টুকরো খবর |
এক বছরে ৫ হাজারেরও বেশি শিশুর ধর্ষণ ভারতে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
গত এক বছরে ভারতে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু শিকার হয়েছে যৌন নির্যাতনের। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে এই দেশে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে ৫৪৮৪ শিশুকে। আর ধর্ষণ অথবা যৌন নির্যাতনের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৪০৮ শিশুর। গত বছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো। শুধু যৌন নির্যাতন নয়, এখানে শিশু অপহরণের সংখ্যাটাও চমকে দেওয়ার মতো। ২০১০-এ মোট ১০,৬৭০ শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গত এক বছরে মেরে ফেলা হয়েছে ৩১৫ শিশুকে। মধ্যপ্রদেশে ১১৮২ শিশুকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এই দুই রাজ্যই শিশুদের নিপীড়নের ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রয়েছে। এর পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২১১ শিশুকে। বিহারে সেই সংখ্যাটা ২০০ আর মধ্যপ্রদেশে মেরে ফেলা হয়েছে ১২৪টি শিশুকে। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশে যথাক্রমে ৭৪৭, ৪৫১, ৪৪৬ শিশুকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। ছত্তীসগঢ় আর রাজস্থানে ধর্ষিত যথাক্রমে ৩৮২ এবং ৩৬৯ জন শিশু। দিল্লিতে ধর্ষণের শিকার ২৯ জন শিশু। খুন হয়েছে ৩০৪ জন। দেশের মধ্যে রাজধানীতেই শিশু অপহরণ সব চেয়ে বেশি, ২৯৮২ জন। তার পরেই রয়েছে বিহার, ১৩৫৯ জন শিশু অপহৃত হয়েছে এই রাজ্যে। এর পরে শিশু অপহরণের ক্ষেত্রে যথাক্রমে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (১২২৫), মহারাষ্ট্র (৭৪৯), রাজস্থান (৭০৬), অন্ধ্রপ্রদেশ (৫৮১) এবং গুজরাত (৫৬৫)।
|
সিএজি সাক্ষ্য দিতে চান জেপিসিতেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
|
বিনোদ রাই |
টু-জি কেলেঙ্কারিতে রাজস্ব ক্ষতির মোট পরিমাণ নিয়ে বিতর্ক মেটাতে যৌথ সংসদীয় কমিটিতেও (জেপিসি) হাজির হতে চান কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বিনোদ রাই। সম্প্রতি জেপিসি-কে লেখা এক চিঠিতে বিনোদ জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা সর্বদাই এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য তৈরি। সিএজি এবং তাঁর সহকারী রেখা গুপ্ত আগামিকাল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির কর্তাদের সামনে ব্যাখ্যা দেবেন, কী ভাবে টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টনে অনিয়মের ফলে সরকারের এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
যদিও সিএজি যে ভাবে এই ক্ষতির এই পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টু-জি মামলার কিছু অভিযুক্ত। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষতির পরিমাণ স্থির করার সময় নিজেদের অডিটের মতকেই গুরুত্ব দেয়নি সিএজি-র দফতর। তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন করে ওই নথি হাতে পান টু-জি মামলার ওই অভিযুক্তরা। তার ভিত্তিতে তাঁদের বক্তব্য, টু-জি কেলেঙ্কারিতে ২ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার ক্ষতির হিসেব দেন ডিরেক্টর জেনারেল (ডাক ও টেলি-যোগাযোগ)। কিন্তু তার পরেও সিএজি কী ভাবে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার হিসেব প্রকাশ করলেন, সে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন তিনিই। পিএসি তাই কাল বিনোদ রাইদের পাশাপাশি আর পি সিংহেরও সাক্ষ্য নেবে আলাদা করে।
|
এসপিজি-র নতুন প্রধান |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা ‘এসপিজি’-র প্রধান কে দুর্গা প্রসাদ হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন বি ভি ওয়াংচু। আগামিকাল ওয়াংচু অবসর নিচ্ছেন। তিনিই প্রথম যিনি সব চেয়ে বেশি, সাত বছর ধরে এই দায়িত্বে রয়েছেন। গাঁধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার ছাড়াও বর্তমানে সনিয়া গাঁধী এবং তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে এসপিজি। ১৯৮১ সালের আইপিএস অফিসার কে দুর্গা প্রসাদ বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের অতিরিক্ত ডিজিপি (ক্রীড়া)-র দায়িত্বে রয়েছেন। ২০০৮ সালে কোবরা অভিযানের সময় মাওবাদীদের সঙ্গে এক সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন প্রসাদ।
|
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রবিবার ফের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সব রাজ্যের রাজ্যপালদের সম্মেলনে এ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানান তিনি। মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই গত ২০ মাসে মোট ১৩ বার সুদ বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেই তা পরিষ্কার। গত ১৫ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১.৪৩ শতাংশে। সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিও ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এ দিন মনমোহন জানান, দ্বাদশ যোজনায় কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হবে। তত দিন পর্যন্ত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পদক্ষেপ করবে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি, দেশের আর্থিক বৃদ্ধি যাতে ব্যাহত না হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব জুড়ে মন্দার ছায়া যে কাটেনি, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মনমোহন।
|
মৎস্যজীবীদের নৌকা ডোবাল শ্রীলঙ্কা |
সংবাদসংস্থা • রামেশ্বরম |
ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা ডুবিয়ে দিল শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। আরোহীরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। ভারত-শ্রীলঙ্কা সীমান্তে কাটচাতিভু দ্বীপের কাছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ৫৯৬টি নৌকা আটক করে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, মোটর বোট দিয়ে নৌকায় ধাক্কা মারে সেনারা। নৌকার চার আরোহীকে অন্য মৎস্যজীবীরা তীরে নিয়ে আসেন।
|
অরুণাচলে এখনও নিখোঁজ ১৬ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ছিঁড়ে পড়া তারের সেতুর দু’ পাশে উদ্বিগ্ন অসংখ্য মুখ। অনেকটা নীচে নির্বিকার পাহাড়ি নদী কামেং তীব্র স্রোতে বয়ে চলেছে। অরুণাচলের সেপা শহরের দুই প্রান্তের সংযোগকারী জীর্ণ সেতুটি ছিঁড়ে পড়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও পরিষ্কার নয়, কাল উদ্দাম এই নদী কেড়ে নিয়েছে কতগুলি তাজা প্রাণ! সরকারি ভাবে এখনও অবধি চার জনের মৃত্যুর কথা কবুল করছে অরুণাচল পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। খাতায় কলমে নিখোঁজের সংখ্যা ১৬ জন, যারা সকলেই শিশু বা কিশোর-কিশোরী বলে অনুমান। কাল স্থানীয় অধিবাসীরাই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ২৭ জনকে তুলে আনেন। পরে, পুলিশ, দমকল ও সিআরপি জওয়ানরা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। আজ আরও তিনজনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জখম ২৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
|
সন্ত্রাসের সুযোগে রমরমা তোলাবাজ আর দুষ্কৃতীদের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের ‘সুযোগ নিয়ে’ অপরাধমূলক কাজ বাড়ছে। বেলজিয়ামের একটি সংস্থা জম্মু ও কাশ্মীরে সমীক্ষা চালিয়ে তেমনটাই দাবি করেছে।
তাদের রিপোর্ট বলছে, চোর, ডাকাত, খুনি, তোলাবাজ সব জায়গায় রয়েছে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই ধরনের অপরাধ বেশি মাত্রায় হচ্ছে। কারণ জঙ্গি হামলার কারণে সেখানে এমনিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। সেটারই সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কয়েক মাস আগে সমীক্ষায় বেলজিয়ামের ওই সংস্থাটি দেখেছে, “জঙ্গি আন্দোলনকে সামনে রেখে প্রকৃতপক্ষে তোলাবাজি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ চলছে উপত্যকায়।” রিপোর্টে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আন্দোলনের স্বার্থে কেন মানবাধিকার লঙঘনের বিষয়টি ওই নেতাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে? প্রশ্ন সমীক্ষকদের।
রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, কয়েক মাস আগে দুই কিশোরীকে জঙ্গিরা অপহরণ করে। তার পরে তাদের ‘শিক্ষা দেওয়ার জন্য’ ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। কিন্তু কেউ সেই কাজের সমালোচনা করার সাহস দেখায়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার প্রশংসা করে রিপোর্ট বলা হয়েছে “উনি ধৈর্যশীল, পরিশ্রমী, সৎ। মানুষের জন্য কাজ করছেন। তাদের দাবি-দাওয়া শুনছেন। কিন্তু তাঁর সামনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাস দমন ছাড়াও তাঁকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে দুর্নীতি রোধ, প্রশাসনের উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসারের মতো জরুরি ক্ষেত্রেও।”
|
পিটিয়ে খুন ৩ জনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
গ্রামবাসীদের মধ্যে বিবাদের জেরে গুমলার দানেরকেসা গ্রামে একই পরিবারের তিন জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। আজ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মারা গিয়েছেন হিন্দু ওরাঁও (৬০), তাঁর পুত্র শিবু এবং শ্যালক জাতরু। জাতরু গ্রামবাসীদের কয়েক জনের ক্ষতি করার মতলবে ঘোঁট পাকাচ্ছেন বলে রটে যায়। তার জেরেই হামলা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
|
এইমস থেকে ছুটি অমরের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
|
বাড়িতে অমর সিংহ। |
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আজ এইমস থেকে থেকে ছাড়া পেলেন রাজ্যসভার সদস্য অমর সিংহ। ঘুষ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন সমাজবাদী নেতা অমর সিংহকে গ্রেফতার করা হয়। তিহাড় জেলে থাকাকালীন মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ে তিনি এইমসে ভর্তি হন। এর পরে মানবিকতার খাতিরে ২৪ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। তবে জামিন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত এ কথাও জানিয়ে দেয় যে, অমর বিদেশে যেতে পারবেন না। তাঁর পাসপোর্টও কোর্টে জমা রাখতে হবে। এ ছাড়াও তাঁকে দু’দফায় ৫০ লক্ষ টাকা করে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আজ এইমস থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে অমর সিংহ অবশ্য জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে ইচ্ছুক। এইমসে অমর সিংহ যাঁর চিকিৎসাধীন ছিলেন, ডাক্তার গুপ্ত জানান, অমরের শারীরিক অবস্থা এখন ভাল। তবে যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন তাঁর অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। |
|