|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
তাঁহারা বৃদ্ধ হইয়াছেন |
বইপোকা |
বাংলা সাহিত্যের দাদারা বৃদ্ধ হইয়াছেন। এক বিখ্যাত শিকারি-গোয়েন্দার বুদ্ধিতে শান দিতেই বোধকরি এখন অরুচি। এই বৎসরের এক শারদীয় সংখ্যার কাহিনিতে পরিচিতের বিবাহের দোহাই দিয়া তিনি মূল রহস্যে ঢুকিলেনই না, উপন্যাসও সমাপ্ত হইয়া গেল। রহস্যের সমাধান ব্যতীত কী করিয়া উপন্যাস সম্পূর্ণ হইয়া যাইতে পারে, মুদ্রিতও হইয়া যাইতে পারে পত্রিকায় তাহা বোধগম্য হইল না। তবে ‘সাহিত্য’ আজিকালি ধারে কাটে না, ভারে কাটে, নামের ভারে ইহাও কাটিতেছে। এমত আর এক ভারী নাম উপন্যাসে মাঝপথে দাঁড়ি টানিয়াছেন। সেই স্থলেই সমাপ্তি। তাহা আক্ষরিক অর্থেই শেষ হইয়া না হইল শেষ। অপর এক শারদীয় সংখ্যার উপন্যাসে আবার দেখিতেছি ‘প্রথম পর্ব সমাপ্ত’। দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চয় আগামী বৎসর মহাপূজায় বাহির হইবে! শারদসাহিত্যেও তবে কিস্তি আসিল এই বার! এই সকল দেখিয়া-শুনিয়াই মনে হইয়াছিল, বাংলার নাম-ভারী সাহিত্যিকগণের প্রসন্নর নির্জল দুগ্ধে প্রয়োজন আছে। সম্প্রতি আর এক উপায় আফিমের ঘোরে মস্তিষ্কে উদয় হইয়াছে। তাহা বলি। বাংলা সাহিত্যে ফিরিয়া আসুক বারোয়ারি উপন্যাস। একদা উহা ছিল সাহিত্যের নব নিরীক্ষা। কিন্তু এখন উহাতেই সম্ভবত সাহিত্যের মুক্তি। এক জনের লিখিত সূত্র ধরিয়া অপর জন লিখুন, তাহাতে লিখিতে হইবে কম, সভা-সমিতি-বিজ্ঞাপনের বিবিধ ব্যস্ততার মাঝে ভাবিবার ও লিখিবার জন্য সময় দিতে হইবে কম, মাথাও কিঞ্চিৎ কম খাটাইলে চলিবে। অধিকন্তু, দশে মিলি করি কাজ... |
|
|
|
|
|