সংস্থা অবশ্য শুক্রবার পর্যন্ত কোথাও কোনও অভিযোগ করেনি। কিন্তু পশুপতি মার্কেট লাগোয়া যে ভাড়াবাড়িতে সংস্থাটি চলে, সেটির মালিক প্রবীর সামন্ত দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও রাত পর্যন্ত মহকুমাশাসক তা হাতে পাননি। কলকাতায় তৃণমূল ভবনে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েও তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের বর্ধমান জেলা শিল্পাঞ্চলের সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
সংস্থার তরফে সুমন রায় জানান, গত ২২ অক্টোবর স্থানীয় একটি ক্লাব ১০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে রসিদ দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটি ‘স্বীকৃত ক্লাব’ না হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাঁদা দিতে বারণ করেন। সুমনবাবুর অভিযোগ, “সে কথা শুনেই ক্লাবের উত্তেজিত সদেস্যরা আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেয়। দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।” |
|
সেই ক্লাবঘর। নিজস্ব চিত্র। |
বাড়ির মালিক প্রবীরবাবুর অভিযোগ, ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যেরা ভাড়াটিয়া সংস্থাটি তুলে দিতে বলেছিল তাঁকে। তাতে রাজি না হওয়ায় নানা অশালীন কথা বলা হয়। তাঁর দাবি, “ক্লাবের ওই সদস্যেরা তৃণমূল সমর্থক। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে ওরা তৃণমূলের হয়ে এলাকায় প্রচার করেছে।” প্রবীরবাবু জানান, এ দিন বিকেলেই তিনি তৃণমূল ভবনে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়েছেন।
অভিযুক্ত ক্লাবের সভাপতি জে মির্ধা জানান, ক্লাব ভবন সংস্কার করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া বা হুমকি দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। তা হলে সংস্থাটিকে ১০ হাজার টাকার রসিদ দেওয়া হল কেন? ক্লাব সভাপতির দাবি, “রসিদ দেওয়া মানেই চাঁদা নেওয়া নয়।” দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক আয়েষা রানি এ জানান, অভিযোগ হাতে পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। |
|
|
|
|
|