রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একাধিক রুটে অবৈধ ভাবে চলাচল করছে বহু বাস। এমনই অভিযোগ কান্দি যাত্রী পরিবহণ মালিক কল্যাণ সমিতির। ওই বাসগুলি চিহ্নিত করে বাসমালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ১৪ অক্টোবর মুর্শিদাবাদের পরিবহণ অধিকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই সংগঠনের তরফে।
অভিযোগ, কেবলমাত্র কান্দি মহকুমাতেই নয় জেলা জুড়েই এই অবৈধ রুটে বাস চালানোর রমরমা। জেলায় প্রায় দেড়শো বাস এই অবৈধ রুটে যাতায়াত করে। প্রশাসন সেই ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। ফলে যে সকল বাস বৈধ রুটে বাস চালাচ্ছে, তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে তার থেকেও বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
যে সব বাস এই অবৈধ রুটে যাতায়াত করছে তাদের সকলের বৈধ অনুমতিপত্র নেই। যে কোনও একটি রুটের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাস বেআইনি ভাবে অন্য রুটেও যাতায়াত করছে। ফলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে ওই বাসের যাত্রীরা কোনও রকম সাহায্য পাবেন না।
ওই সংগঠনের তরফে কান্দি মহকুমার ১১টি এই রকম বাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগ, এক-একটি বাস যেকোনও একটি রুটের লাইসেন্স পেলেও তারা আরও তিনটে রুটে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে। যেমন কান্দি-জঙ্গিপুর, জঙ্গিপুর-কান্দি, বহরমপুর-রামপুরহাট আবার রামপুরহাট-বহরমপুরের রুটে চলছে একই বাস।
কান্দির এক বাস মালিক আব্দুল কালাম বলেন, “আমার বাস কেবলমাত্র রামপুরহাট-বহরমপুর রুটেই চলে। বেআইনি ভাবে অন্য রুটে বাস চালানো হয় না। অভিযোগের কথা আমিও শুনেছি। প্রশাসনকে প্রয়োজনে আমার বাসের বৈধ নথিপত্র দেখাতে পারি। প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নিক। তবে অভিযোগ একেবারে মিথ্যা নয়। অনেক বাসই অবৈধ রুটের নথি নিয়ে রমরমা কারবার চালাচ্ছে। সে কারণে আমরা যারা নিয়ম মেনে বাস চালাচ্ছি তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। একই রুটে অনেক বেশি বাস যাতায়াত করায় যাত্রী সংখ্যা কমছে।”
কান্দি যাত্রী পরিবহণ মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি অহিভূষণ দত্ত বলেন, “অবৈধ রুট ও বেআইনি যানবাহন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন। বিষয়টি জেলা পরিবহণ অধিকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।” মুর্শিদাবাদের পরিবহণ অধিকর্তা মিলন গোরাক অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।” |