উত্তরের চিঠি

মহীপাল দিঘির অস্তিত্ব বিপন্ন
দক্ষিণ দিনাজপুর তথা বাংলার গর্ব পাল যুগের অন্যতম কীর্তি মহীপাল দিঘি আজ তার অস্তিত্বের শেষ সীমানায়। কুশমণ্ডি থেকে তেরো কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত মহীপাল দিঘি রাজা দ্বিতীয় মহীপালের অমর কীর্তি। গভীরতা ও দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি দক্ষিণ দিনাজপুরের সব থেকে বড় দিঘি। কিন্তু জনসংখ্যার লাগামহীন বৃদ্ধি ও প্রশাসনের অবহেলায় মহীপাল দিঘি আজ বিভিন্ন বেদনায় ভারাক্রান্ত। সেই সুপ্রাচীন নিদর্শন তো দূর অস্ত! কয়েক দশক আগে পর্যন্ত যে গাছ-গাছালি ঝোপঝাড় বাঁশবন দিঘির পাড়ে দেখা যেত, এখন আর তার বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই। এখন দিঘির পাড় দিয়ে অসংখ্য বাড়িঘর যা কেবলই জবরদখল বা বেদখলের নামান্তর। জলাভূমির বিস্তীর্ণ এলাকায় আল বেঁধে চলেছে কৃষিকাজ, যা দেখে মনে হতেই পারে বোরো ধানের সবুজ মাঠ। দিঘির চার দিকে রাস্তা তৈরির নামে উঁচু-উঁচু মাটির ঢিবি যা অনুচ্চ পাহাড় বা টিলার সমান্তরাল, তা রাতারাতি সমতলে পরিণত হয়েছে।
সুপ্রাচীন মহীপাল দিঘির দুরবস্থা

দিঘির অতীত রূপ হারিয়ে গিয়েছে।

মাটি কেটে নেওয়া চলছে অবাধে।
ভূমিক্ষয় ধ্বংসলীলার হাজারো ছাপ এখনও বর্তমান, মাটি নিয়ে কালোবাজারি করা কিছু ব্যক্তির সৌজন্যে। দিঘির উত্তর দিকে ব্রিটিশ আমলের নীলকুঠির কিছু নিদর্শন এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কথিত আছে যে, এই নীলকুঠির সঙ্গে মালদহের মদনাবতী নীলকুঠির যোগাযোগ ছিল। নীলকুঠির অনেকটা জায়গা এখন ইদ্গাহে পরিণত। কিন্তু এখনও মহীপাল দিঘির পাড়ে গেলে নাম-না-জানা অনেক গাছ-গাছালি দেখা যায়, নাকে ভেসে আসে হরেক বনফুলের সুবাস। শীতকালে দিঘি-ভরা অসংখ্য পদ্মফুলের শোভা থেকে সত্যি চোখ-কান বন্ধ করে থাকা যায় না। অথচ এই রকম ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মেলবন্ধন বরাবরই অবহেলিত। সরকার উদ্যোগী হলেই একটা উদ্যান তো গড়ে তোলা যেতে পারে। মহীপাল দিঘির তিন কিলোমিটার উত্তরে আয়রা পিকনিক গার্ডেন ও পূর্ব দিকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চান্দোইল ফরেস্ট বর্তমান। মহীপাল দিঘির বসতি যা আছে, তাকে আর না বাড়তে দিয়ে নীলকুঠিকে সঙ্গী করে আয়রা পিকনিক গার্ডেন ও চান্দোইল ফরেস্টের সহযোগী হিসেবে একটা ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে ভাল বই মন্দ হয় না। আশা করি, সরকার ও পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাদের সুনজর হতে আমাদের ও বহিরাগত পর্যটকদের আর বঞ্চিত করবে না।

প্রতিবাদ
দিলীপ ভট্টাচার্যের ‘ডুয়ার্সের সমস্যার দিকে তাকান’ (১-৮) নামাঙ্কিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানাই, শ্রীভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন যে, মালবাজার মহকুমা শহরে কোনও রেজিস্ট্রি অফিস নেই। কিন্তু গত ৬-৬-’১১ তারিখে মালবাজার পৌরসভাস্থিত ১৫ নং ওয়ার্ডে আনন্দপল্লি (পানোয়ার বস্তি)-তে জেলা অবর নিবন্ধকের করণ (অফিস অব দ্য এডিএসআর মাল) স্থাপিত হয়েছে। উক্ত অফিস উদ্বোধন করেন মাননীয় ডি টি শেরপা, আই এ এস, অতিরিক্ত জেলা সমাহর্তা (সাধারণ)।

রাস্তা সংস্কার
কুশমণ্ডি বি এস এন এল অফিসের পেছনের পাড়ার রাস্তাটি বহুদিন ধরে সংস্কার হয় না। ন্যূনতম নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষায় বিভিন্ন জায়গার নোংরা জল এর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি নরককুণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। এলাকার অধিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি। পঁয়ত্রিশ বছরে মাত্র এক বার পঞ্চায়েত রাস্তার পাশের একটি পুকুরের পাড় বাঁধানো ও কিছুটা রাবিশ ফেলেছিল। ব্যস্, ওটুকুই।



ছবি: বিপ্লবকুমার রায়


‘উত্তরের চিঠি’
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.