|
|
|
|
মোক্তার কংগ্রেসে, ‘ক্ষুব্ধ’ হলেও বিতর্কে নেই তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে গুলিচালনায় অভিযুক্ত মহম্মদ মোক্তারকে কংগ্রেস দলে নেওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। প্রায় ৭০০ অনুগামী নিয়ে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু ছেড়ে মোক্তার আনুষ্ঠানিক ভাবে শনিবারই কংগ্রেস এবং আইএনটিউসি-তে যোগ দিয়েছেন।
তবে জোট রাজনীতির ‘বাধ্যবাধকতা’ মেনেই প্রকাশ্যে বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় রবিবার বলেন, “আমরা বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না। এখন রাজ্য জুড়ে আমাদের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা ছাড়া, আমরা এখন ব্যস্ত, দলকে কী ভাবে আরও বেশি করে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায়, সেই কর্মসূচি রূপায়নে। আমরা ব্যস্ত সরকারের সঙ্গে দলের সমন্বয় রক্ষা করার কাজেও।”
তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য, যুব কংগ্রেস সভানেত্রী থাকাকালীন মমতাকে লক্ষ্য করে গুলিচালনার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন মোক্তার। এমনকী, বন্দর এলাকায় সিপিএমের পক্ষে বেশ কয়েক বার বিরোধীদের উপরে হামলার মূল ‘পাণ্ডা’ ছিলেন ওই মোক্তারই। রাজ্যে এবং কেন্দ্রে তৃণমূলের সঙ্গে জোট-সরকারের শরিক কংগ্রেস কী ভাবে সেই মোক্তারকে দলে নিল, তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন তা নিয়েই। তবে মোক্তার তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সম্পর্কে আমার কাছে কোনও তথ্য ছিল না। ঘটনা কী ঘটেছিল, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” মোক্তারের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগদান করিয়েছেন প্রদীপবাবুই।
|
জঙ্গি আন্দোলন নয়, ফের হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল নেতৃত্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোনও সংস্থায় ‘জঙ্গি আন্দোলন’ চলবে না বলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ফের হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। শনিবার সিইএসসি-র সদর দফতরে পদস্থ এক আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর প্রেক্ষিতে দোলা ওই নির্দেশের কথা ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও সিইএসসি-র ঘটনার ব্যাপারে ‘অসন্তুষ্ট’। দোলা বলেন, “সিইএসসি-তে ঘেরাওয়ের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি লোক পাঠিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিই। তৃণমূলের নাম করে যাঁরা এ রকম বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই পরিকল্পিত ভাবে দলের ক্ষতি করছেন। মতানৈক্য থাকলে তা মহাকরণে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।” শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবুও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এ রকম ঘটনা না-ঘটে, তার জন্য বৈঠকে কথা হতে পারে। |
|
|
|
|
|