|
|
|
|
|
|
আই আই টি >> ইঞ্জিনিয়ারিং |
অর্থাৎ, আই আই টি মানে কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং নয়, আরও অনেক কিছু। ম্যানেজমেন্ট
থেকে আইন, বহু বিষয় পড়া যায় আই আই টি খড়্গপুরে। স্বাতী ভট্টাচার্য। |
সামনে চা বাগান, ঘন সবুজ গাছের কোমর-ছোঁয়া গালিচা চলে গিয়েছে যতদূর চোখ যায়। মাঝেমাঝে দাঁড়িয়ে এক একটা শিরিষ গাছ। তার গায়ে লতিয়ে উঠেছে গোলমরিচ। ঘোর বর্ষায় পায়ের তলার ঘাসের কার্পেট থেকে মাথার উপরে পাতার চাঁদোয়া, সবই ঘন সবুজ।
দার্জিলিঙ? মোটেই না। অসম? উঁহু, তা-ও নয়। এ হল খড়্গপুর। আই আই টি ক্যাম্পাসের মাত্র চার কিলোমিটার দূরে ১৫ একর জায়গা নিয়ে চা বাগান। কৃষি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের গবেষণা চলছে, কেমন করে অনুর্বর জমিতে, চড়া গরমে, অল্প জলে উৎপাদন করা যায় চা। কোন প্রযুক্তিতে প্রসেসিং করলে তার স্বাদ-গন্ধ একেবারে অভিজাত দার্জিলিং বা অসম চায়ের মতো হবে। শুধু চা-ই বা কেন, কফিও রয়েছে। লাল লাল ফল, তার বীজ থেকে পাওয়া, গুঁড়ো কফির গন্ধ অতি উত্তম, বাজারচলতি ইনস্ট্যান্ট কফির চাইতে ঢের ভাল। সুগন্ধ আরও আছে - দারচিনি গাছের। ছালের একটু ছিঁড়ে হাতে ঘষলেই গন্ধ পাওয়া যায়। গাছগুলি বড় হচ্ছে জৈব সারের ব্যবহারে। কানু মুর্মু, তন্ময় সামন্ত, দিলীপ কুশওয়ার মতো পিএইচ ডি ছাত্ররা চায়ের ফলন আর চা পাতা তৈরির প্রযুক্তি নিয়েই কাজ করছেন।
ভারতে প্রাচীনতম আই আই টি তৈরি হয়েছিল খড়্গপুরে। ক’দিন আগে তার হীরক জয়ন্তীতে ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ষাট বছর পর আজও আমজনতার কাছে অপরিচিত রয়ে গিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের অনেক দিক। আইনের ডিগ্রি করা যায় এখান থেকে, গবেষণা করা যায় দর্শনে, পাঁচ বছর অর্থনীতি পড়ে এম এসসি ডিগ্রি পাওয়া যায় -- ক’জনই বা জানে? জয়েন্ট এন্ট্রান্স, ক্যাট বা গেট জাতীয় পরীক্ষা না দিয়েও আই আই টির ডিগ্রি পাওয়ার পথ আছে, সেও খুব বেশি লোকের নজরে নেই। জীবনে একবার কষে পড়াশোনা করে আই আই টি-তে ঢোকার চেষ্টা করে যারা হাল ছেড়ে দেয়, যারা বাঁধা পথে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাকরি করার চাইতে আঁতেপ্রেনিয়রশিপে আগ্রহী, যারা ভাষাতত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে চায়, তাদের সবার জন্য আই আই টি-র দরজা খোলা রয়েছে। কিন্তু অনেক খবরই থেকে যায় নজরের আড়ালে। |
|
দরজা খোলা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে |
আই আই টি খড়্গপুরে সব বিষয় মিলিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন রয়েছে ১৩০০। তার মধ্যে হাজারেরও বেশি আসন হল ‘মাস্টার্স ইন টেকনলজি’ বা এম টেক পড়ার জন্য। পঞ্চাশটিরও বেশি এম টেক কোর্স করানো হয় এখানে। যাঁরা পড়েন, তাঁদের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসেন আই আই টি-র বাইরে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে। পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রতাপ মহাপাত্র জানালেন, ‘আই আই টি থেকে যারা বি টেক করে, তাদের অধিকাংশ সরাসরি কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়। যারা গবেষণা করতে চায়, তারা বিদেশ যেতেই পছন্দ করে। তাই আমাদের এম টেক কোর্সে বাইরের ছেলেমেয়েরাই আসে বেশি।’ আশ্চর্য, অ্যাডমিশনের তিনটে রাউন্ড হওয়ার পরেও এম টেক কোর্সগুলিতে ১০-২০ শতাংশ আসন খালি থাকে প্রতি বছর। উপযুক্ত ছাত্র পাওয়া না গেলে আসন খালি রাখা হয়। সব এম টেক প্রোগ্রামগুলিই আসলে ‘জয়েন্ট এম টেক-পিএইচ ডি’ প্রোগ্রাম, জানালেন প্রতাপবাবু। দু’বছর পড়ার পর যাদের মোট গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (GPA) থাকে আট-এর বেশি, তারা চাইলে পিএইচ ডি করতে পারে। এম টেক-এর থিসিসটা আরও বিশদে লেখার সুযোগ পায়।
|
আইন পড়তে আই আই টি |
‘ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি ল’ পড়ার জন্য তিন বছরের কোর্স রয়েছে খড়্গপুর আই আই টিতে। চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং, কিংবা সায়েন্স বা ফার্মাসিতে মাস্টার্স, অথবা এম বি এ করা চাই ছাত্রদের, প্রথম বিভাগ নিয়ে। ‘রাজীব গাঁধী স্কুল অব ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি ল’-এর এই কোর্সটি করলে ‘ব্যাচেলর অব ল’ ডিগ্রি পাওয়া যায়। এর জন্য সর্বভারতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক এল স্যাট দিতে হয়, কিংবা আই আই টি গুলির নিজস্ব প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। আইনের কোর্সেও অনেক আসন খালি রয়ে যাচ্ছে - ৮০টি আসনের মাত্র অর্ধেক ভর্তি হয়েছে। তার একটা কারণ অবশ্য শিক্ষকের সংখ্যা এখনও যথেষ্ট নয়, তাই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখতে ছাত্রও নেওয়া হয় কম। তবে আবেদনপত্রও যে খুব বেশি জমা পড়ে এমন নয়, জানালেন প্রতাপবাবু। ‘অ্যাডমিশন ইন চার্জ হিসেবে দেখছি, ১৪০-১৫০ আবেদন জমা পড়ে।’ অথচ বাজারে এই কোর্সটির এখন চাহিদা খুব। ‘নলেজ প্রসেস আউটসোর্সিং’-এর প্রচুর কাজ আসছে ভারতে, কিন্তু তার জন্য যত কর্মী প্রয়োজন তার এক-দশমাংশও তৈরি নেই। কর্পোরেট জগতেও ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি ল-এর বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন যথেষ্ট। আবার আন্তর্জাতিক মানের কোর্স বলে এই ডিগ্রি পাওয়ার পর বিদেশেও চাকরি করছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী।
আইনের এই কোর্সটি বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার অনুমোদন পেয়েছে, তাই এখানকার ‘এল এল বি’ ডিগ্রি নিয়ে ভারতের যে কোনও আদালতে প্র্যাকটিস করা যায়।
|
|
ক্যাট দিয়ে এম বি এ |
ম্যানেজমেন্ট পড়তে হলে ২০১১ অবধি আই আই টি গুলির নিজস্ব পরীক্ষা ‘জয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট’ দিতে হত। কিন্তু ২০১২ থেকে ‘JMET’ উঠে যাচ্ছে, CAT পরীক্ষা দিয়েই ঢোকা যাবে আই আই টির ম্যানেজমেন্ট স্কুলে। ‘বিনোদ গুপ্তা স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট’-এ দু’বছরের কোর্স করা যায় চারটি সেমিস্টারে। যে ছাত্রদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, তাদের জন্য স্কলারশিপেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যে কোনও বিভাগে চার বছরের বি টেক, কিংবা যে কোনও বিষয় নিয়ে এম এসসি, এম কম করা থাকলে আবেদন করা যাবে, তবে ব্যাচেলর্স স্তরের পড়াশোনায় অঙ্ক বা স্ট্যাটিসটিক্স থাকা দরকার।
মানব সম্পদের নজরদারি
খড়্গপুর আই আই টি থেকে করা যায় ‘এম এসসি ইন হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট।’ ‘হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশাল সায়েন্স’ বিভাগের প্রধান কে বি এল শ্রীবাস্তব জানালেন, ‘এইচ আর’ নিয়ে সাধারণত যে সব এম বি এ কোর্স হয়, তার চেয়ে এটি অনেকটাই আলাদা। কারণ, প্রথম বর্ষ থেকেই অর্ধেক পাঠক্রম থাকে ‘এইচ আর’-এর উপর, দ্বিতীয় বর্ষে কেবল সেই বিষয়টিই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পড়ানো হয়। খড়্গপুরের ছাত্ররা কর্পোরেট জগতে এইচ আর কনসালটেন্সি, ট্রেনিং, রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কমপেনসেশন ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি কাজ সহজেই পেয়ে যায়। ভাল খবর হল, আগামী বছর থেকে ‘ক্যাট’ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রদের নেওয়া হবে, এবং দরজা খুলে যাচ্ছে যে কোনও বিষয়ের ছাত্রদের জন্য (এতদিন কেবল বিজ্ঞান বা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদেরই নেওয়া হত)। আসন সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০। তবে ছাত্র নেওয়া হয় খুব বাছাই করে - এ বছরও ৩০টি আসনের ১০-১১টি শূন্য রয়েছে।
|
বিজ্ঞান থেকে দর্শন |
ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিক্স এবং জিওলজি, এই চারটি বিষয়ে এম এসসি করার সুযোগ রয়েছে আই আই টিতে। যাদের বি এসসি পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস রয়েছে, তারা ‘জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট ফর এম এসসি’ (JAM) পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারে। এগুলিকে ‘জয়েন্ট পিএইচ ডি ডিগ্রি’ বলা হয় - নম্বর ভাল থাকলে একেবারে পিএইচ ডি ডিগ্রি নিয়ে বেরোয় ছাত্রছাত্রীরা।
আই আই টি-তে বিজ্ঞান পড়ার আকর্ষণ কী? প্রতাপবাবু বলেন, ‘এখানে শিক্ষকদের রিসার্চ খুব উন্নত, ভাল জার্নালে তাঁদের লেখা বেরোয়। তাঁদের সেই গবেষণা ক্লাসের পড়ানোতেও আসে। আমাদের ছাত্ররা নিজেরাই সেমিনার করে, এক একটা বিষয়ে নিজেরা জার্নাল স্টাডি করে প্রেজেন্টেশন করে। টেক্সট বইয়ের বাইরে গিয়ে নিজের ক্ষেত্রের সর্বশেষ কাজ কী, তা তারা জানে। এই সুযোগ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজে পাওয়া যায় না।’ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো, বিজ্ঞানেও নিজের বিষয়ের হাতে-কলমে প্রয়োগ দেখে ছাত্ররা।
এ ছাড়া শিক্ষকরা যে সব রিসার্চ প্রজেক্ট, কনসালটেন্সি প্রজেক্ট পান, ছাত্ররা সেখানে কাজের সুযোগ পায়। ফলে গবেষণার একটা অভিজ্ঞতা হয়, ডিজাইন কী করে করতে হয়, কী করে ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝে তাকে খুশি করতে হয়, এর একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়।
আই আই টি খড়্গপুরের ‘হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স’ বিভাগটিরও এ বছর হীরক জয়ন্তী। এখানে পি এইচ ডি করা যায় সাইকলজি, ফিলজফি, সোশিয়োলজি, ইংলিশ লিঙ্গুয়িস্টিকস এবং লিটরেচার, কালচার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিষয়গুলিতে। দর্শনের অধ্যাপক ছন্দা চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে ছাত্রদের অনেক বিভাগের সঙ্গে কাজের সুযোগ মেলে, ফলে গবেষণার বিষয় বেছে নেওয়ার এবং কাজ করার ব্যাপারে অনেকটা স্বাধীনতা পাওয়া যায়।’ যারা ‘গেট’ পরীক্ষা দিয়ে ফেলোশিপ পাচ্ছে, অথবা ‘জুনিয়ার রিসার্চ ফেলোশিপ’ পাচ্ছে, কেবল সেই ছাত্রদেরই নেওয়া হয়। এখানে গবেষণা করে ডিগ্রি পাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা আই আই টি, আই আই এম-এর মতো শীর্ষ সারির প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সুযোগ পায়।
|
পাঁচ বছরে অর্থনীতি |
ভারতে দুটি আই আই টি অর্থনীতিতে এম এসসি ডিগ্রি দেয়, কানপুর এবং খড়্গপুর। উচ্চ মাধ্যমিকের পর জয়েন্ট এন্ট্রাস দিয়ে ঢুকতে হয়। পাঁচ বছরের ‘ইন্টিগ্রেটেড’ কোর্স। কোর্সের পরিকল্পনা মূলস্রোতের কলেজগুলিতে অর্থনীতির বি এ-বি এসসি কোর্স থেকে অনেকটাই আলাদা - প্রথম বর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের সঙ্গে একই ক্লাস করতে হয়। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কমপিউটেশন পদ্ধতির মৌলিক বিষয়গুলি শিখতে হয়। পরের বছর থেকে অর্থনীতির পাঠক্রম শুরু। ‘হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স’ বিভাগের প্রধান কে বি এল শ্রীবাস্তব বললেন, ‘আমাদের ছাত্রদের জোর দিয়ে শেখানো হয় ম্যাথমেটিক্যাল মডেলিং, স্ট্যাটিসটিক্স, ইকনমেট্রিক্স এবং ফাইনান্সিয়াল ইকনমিক্স। এর ফলে ওরা বি টেক ছাত্রদের চেয়েও ভাল কাজ পেয়ে যায়।’ আজকাল বহু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র বি টেক-এর পর ফাইনান্সে এম বি এ করতে যায়। তার চেয়ে এই কোর্সটি করা বেশি কাজের হতে পারে বলে শ্রীবাস্তব মনে করেন।
|
চাষবাস, খাওয়াদাওয়া |
খড়্গপুরে চা, কফি বানাচ্ছে এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড টেকনলজি বিভাগ। তার জন্য বিশেষ মেশিন, বিশেষ সার তৈরি হয়েছে, জানালেন অধ্যাপক বিজয়চন্দ্র ঘোষ। ‘আধুনিকতম প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কৃষি বিভাগের কাজ হয়। মেকানিক্যাল, এয়ারোস্পেস, মেটালার্জি, বায়োটেকনলজি, সব বিভাগের অধ্যাপক-গবেষকরা কৃষি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। এখানে কাজের প্রকৃতি ‘ইন্টিগ্রেটেড’ - একটা বিষয়ে নানা বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন। এটা আর কোথাও পাওয়া মুশকিল।’ কৃষিপ্রযুক্তি বিভাগ আছে কেবল খড়্গপুরে, আর কোনও আই আই টি-তে নেই। ‘আমাদের টিচিং প্রোগ্রাম খুবই উন্নত, উন্নতমানের কর্মী তৈরি করার উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয়,’ বললেন বিজয়বাবু। পাশ করার পর ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি, ফার্ম মেশিনারি ইন্ডাস্ট্রি, কিংবা বিদেশে গবেষণার কাজ পান ছাত্ররা। প্রায় চল্লিশজন শিক্ষক, একশোজন পি এইচ ডি গবেষক রয়েছেন এই বিভাগে, নানা ধরনের গবেষণা প্রকল্পে। চার বছরের বি টেক, পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম টেক, এবং পিএইচ ডি করা যায় এখানে।
|
|
প্রজেক্ট থেকে পড়াশোনা |
নানা রিসার্চ প্রজেক্টে ভাল গবেষক কর্মীর দরকার হয়। খড়্গপুর আই আই টি-র ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে তার আবেদন চাওয়া হয়। এই গবেষকরা কাজ করতে করতে ‘মাস্টার অব সায়েন্স বাই রিসার্চ’ ডিগ্রি পেতে পারে। এই পাঠক্রমে গবেষণার ভাগ বেশি, কোর্সের অংশ কম। এ বছর ৩৫জন ছাত্র-ছাত্রী ‘এম এস’ ডিগ্রি পেয়েছে। এই ডিগ্রি পাওয়ার পর পিএইচ ডি প্রোগ্রামের জন্যও নাম লেখানো যায়। যারা জয়েন্ট এন্ট্রাস, ক্যাট বা এল স্যাট-এর মতো কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাননি বা ভাল নম্বর পাননি, তাঁদের জন্য আই আই টি-র ডিগ্রি পাওয়ার এই রাস্তাটি খোলা রয়েছে। |
ছবি: কিংশুক আইচ |
|
|
|
|
|