|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
ক্লাসমেট তমাল আমাকে খুব মারে। এতটাই যে আমার মাঝে মাঝে দমবন্ধ হয়ে যায়। আমি মারতে পারি না। আমার জন্য কেউ ব্যথা পেলে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি একটু তোতলা বলে আমার শিক্ষকরা আমার কথা শোনেন না। কী করব?
অভিনাংশু দাশ। চতুর্থ শ্রেণি, ভক্তিবেদান্ত ন্যাশনাল স্কুল, মায়াপুর, নদিয়া
অভিনাংশু, কেউ ব্যথা পেলে তোমার কষ্ট হয় জেনে খুব ভাল লাগল, কিন্তু নিজে ব্যথা পাওয়াও তো কোনও কাজের কথা নয়। তমালের বাড়িতে নিশ্চয় কিছু অসুবিধে আছে, তাই তার এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। যা-ই হোক, তোমার কথা যদি তোমার শিক্ষক না শোনেন, তা হলে তোমার অভিভাবকরা শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পুরো পরিস্থিতি জানাতে পারেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝলে শিক্ষক নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন, যেমন, তোমাদের বসার জায়গা আলাদা করে দেবেন বা তমালের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
আমি যখন পরীক্ষা দিই, তখন সবাই আমার খাতা দেখে লিখে নেয়। আমি রুমাল দিয়ে চাপা দিলেও পরীক্ষার সময় সবাই আমার খাতা দেখে লিখে নেয়। কী করব?
দেবাঙ্গনা সিংহরায়।
পঞ্চম শ্রেণি, কৃষ্ণনগর শক্তিনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
দেবাঙ্গনা, স্কুল উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তো এ সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না। পরীক্ষার সময় কড়া নজরদারি আর ছাত্রছাত্রীদের একটু আলাদা আলাদা বা দূরে বসাতে পারলে এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়। এটা না হলে পরীক্ষার সময় একেবারে প্রথম বেঞ্চে বসলে কী রকম হয়? অথবা রুমাল চাপা যখন দিচ্ছই, তখন একটু মোটা রুমাল চাপা দাও, যাতে আশেপাশের ছাত্রীরা তোমার লেখা দেখতে না পায়।
আমার শীতকালে স্নান করতে ইচ্ছে করে না। সেটা গরম জল হোক বা ঠান্ডা জল। বাড়ির সবাই আমাকে বলে স্নান না করলে শরীর গরম হবে। স্নান না করে কী ভাবে শরীর ভাল রাখা যায়?
শুভজিৎ জানা। শিশুনিকেতন কে জি অ্যান্ড প্রাইমারি স্কুল, হাসনাবাদ
শুভজিৎ, স্নান না করে তো শরীর ভাল রাখা যায় না। বাড়ির লোকেরা ঠিকই বলেন। সুতরাং কী করে স্নান ভাল লাগবে, সে চিন্তা করাটা বোধ হয় বেশি কাজের। খুব ভাল উপায় হচ্ছে, তেল মেখে স্নান করা। গায়ে
তেল মাখা থাকলে, জলের ঠান্ডা ভাব আর গায়ে লাগবে না। তখন আর শীত করবে না। তা ছাড়া স্নান করার পর কী রকম একটা শরীরে তাজা তাজা ভাব আসে। সেটা ভেবে তেল মেখে, চোখ বন্ধ করে, মাকে বলো, তোমায় স্নান করিয়ে দেবেন।
|
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন
অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|