মানসবাবু বলেন, “ওই এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষজনও এই নিয়ে ক্ষুব্ধ। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমি জঙ্গিপুরের সেচ দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে আর কোনও ঘরবাড়ি না ভাঙে।” তাঁর বক্তব্য, “যে সব ঠিকাদার এই সব কাজ করেছেন, দরকার হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলাশাসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আপাতত ভাঙন রুখতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে।”
ভাঙন দুর্গতদের অবশ্য প্রধান ক্ষোভ, ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও ত্রাণ পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনও খাবার মেলেনি। মেলেনি ত্রিপলও। জেলাশাসক বলেন, “আমি বিডিওকে নির্দেশ দিয়েছি, ভাঙন দুর্গতদের চিঁড়ে চাল ত্রিপল দিতে।”
ভাঙনরোধের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও। জেলাশাসক বলেন, “ভাঙনরোধের কাজে ওই এলাকায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আমি সেচ দফতরের পদস্থ কর্তাদের বারবার ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারপরেও ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি পাথরের স্পারের অংশ যে ভাবে ভেঙে পড়ল, তাতে মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক। |
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালির বস্তা ফেলা হবে ওই এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে যা পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে সাড়ে ৪ লাখ বালি বোঝাই বস্তা লাগবে। এই দিন জেলাশাসক ময়ার পদ্মাপাড়েই ফরাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সেচ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন। তখনই তিনি সেচ দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তার উদাসীনতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এই দিন জেলাশাসকের কাছে ক্ষোভ জানিয়েছেন লালগোলা পঞ্চায়েতের সভাপতি সাজাহান আলিও। তাঁর অভিযোগ, “তিন মাসের মধ্যে স্পার ভেঙে পড়ার পিছনে রয়েছে দুর্নীতি। বর্ষাকালে কাজ করার ফলেই এই অবস্থা।” এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামান বলেন, “দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতার অভাব রয়েছে। তার সঙ্গে ভাঙন রোধে দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক সক্রিয়তার অভাবও ক্ষোভের কারণ।” |