এক মাস কাটতে না কাটতেই প্রায় একই জায়গায় ফাটল দেখা দিল রেল লাইনে। তবে তা ধরা পড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল শিয়ালদহগামী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। কিন্তু কে সেই ফাটল দেখেছিলেন, তা নিয়ে রয়ে গেল বিভ্রান্তি। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক রেলকর্মী ফাটল দেখতে পান। আবার এক গ্রামবাসীর দাবি, তিনিই ফাটল দেখতে পেয়ে ট্রেন থামিয়েছিলেন।
রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ অম্বিকা কালনা ও গুপ্তিপাড়া স্টেশনের মাঝে কালনার নসিপুর গ্রামের কাছে রেললাইনে ফাটল দেখা যায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই গ্রামেই লাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে লাল কাপড় নেড়ে লোকাল ট্রেনকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছিল দুই শিশু। সেই জায়গার কাছেই এ দিন ফের ফাটল ধরা পড়ায় বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী জানান, কেন একই এলাকায় পরপর ফাটল হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। |
অম্বিকা কালনার স্টেশন ম্যানেজার অঞ্জন দাস বলেন, “আমাদের কাছে যা খবর, এ দিন ভোর ৫টা নাগাদ রেলের এক কর্মীর প্রথম চোখে পড়ে ওই ফাটলটি। তিনি স্টেশনে খবর দেন।” রেল সূত্রের খবর, সেউ সময় ডাউন তিস্তা-তোর্সা ট্রেনটি অম্বিকা কালনা থেকে গুপ্তিপাড়া স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। লাল সিগন্যাল দেখে ফাটল থেকে কিছুটা দূরে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। গুপ্তিপাড়া থেকে লাইন সারাতে আসেন রেলকর্মীরা। এই মেরামতির জেরে গুপ্তিপাড়ায় কামাক্ষ্যাপুর এক্সপ্রেস এবং কালনা ও সমুদ্রগড় স্টেশনে দু’টি লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। ঘণ্টাখানেক পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নসিপুরের বাসিন্দা শওকত আলি শেখের দাবি, “ভোরে দোকানে চা খেতে যাওয়ার পথে লাইনে ফাটল দেখি। তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে মেয়ের লাল ওড়না এনে লাঠিতে জড়িয়ে লাইনের পাশে পুঁতে দিই। তা দেখেই ট্রেন থামান চালক।” অম্বিকা-কালনার স্টেশন ম্যানেজারের অবশ্য দাবি, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের চালকের রিপোর্টে কোনও স্থানীয় বাসিন্দার ট্রেন থামানোর কথা বলা হয়নি। |