|
|
|
|
|
|
 |
পেশা যখন জনস্বাস্থ্য |
কোনও দেশে সংবিধানে জনসাধারণের জন্য যে সব পরিষেবা অত্যাবশ্যক বলে ধার্য করা হয়, তার মধ্যে পাবলিক হেলথ বা জনস্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে বললে, জনস্বাস্থ্য-র লক্ষ্য হল রোগ নিরাময় করে মানুষের সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করা। এর জন্য চাই একাধিক প্রয়াস, যার শরিক হতে পারে সরকারি ও বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রই। এই পরিষেবায় জনসাধারণের স্বাস্থ্যরক্ষা বা স্বাস্থ্যোন্নতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণাও যুক্ত রয়েছে। আর ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অগুনতি, সেখানে এই বিষয়ে নিয়ে কাজের পরিধিও বিপুল।
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ায় (www.phfi.org) পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট (এক বছর) এবং হেলথ ইকনমিক্স, হেলথ কেয়ার ফিন্যান্সিং ও হেলথ পলিসি-তে (নয় মাস) স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব লোকাল সেল্ফ-গভর্নমেন্ট, মুম্বই (www.aiilsg.org) পাবলিক হেলথ সার্ভিসে দু’বছরের পূর্ণ সময়ের ডিপ্লোমা কোর্স করায়। এ ছাড়া কলকাতার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এ (www.aiihph.gov.in) পাবলিক হেলথ-এ ডিপ্লোমা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক হেলথ-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স করা যেতে পারে।
•পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়তে চাইলে ম্যানেজমেন্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রশন থেকে গবেষণা সব ধরনের সুযোগই থাকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে।
•সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ডব্লিউ এইচ ও (হু), ইউনিসেফ বা ডি এফ আই ডি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও কাজ করা যায়। |
 |
একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পরবর্তী কালে ‘ডেয়ারি টেকনলজি’ নিয়ে পড়তে চাই। কী ধরনের কোর্স করা যাবে? কোথায় কোথায় পড়তে পারি? গৌরব সরকার, হুগলি
ডেয়ারি টেকনলজি-তে ডিপ্লোমা থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর, পিএইচ ডি কোর্স পর্যন্ত করা যায়। ডিপ্লোমা কোর্সের সময়সীমা ২ বছর এবং বি এসসি বা বি টেক কোর্স করতে সময় লাগে ৪ বছর। স্নাতকস্তরে ডেয়ারি টেকনলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক) থাকা জরুরি। এ রাজ্যে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব অ্যানিমাল অ্যান্ড ফিশারি সায়েন্সেস (http://www.wbuafscl.ac.in)-এ ডেয়ারি টেকনলজি, ডেয়ারি মাইক্রো-বায়োলজি, ডেয়ারি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডেয়ারি কেমিস্ট্রি পড়ানো হয়। এখানে ডেয়ারি টেকনলজি-তে ৪ বছরের বি টেক, ২ বছরের এম এসসি/ এম টেক এবং ৩ বছরের পিএইচ ডি পড়ানো হয়। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে (http://www.apccollege.ac.in) দূরশিক্ষায় এই বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। ডেয়ারি টেকনলজি-তে বি টেক কোর্সে ভর্তি হতে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়া, ন্যাশনাল ডেয়ারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (http://www.ndri.res.in)-এ ডেয়ারি টেকনলজিতে ৪ বছরের বি টেক, ২ বছরের এম টেক এবং পিএইচ ডি করা যায়। ইন্দিরা গাঁধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রায়পুর (http://igau.edu.in/igkv)-এ ৪ বছরের বি টেক কোর্সে ৬ মাসের প্লান্ট ট্রেনিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণির আই এস সি-র ছাত্রী।
ভবিষ্যতে বায়োটেকনলজি নিয়ে পড়তে চাই। রাজ্যে কোথায় কোথায় পড়ানো হয়? চাকরির সুযোগ-ই বা কেমন? কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া
বায়োটেকনলজি বিষয়টিতে সাধারণত এম এস সি-তে অথবা বি টেক/ এম টেক পড়ানো হয়। এ রাজ্যে কিছু কিছু কলেজে স্নাতকস্তরে এই বিষয়টি শুরু হলেও ইউ জি সি স্নাতকস্তরে বায়োটেকনলজি কোর্সকে সে ভাবে স্বীকৃতি দেয় না। তবে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও নেই। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আসানসোল গার্লস কলেজ (দূরভাষ: ৩৪১-২২৫৪০৯৮/২২৫৬৪৪২), বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজ (দূরভাষ: ৩২৪২-২৫০৭৪১), সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ (৩৪৬২-২৫৫৫০৪), হুগলির রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয় (দূরভাষ: ৩২১১-২৫৫১০৪) প্রভৃতি কলেজে বায়োটেকনলজি-তে বি এসসি পড়ানো হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.caluniv.ac.in) বায়োটেকনলজিতে এম এসসি করতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। আসন সংখ্যা ১০টি। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, জীববিদ্যা, মাইক্রোবায়োলজি প্রভৃতি বিষয়ের ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারে। এ ছাড়া, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (www.jaduniv.edu.in), ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজি (www.wbut.net), কল্যাণী (www.klyuniv.ac.in), বর্ধমান (www.buruniv.ac.in), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (www.nbu.ac.in) ইত্যাদিতে বিষয়টিতে মাস্টার্স ডিগ্রি পড়ানো হয়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এসসি পড়তে হলে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
বায়োটেকনলজি পড়ে গবেষণা ও অধ্যাপনা ছাড়া নানা ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ও বেশ কিছু বায়োটেকনলজি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ আছে। |
|
 |
ফোকাস
সাধন কুমার সরকার
শিক্ষক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট |
|
ভবিষ্যতে মার্চেন্ট নেভি নিয়ে পড়তে চাই। যোগ্যতা কী লাগে? চাকরির সুযোগ কেমন? কোথায় পড়ব? সৌমেন রায়, কলকাতা
মার্চেন্ট নেভি-তে যোগ দেওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ। ছয় মাসের জি পি ক্রু ট্রেনিং নিয়ে দেশি-বিদেশি জাহাজে ডেক এবং ইঞ্জিন ক্রু পদে কাজ পাওয়া যায়। তবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও নটিকাল সায়েন্সের স্নাতক কোর্স করতে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পাশ করতে হবে। কলকাতার ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (আইএমইউ), নটিকাল সায়েন্সে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স আছে। কোর্স শেষে জাহাজে দেড় বছর কাজ করার পর কলেজে ছ’মাসের কোর্স করলে এই বিষয়ে বি এসসি ডিগ্রি পাওয়া যায়। এখানে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চার বছরের বি টেক কোর্স করতে আইআইটি জয়েন্ট পরীক্ষা দিতে হয়। কোচিন, বিশাখাপত্তনম, মুম্বই এবং কান্দলার আইএমইউ-তে বিভিন্ন ধরনের মেরিন কোর্স পড়ানো হয়। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট দিল্লি, তোলানি মেরিটাইম ইনস্টিটিউট পুণে, কোয়েম্বাটুর মেরিন কলেজ-এর মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও বিষয়টি পড়া যায়।
|
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
 |
|
|