সরস্বতী পুজোর দিন সকালে স্কুলে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা। তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাদের। প্রায় ৬ মাস পরে উত্তরপ্রদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করল পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর দিন পূর্বস্থলীর মোয়াইর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয় দুই নাবালিকা। তাদের দু’জনের বাড়ির লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোয়াইর গ্রামে ধরমবীর পাল ও উদয়বীর পাল দুই যুবকও সে দিন গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। মোয়াইর গ্রামে মামার বাড়িতে এসেছিল তারা। ২২ অক্টোবর পূর্বস্থলী থানার পুলিশ ওই দুই যুবকের দুই মামা অখিল ভূমিজ, নিখিল ভূমিজ ও দাদু জগন্নাথ ভূমিজকে গ্রেফতার করে। নিখিল ভূমিজকে জেল হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে পুলিশ। নিখিল জানায়, ওই দুই নাবালিকা ধরমবীর ও উদয়বীরের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে চলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী থানার পুলিশ নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে যায় ও ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। শুক্রবার তাদের কালনা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন। দুই নাবালিকার পরিবারের লোকজন জানান, ঘরে ফিরে ওই দুই নাবালিকা জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। অভিযুক্ত দুই যুবক অবশ্য পলাতক।
|
তৃণমূল অফিসে ‘হামলা’ ভাতছালায় |
তৃণমূলের অফিস পোড়ানো ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমানের ভাতছালায় এই ঘটনা ঘটে। দলের স্থানীয় নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ওই রাতে কয়েক জন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁদের দলীয় অফিসে চড়াও হয়। দলের কয়েক জন যুবকর্মীকে মারধরের পরে তারা অফিসে আগুন লাগায় বলে তাঁর অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি সিপিএমের। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। শুক্রবার সকালে গুসকরা-বর্ধমান রাস্তার ঝর্ণা মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাবু মাঝি (১৬)। সে বর্ধমানের জগদাবাদ হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ গ্রামে। এ দিন সকালে সে দাদার সঙ্গে গাড়িতে করে গুসকরায় সব্জি কিনতে যায়। ফেরার সময়ে একটি লরির সঙ্গে তাদের গাড়ির ধাক্কা লাগে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাবুর মৃত্যু হয়।
|
গুড়গাঁও থেকে শ্রমিকদের ফেরানোর দাবি কাটোয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া
|
গুড়গাঁওতে ‘বন্দি’ নির্মাণ শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ করে শনিবার দুপুরে কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে বিক্ষোভ দেখালেন মঙ্গলকোটের ওই শ্রমিকদের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, সপ্তাহ খানেক আগেই কাটোয়ার মহকুমাশাসক ও রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। গুড়গাঁওতে কার্যত বন্দি হয়ে থাকা ১৮ জনকে বাড়ি ফেরানোর দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই হয়নি। শনিবার সকালে তাঁদের মধ্যে ৩ জন পালিয়ে বাড়ি এসেছেন কোনও মতে। পূর্ণেন্দুবাবু অবশ্য বলেন, “বর্ধমানের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” গত ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রাম থেকে ২১ জন নির্মাণ শ্রমিক গুরগাঁও যান। কিন্তু, অভিযোগ, কাজ করেও সেখানে মিলত না পারিশ্রমিক। পারিশ্রমিক চাইলে জুটত অত্যাচার। এর মধ্যেই গত ১৮ অক্টোবর রাতে গুরগাঁও থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ৩ জন। তাঁরা ফিরে সব জানিয়ে বাকিদের উদ্ধার করতে অনুরোধ করে চিঠি দেন মহকুমাশাসককে। এর পরে শনিবার ফের আরও তিন শ্রমিক পালিয়ে আসেন। |