সেই এক বাঙালি বৌদ্ধ
ম্যাকলিয়ডগঞ্জ, ২০১১ এই রকমই দেখতে ছিলেন ওঁরা? কাষায় বস্ত্র, মাথায় কাষায়-রঙা টুপি, দু’হাতের আঙুলে পদ্মপাণি মুদ্রা!
চতুর্দশ দলাই লামা বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে দু’দিনের ক্লাস করাবেন তাঁর প্রাসাদে, সেই ক্লাসে যোগ দিতে তখন ইংরেজ, আমেরিকান থেকে জাপানি, কোরীয়দের হুড়োহুড়ি।
সেই শিক্ষাশিবির উপলক্ষে তিব্বত থেকে আসা এক ভিক্ষুশিল্পীর চিত্রপ্রদর্শনী। আজ অবধি ১৪ জন দলাই লামার ছবি এঁকেছেন তিনি। দেওয়ালে ঝুলছে সেই সব ‘থাঙ্কা’। তিব্বতি পটচিত্র।
প্রদর্শনীটা দেখতে দেখতে অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। তিব্বতি বিশ্বাসে ১৪ জন দলাই লামাই তো আসলে এক জন। বুদ্ধের করুণামূর্তি বা অবলোকিতেশ্বর। তাই কোথাও কোনও ‘বৈচিত্র’ নেই, প্রত্যেকের একই মুদ্রা, একই বেশ!
কেন দলাই লামাদের প্রতিকৃতি মানেই এ রকম? কাষায় টুপি, পদ্মপাণি মুদ্রা! গত কয়েক বছরে সিকিমের রুমটেক থেকে লাদখের হেমিস থেকে অরুণাচলের তাওয়াং থেকে যে সব গুম্ফায় গিয়েছি, সর্বত্র বুদ্ধমূর্তির পাশে গোঁফওয়ালা, বজ্র হাতে ওই মূর্তিটিও নজরে পড়েছে। ধ্যানী নয়, বরং সদা সতর্ক তাঁর দৃষ্টি। রিম্পোচে বা পদ্মসম্ভব! তিব্বতি বিশ্বাসে তিনিও স্বয়ং বুদ্ধ। ভারত থেকে তিব্বতে গিয়ে জাদুমন্ত্রে বশ করেছিলেন বৌদ্ধধর্মের বিরোধী রাক্ষস ও ডাকিনীদের। কিন্তু কী আশ্চর্য! দলাই লমাদের ‘ভিশুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন’-এ সেই মহাগুরু পদ্মসম্ভবের কোনও আদল নেই।
আশ্চর্য হওয়ার আরও বাকি ছিল! নজরে এল লন্ডনের জাদুঘরে রাখা একটা থাঙ্কার প্রতিকৃতি! পুরনো থাঙ্কা, দলাই লামাদের মতোই কাষায় টুপি, পদ্মপাণি মুদ্রায় এক ভিক্ষু। চিত্রপরিচিতি জানাচ্ছে, ইনি দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ! ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিক্রমপুরের কাছে বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্ম। ষাট বছর বয়সে ধর্ম প্রচারের জন্য তিব্বতে যান। তেরো বছর তিব্বতে কাটিয়ে সেখানেই মৃত্যু।
দলাই লামা ব্যাপারটা স্বপ্নেও দেখেননি এই বাঙালি। তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৬০০ বছর পরে প্রথম দলাই লামার জন্ম।
তা হলে? তক্ষশীলার মহাগুরু পদ্মসম্ভব নন, ‘ভিশুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন’-এ পালযুগের ওই বাঙালি বৌদ্ধ ভিক্ষুর মুদ্রাই অনুসরণ করেন দলাই লামারা!
উত্তরটা পরিষ্কার হয়ে গেল কয়েক দিন বাদে ম্যাকলিয়ডগঞ্জে তাঁর অফিসে। চতুর্দশ দলাই লামা তেনজিন গিয়াতসো! “অতীশ দীপঙ্কর আমাদের কাছে তাই জ্ঞানী বুদ্ধ বা ‘মঞ্জুশ্রী’র প্রতিমূর্তি। তন্ত্র, মন্ত্র প্রতিটি বৌদ্ধ মতেই তিনি সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখিয়েছিলেন, ঝগড়ার কোনও জায়গা নেই। প্রতিটি মত সমান গুরুত্বের,” বলছিলেন তিনি।
জ্ঞানী বুদ্ধ! ‘দলাই লামা’ শব্দবন্ধটির মানেও তো তাই। দলাই মানে সমুদ্র। লামা মানে জ্ঞানী। সমুদ্রের মতো জ্ঞান যাঁর। তিব্বতি সমাজের জ্ঞানচর্চায় তা হলে আজও বেঁচে আছে এক বাঙালি পণ্ডিতের উত্তরাধিকার?
“উত্তরাধিকার মানে?” ম্যাকলিয়ডগঞ্জের ‘লাইব্রেরি অব টিবেটান ওয়ার্কস অ্যান্ড আর্কাইভস’-এর পরিচালক জানিয়েছিলেন, অতীশ দীপঙ্করের শিষ্য ডোম তান-ই তিব্বতে প্রথম গড়ে তুলেছিলেন কদম্পা নামে এক বৌদ্ধ সম্প্রদায়। সেই সম্প্রদায়ই পরে হয়ে উঠল দলাই লামাদের ‘গে লুক পা’ সম্প্রদায়। শুধু গে লুক পা নয়। শাক্য পা, কাগু্য পা... সব তিব্বতি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রথম প্রবক্তারা দীপঙ্করের শিষ্য বা প্রশিষ্য।
ছোটবেলায় স্কুলপাঠ্য ইতিহাস বইতে অবশ্য অতীশ দীপঙ্করের একটা ছবি থাকত। তিনি তিব্বতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই জানা যেত। কিন্তু তা বলে এতটাই তাঁর প্রভাব? “দীপঙ্করের আগেও ৭৮ জন ভারতীয় পণ্ডিত তিব্বতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে শান্তরক্ষিত, কমলশীল তো দর্শনের ইতিহাসে আজও বিখ্যাত। কিন্তু দীপঙ্কর তো শুধু দার্শনিক নন। তিনি এথিকস-এর কথা বললেন। জীবনচর্যার কথা বললেন। এ-ও বললেন, ‘মঠে থাকলেই তুমি লামা নও। বৌদ্ধ শাস্ত্রে পণ্ডিত হলেও তুমি লামা নও। যতক্ষণ না অন্যের প্রতি করুণা জন্মাচ্ছে, এই পৃথিবীর প্রতিটি জীবের মুক্তির উদ্দেশে নিজের পুণ্য কর্ম না অর্পণ করছ, তুমি লামা নও,” বলছিলেন আর্কাইভস-পরিচালক।
কিন্তু তিব্বতে গিয়েছিলেন কেন তিনি?

৬৫ বছরের বৃদ্ধ বৌদ্ধ ভিক্ষুর সামনে এখন দুটি রাস্তা। মানসসরোবর, স্বয়ম্ভূনাথ হয়ে তিন বছর আগে যে ভাবে এই পথে এসেছিলেন, সে পথেই ফিরে যাওয়া। তাঁর শিষ্য নাগসোও তাই চান।
নেপালের সীমান্তে অবশ্য দিন কয়েক আগে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। রাস্তা জায়গায় জায়গায় বন্ধ। কিন্তু নাগসো তাঁকে নিরাপদে দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনিতে নেপালরাজ অনন্তবর্মণ এই ভিক্ষুর শিষ্য। ফিরে যাওয়াটাই নিশ্চিত ও নিরাপদ।
অন্য পথটি অনির্দেশের দিকে। তাঁর শিষ্য ডোম তান পশ্চিম তিব্বতের এই অঞ্চল ছেড়ে তাঁকে মধ্য তিব্বতের ইয়েরপা, সাম-ইয়ে অঞ্চলে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। দেশে না ফিরে ডোম তানের সঙ্গেই তা হলে মধ্য তিব্বতের ওই সব অজানা, অচেনা অঞ্চলে চলে যাবেন দীপঙ্কর? কিন্তু, নাগসোর আকুল আর্তনাদ! “স্থবির রত্নাকরকে আমি কথা দিয়েছিলাম, তিন বছর বাদে ফিরে যাব। আমায় অনৃতভাষণের পাপ অর্শাবে, প্রভু,” বলছেন নাগসো।
স্থবির রত্নাকর! বিক্রমশীল মহাবিহারের প্রধান আচার্য। কয়েক বছর আগে পশ্চিম তিব্বতের নারি রাজ্যের সম্রাট ইয়ে সো-র দূতরা স্বর্ণ ও রত্নালঙ্কারে ভর্তি কয়েকটি পেটিকা বিক্রমশীল মহাবিহারে নিয়ে আসেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রামাণ্য পথ কী? তন্ত্র না অহিংসা দর্শন? এ নিয়ে সে দেশে ঘোর হানাহানি। দীপঙ্কর যদি সে দেশে গিয়ে পথ দেখান!
দূতদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রত্নাকর। দীপঙ্কর এই মহাবিহারের উজ্জ্বল মণি, কোনও রত্নের বিনিময়ে তাঁকে ছাড়া যাবে না। প্রত্যাখ্যাত ইয়ে সো দেশে ফিরে ফের প্রতিবেশী রাজাদের বিরুদ্ধে বিজয় অভিযানে বেরোন। তাঁর আরও সোনাদানা, রত্ন চাই। সেই অভিযানশেষে বর্বর এক দস্যুদলের হাতে বন্দি হন সম্রাট। দস্যুনেতার দাবি, সম্রাটের ওজনের সমান সোনা। সেটিই হবে মুক্তিপণ। রাজকোষ থেকে সেই সোনা নিয়ে রাজপুত্র জোং চুব বন্দি পিতার কাছে পৌঁছান। কিন্তু পিতা বলেন, “আমার বয়স হয়েছে। মৃত্যু আজ না হোক, আগামী কাল নিশ্চিত। এই সোনা ফিরিয়ে নিয়ে যাও। বরং আমার মৃত্যুর বিনিময়েও সেই মহাপণ্ডিতকে এ দেশে আনার ব্যবস্থা করো।”
বিক্রমশীল মহাবিহারে গিয়ে দীপঙ্করকে সেই কাহিনি শুনিয়েছিলেন নাগসো ও তাঁর সঙ্গীরা। করুণায় দ্রবীভূত হয়েছিল পণ্ডিতের হৃদয়। বলেছিলেন, “আমি তোমাদের দেশে যাব। কিন্তু এখন এ কথা গোপন রাখো।”
বৎসরাধিককাল স্থবির রত্নাকরের অধীনে শাস্ত্রের পাঠ নেন নাগসো ও তাঁর সঙ্গীরা। তার পর তাঁদের আসল উদ্দেশ্য যখন প্রকাশ পেল? “তোমাদের দেখেই বুঝেছিলাম, মহাবিহারের উজ্জ্বল মণিটিকে নিতে এসেছ। তিন বছর বাদে কিন্তু ওঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যেয়ো,” বলে নাগসোদের প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছিলেন রত্নাকর।
তার পর? ১০৪০ খ্রিস্টাব্দের এক সকালে নাগসো, ভূমিসিংহ, ক্ষিতিগর্ভ প্রমুখ ১৯ জন শিষ্যকে নিয়ে বিক্রমশীল মহাবিহার রওনা থেকে রওনা হলেন মহাপণ্ডিত। সঙ্গে রয়েছেন আর এক শিষ্য বীর্যচন্দ্র। তিনি দীপঙ্করেরই ছোট ভাই। সংসারাশ্রমে তাঁর নাম ছিল শ্রীগর্ভ। আর দীপঙ্করের নাম ছিল চন্দ্রগর্ভ।
মহাবিহার থেকে বেরিয়ে দীপঙ্কর ও তাঁর সঙ্গীরা গেলেন বুদ্ধগয়া। বোধিবৃক্ষের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে রওনা হলেন তাঁরা। সেখান থেকে আজকের চম্পারণ, রক্সৌল হয়ে নেপালের দিকে। নেপাল সীমান্তের কাছে ছোট্ট মিত্রবিহার। সেখানে কয়েক জন বৌদ্ধ ভিক্ষু থাকেন।
মিত্রবিহার থেকে ক্রমশ এগিয়ে চলা। মাঝপথে স্বয়ম্ভূনাথের রাজা তাঁর সেনাধ্যক্ষকে পাঠালেন এই দলটিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।
স্বয়ম্ভূনাথ থেকে পালপা। জ্বরে দীপঙ্করের সঙ্গী বীর্যসিংহর গা পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যে অদ্ভুত নিয়ম। পথে বীর্যসিংহের মৃত্যু হলে তাঁর সম্পত্তি যাবে সরাইখানার মালিকের হাতে। বীর্যসিংহ মারা গেলেন এক নদীর ধারে। রাতের অন্ধকারে তাঁকে দাহ করে, তাঁর ডুলিতে পোশাকআশাক সাজিয়ে চলল দলটি। দেখলে মনে হবে, বীর্যসিংহ বসে আছেন।
পালপাতে সাদর আতিথ্য জানালেন রাজা অনন্তকীর্তি। নিজের ‘দৃষ্ট ওষধি’ নামের হাতিটি তাঁকে দান করলেন দীপঙ্কর। ওই হাতির পিঠে চেপেই বোধগয়ার বজ্রাসনীয় মহাবিহার থেকে তিনি এসেছেন এ রাজ্যে। অনন্তকীর্তিকে দিয়ে শুধু শপথ করিয়ে নিলেন, এ হাতিটিকে কখনও যুদ্ধের কাজে লাগানো যাবে না। অনন্তকীর্তি গুরুপদে বরণ করে নিলেন মহাপণ্ডিতকে। দীপঙ্করের নির্দেশেই ‘থাম’ অঞ্চলে তৈরি করালেন এক বৌদ্ধবিহার।
সেই ‘থাম’ই আজকের থামেল। ডিস্কোথেক, ঝাঁ-চকচকে হোটেলে সজ্জিত কাঠমাণ্ডুর রঙিন এলাকা। পালপা জায়গাটা পোখরার অনতিদূরে তানসেন অঞ্চলে।
কিন্তু পালপায় এখনও শেষ হয়নি তাঁর কাজ। আর কয়েক দিন বাদে গৌড়বঙ্গের সিংহাসনে অভিষিক্ত হবেন তাঁর স্নেহধন্য ন্যায়পাল। এখান থেকেই পালবংশের নতুন রাজাকে চিঠি লিখলেন দীপঙ্কর, “রাজসিংহাসনে বসেও নম্র এবং বিনীত হবে।”
পালপা ছেড়ে এক দিন বেরিয়ে এলেন ভিক্ষু। এ বার আরও উত্তরে মুক্তিনাথের রাস্তা। সেই রাস্তা বেয়ে মানস সরোবর। সাত রাত সেখানে থাকলেন দীপঙ্কর।
মানস সরোবরের পাশ দিয়ে নারি রাজ্যে যাওয়ার পথ। ঘোড়ায় চড়ে চলেছেন বৃদ্ধ ভিক্ষু, কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘অতি ভাল। অতি মঙ্গল।’ নারি আজ আর নেই। কিন্তু মানস সরোবরের পাশ দিয়ে যদি চিনের উইগুর অঞ্চলের কিছু আগে আসা যায়, ‘গু জে’ ধ্বংসাবশেষ। ওখানেই ছিল নারি রাজ্য। আজও সেখানে আছে থোলিং মহাবিহার। তিব্বতে প্রথম তিন বছর দীপঙ্কর সেখানেই ছিলেন।

নাগসোর অনুরোধ রাখেননি দীপঙ্কর। ডোম তানের সঙ্গে তিনি চলে গিয়েছিলেন মধ্য তিব্বতের ইয়েরপা। জায়গাটা আজকের স্বশাসিত তিব্বতের রাজধানী লাসার কাছেই।
ইয়েরপা থেকে চলে এসেছিলেন নিয়েথাং। সেখানে তাঁর উপাস্য তারা মূর্তির আরাধনা করতেন দীপঙ্কর। তারা, অচলা... এঁরা তো বৌদ্ধ তন্ত্রেরই দেবী। প্রায় দশ বছর এ সব জায়গায় কাটিয়ে ১০৫২ সালে লেথান নামে এক গ্রামে মারা গেলেন এই বাঙালি।
হাজার বছর পরে এই বিকেলে বাংলা থেকে বহু দূরে ম্যাকলিয়ডগঞ্জের পাহাড়ে এখন সন্ধ্যা। গোধূলির আলো ঠিকরে পড়ছে ধৌলাধারের শিখরে। দীপঙ্করের কৃতিত্ব নিয়ে সংশয় নেই, কিন্তু তাঁর দার্শনিক উত্তরাধিকার?
আর্কাইভস পরিচালকের কথাটা মনে পড়ে যাচ্ছে। “বৌদ্ধ দর্শনে অসঙ্গ, বসুবন্ধু কোথায় জোর দিতেন জানেন? করুণা। আর নাগার্জুন আমাদের দিয়েছিলেন শূন্যতার দর্শন। অতীশ এই দুই দর্শন প্রায় একত্র মিশিয়ে দিয়েছিলেন। শূন্যতার সঙ্গে করুণার কোনও ভেদ নেই, দেখিয়েছিলেন তিনি।”
আর?
“থোলিং মহাবিহারে দীপঙ্কর ‘বোধিপথপ্রদীপ’ বইটি লিখেছিলেন। ধ্যানের প্রথম ধাপে এই ভাবে করুণা জাগাতে হবে, দ্বিতীয় ধাপে এই ভাবে। এই যে ধাপ বাই ধাপ, এটাকে বলে ‘লাম রিম’। পরবর্তী কালে সব তিব্বতি শাস্ত্রকারেরা এই মডেলটাই ফলো করেছেন।’’
বৌদ্ধ করুণা বোঝা যায়, শূন্যতা বোঝা যায়। কিন্তু তারা, অচলার ওই তন্ত্র-আরাধনা? আজও তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মেই তিব্বতের ব্র্যান্ড ইকুয়িটি। শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, জাপানের বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে ওখানেই তার তফাত! হাজার বছর আগে সেই বাঙালি পণ্ডিত কী ভাবে তান্ত্রিক বৌদ্ধ মতে এনেছিলেন নতুন দিশা।
আর্কাইভস পরিচালক হাসলেন, “ওটা লামারা বলতে পারবেন। আসলে তারা বা অচলা যে মূর্তির ধ্যান করুন না কেন, তা সৃষ্টি হয় শূন্যতা থেকেই। মূর্তিটা তো সত্যিই নেই। কিন্তু ধ্যানে দেখছেন। দীপঙ্কর দেখিয়েছিলেন, এ ভাবেই এগোতে এগোতে দেখা যায়, যে শূন্যতায় দেবীর সৃষ্টি, সেই শূন্যতা উপাসকের মনেও। দুই শূন্যতার মিলনেই বজ্রতন্ত্র। আসলে উপাসক, উপাস্য এবং উপাসনায় কোনও ফারাক নেই।”
এর পরেও সেই বাঙালি ভিক্ষুকে মনে না রেখে উপায়?



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.