‘ধর, ধর’ করে দৌড়চ্ছেন দুই পুলিশকর্মী। সামনে প্রাণপণে ছুটছে দুই বন্দি। আচমকা ল্যাং মেরে তাদের এক জনকে ফেলে দিলেন এক পুলিশকর্মী। আর তা পিছন ফিরে দেখতে গিয়ে ধরা পড়ল অন্য বন্দিও। নদিয়ার কৃষ্ণনগর জেলা আদালত চত্বরে দুই বন্দির পালানোকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “দু’জন বাংলাদেশি বন্দিকে এ দিন আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পুলিশকর্মীদের হাত ছাড়িয়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দু’জনই ফের ধরা পড়েছে।”
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ঝিনাইদহের নারায়ণপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও প্রশান্ত লস্করকে গত ৫ মে শিমুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবৈধ ভাবে এ দেশে প্রবেশ করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ দিন আদালতে তাদের মামলার শুনানির দিন ছিল। এ দিন দুপুরে দুই পুলিশকর্মীর সঙ্গে আদালতে হাজির হয় বাংলাদেশি সন্দেহে ধৃত ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও প্রশান্ত লস্কর। আচমকা হাত ছাড়িয়ে দৌড় লাগায় দু’জন। বন্দিদের পালাতে দেখে চিৎকার শুরু করেন দুই পুলিশকর্মী। আদালত চত্বরে হাজির সকলেই হকচকিয়ে যান। এ দিন আদালতে মাওবাদী অজয় দাসকে হাজির করানোর কথা ছিল। সে কারণে আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সহকর্মীদের চিৎকার শুনে ওই পুলিশকর্মীরা বন্দিদের পিছু ধাওয়া করেন। এক পুলিশকর্মী পা বাড়িয়ে দেওয়ায় পড়ে যান এক জন। তা দেখতে পিছনে তাকাতেই অন্য জনকে জাপটে ধরেন বাসিন্দারা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে হাতকড়া না পরিয়েই ওই দুই বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এজলাস থেকে কোর্ট হাজতে আনার পথে হাতকড়া পরানোর কথা। তা হলে পালাল কী ভাবে? পুলিশ সুপার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”
|
শ্বাসনালী কেটে খুন করা হয়েছে এক যুবককে। নিহত ইউসুফ মণ্ডলের (৩৪) বাড়ি নদিয়ার চাপড়া থানার বহিরাগাছি গ্রামে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে পালিয়ানপুরের একটি মাঠে দেহটি দেখতে পান বাসিন্দারা। কেটে দেওয়া হয়েছে তাঁর পুরুষাঙ্গ। স্থানীয় একটি ইটভাটায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন তিনি। ইউসুফের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুনের পিছনে মহিলাঘটিত কারণ থাকতে পারে।” |