আরও পুলিশ মোতায়েনের দাবি বাগনানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
পুলিশ না-থাকায় বাগনান স্টেশনের সামনে নৈরাজ্য চলছে। থানা থেকে বাগনান স্টেশন রোড (উত্তর) ধরে স্টেশনের কাছে আসে বাস, অটো রিকশা, ট্রেকারগুলি। এখানে যাত্রী নামিয়ে সেগুলি বাসস্ট্যান্ডে চলে যায়। কিন্তু সকালে অফিসের সময়ে স্টেশনের সামনে এতটাই যানজট হয় যে বাস, অটো রিকশা, ট্রেকার এবং মোটরবাইক এখান পর্যন্ত আসতে পারে না। ফলে স্টেশন রোড (উত্তর)-এ গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে। শুধু অফিসযাত্রীরা নন, পথচারীরাও বিপাকে পড়েন। তাঁরা সামান্য রাস্তা হেঁটে পার হতেও তাঁদের অনেক সময় লাগে। স্টেশন রোডের সামনে থেকে প্রতি মহূর্তে কয়েকশো মানুষ যাতায়াত করেন। গাড়ি এবং মানুষের ভিড়ে এলাকায় নৈরাজ্য তৈরি হয়। সার দিয়ে গাড়ি ছাড়াও দাঁড়িয়ে পড়ে সাইকেল, রিকশা। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সকালের দিকে এখানে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়। অভিযোগ, পুজোর সময়ে কয়েকদিন ধরে সকাল ও সন্ধ্যায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পুজোর পরেই তুলে নেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। বাগনান থানা গণতান্ত্রিক নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অবিলম্বে স্টেশনের সামনের রাস্তায় সকালের দিকে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। জেলা পুলিশ জানায়, পুলিশকর্মী কম থাকায় এটা ঘটেছে। পুলিশ বাড়লে ফের ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
|
সিপিএমের জোনাল কমিটির নেতা গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির এক সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া বলেন, “একটি কোর্ট কেসের ভিত্তিতে মাস খানেক আগে তিলক ঘোষ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, সন্ত্রাস-সহ কয়েকটি অভিযোগ আছে।” সোমবার ব্যান্ডেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই সিপিএম নেতাকে। গোঘাটের সুন্দরপুর গ্রামের জিয়ারুল মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ আছে তিলকবাবুর বিরুদ্ধে। তিলকবাবু অবশ্য অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, দলের বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া। এই অবস্থায় তিলকবাবু লোকজন নিয়ে কাউকে মারধর করবেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জিয়ারুল বলেন, “দোষীদের ধরতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।
|
জগদ্ধাত্রীর শহরে ভিড় পঞ্চমীতেই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
গঙ্গাপাড়ের চন্দননগরে সোমবার, পঞ্চমীর দিন থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে রাস্তায় নেমে পড়লেন মানুষ। পুজো মণ্ডপগুলিতে রাত পর্যন্ত চলে শেষ মুহূর্তের কাজ। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে হুগলির এই শহরে প্রতি বছরই পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। আজ, ষষ্ঠী এবং পরের চার দিন সেই প্রবল ভিড় সামলানোর জন্য ১৬৮০ জন পুলিশকর্মী পথে নামবেন। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী সোমবার জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ৩০টি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। কোনও প্রয়োজনে বা কেউ নিখোঁজ হলে ওই বুথে যোগাযোগ করা যাবে। ২০টি জায়গায় বসানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট টিভি। পুলিশ মোটরবাইকেও নজরদারি চালাবে। ৬টি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে মেডিক্যাল টিমও। আজ, থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে শহরের জি টি রোডে। নামে ‘চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী’ হলেও এই পুজো ছড়িয়ে রয়েছে সংলগ্ন ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু এবং চুঁচুড়া শহরের একাংশেও। এ বার চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর ও মানকুণ্ডু মিলিয়ে ১৪২টি বারোয়ারি পুজো হচ্ছে। যার সবগুলিই রয়েছে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি’র আওতায়। এ ছাড়াও, বাড়ির পুজো এবং ছোট বারোয়ারি মিলিয়ে রয়েছে ৪০টি পুজো। বিশাল প্রতিমাই নয়, চন্দননগরে এই পুজোর সঙ্গে মিশে রয়েছে আলোর ভেল্কিও। এখানকার আলোক-শিল্পীরা এ বারও সেই চমক দিতে তৈরি। প্রতি বছরই পুজো উপলক্ষে পূর্ব রেলের তরফে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। জগদ্ধাত্রী পুজোতে মাততে তৈরি কৃষ্ণনগরও।
|
জামিন মঞ্জুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
জামিন পেলেন আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্ত। গত ২০ সেপ্টেম্বর বাইশ মাইল মোড়ে মারামারি বেধেছিল সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এক তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করেন, বিনয় দত্তের নেতৃত্বে সিপিএমের কিছু লোক তাঁকে খুনের চেষ্টা করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বিনয়বাবুকে। সোমবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। ছাড়া পাওয়ার পরে বিনয়বাবু বলেন, “আইনের উপরে আমার আস্থা আছে।” |