কালীপুজো উপলক্ষে রেল পুলিশের আদ্রা থানার উদ্যোগে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান হয়ে গেল। বুধবার কালীপুজোর দিন হয়েছে যেমন খুশি সাজো। মিউজিক্যাল চেয়ার-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। পরের দিন বৃহস্পতিবার, আদ্রার রেলওয়ে গালর্স হাইস্কুলের প্রেক্ষাগৃহে হয়েছে পুরস্কার বিতরণী ও বিচিত্রানুষ্ঠান। শুক্রবার ওই প্রেক্ষাগৃহে হয় জলসা। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন শিল্পী গোষ্ঠীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন রেল পুলিশের এসআরপি (খড়গপুর) শঙ্কর চক্রবর্তী, আদ্রার আই আর পি সরোজ হাজরা, আদ্রা থানার ওসি প্রণবকুমার পতি। শঙ্করবাবু একাধিক শ্যামাসঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। প্রণববাবু জানান, রেল পুলিশের সাথে সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক আরও বাড়াতে, জনসংযোগের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
|
কোতুলপুরে বাচিক শিল্পী সংস্থা ‘আবৃত্তিলোক’-এর ১৭ তম বর্ষপূর্তি উৎসব রবিবার হয়ে গেল। কোতুলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ মঞ্চে আবৃত্তির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ স্মরণে এ বার আয়োজিত হল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আধারে রবীন্দ্র সঙ্গীত বিষয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানও। আয়োজক সংস্থার পক্ষে সতীনাথ চক্রবর্তী ও কল্যাণী চক্রবর্তী জানান, কলকাতা-সহ বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আবৃত্তি ও সঙ্গীত শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
|
প্রত্নতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব ও লোক সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘টেরাকোটা’র আয়োজনে সম্প্রতি বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে হয়ে গেল সম্মান প্রদান ও ‘ঐতিহ্যের অন্বেষণ’ শীর্ষক একটি আলোচনাচক্র। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গবেষক গৌতম ভদ্র। সম্মান জানানো হয় দিব্যজ্যোতি মজুমদার, দীপঙ্কর ঘোষ ও দীপককুমার রায়কে। অনুষ্ঠানে প্রদীপ কর ও তুলসিদাস মাইতি সম্পাদিত বাংলার ব্যতিক্রমী দুর্গাপুজো সংক্রান্ত টেরোকোটা পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশিত হয়।
|
অযোধ্যা পাহাড়ের বীর বীরসা ক্লাবের উদ্যোগে রাতভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপে। উদ্যোক্তাদের তরফে তিলক সিং সর্দার জানান, কালীপুজো উপলক্ষে হিলটপে দরিদ্র নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরী অফিসের পিছনের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মাছে মঞ্চ বেঁধে রাতভর বিভিন্ন আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তার মধ্যে ছিল সাঁওতালি গান, নাচ ইত্যাদি। অংশ গ্রহণ করেছিলেন অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।
|
প্রকাশিত হল প্রয়াত কবি-গবেষক রবীন্দ্রনাথ সামন্তকে নিয়ে আলোচনা গ্রন্থ ‘স্মরণে ও মননে রবীন্দ্রনাথ (রুপাই) সামন্ত’। রবিবার বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। তাঁর অন্য পরিচয় বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক। বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন অধ্যাপক লীলাময় মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়, কবি অবনী নাগ প্রমুখ বিশিষ্টজনেরা।
|
বিষ্ণুপুরের ঝঙ্কার নৃত্য আকাডেমির ১৮তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। রবিবার যদুভট্ট মঞ্চে অনুষ্ঠানটি মঞ্চস্থ হয়। রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনীক, সৃজনশূল এবং কত্থক নৃত্যে অংশ নিলেন সংস্থার প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। সমগ্র অনুষ্ঠানটির নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সঙ্গীতা বর্মন।
|
এই রাজ্যে বহু লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। কিন্তু শিশু ও কিশোরদের উপযোগী লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় খুব কম। তা নিয়ে শিশু সাহিত্যিকদের আক্ষেপ রয়েছে। বীরভূম থেকে বর্তমানে একটি মাত্র শিশু-কিশোরদের জন্য লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিক হচ্ছে ১২ বছর ধরে। সিউড়ি থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘ডিং ডং পিং পং’য়ের এ বারের শারদ সংখ্যায় প্রকাশিক হয়েছে ১০২টি ছড়া। ৩৮ পৃষ্ঠার ওই পত্রিকার প্রতিটি পাতায় রয়েছে ‘স্কেচ’ ও ‘কার্টুন’। প্রচ্ছদটি নানা রঙের। পরিচিত বিশিষ্ট ছড়াকার ভবাণীপ্রসাদ মজুমদার, সুজিতকুমার পাত্র, আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ছড়া লিখেছেন। সেই সঙ্গে ১৪ জন স্কুল পড়ুয়া ও একজন কলেজ পড়ুয়ার ছড়া এবং সাত জন স্কুল পড়ুয়ার আঁক ছবি ছাপা হয়েছে।
|
বোলপুরের ‘আবৃত্তি আকাডেমি’ ও শৈশবের আড্ডা’র সদস্য-সদস্যেরা গত রবিবার সন্ধ্যায় আবৃত্তি, গান এবং আড্ডায় মেতে উঠেছিল বোলপুরের ধর্মরাজতলা পাড়ায়। বিজয়া সম্মেলনে। হাজির ছিল ৪-১৩ বছরের ৫২ জন কিশোর-কিশোরী। সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন অভিভাবকও। ওই দিন তিন শিশুর জন্মদিনও পালিত হয়। গত অগস্ট মাসে ‘দেশ’ বিষয়ক লিখিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাওয়া ৩ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ওই প্রতিযোগিতায় ৪০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওই দুই সংস্থার কর্ণধার বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নীহাররঞ্জন সেনগুপ্ত।
|
বাড়ি ময়ুরেশ্বর থানার রাতমা গ্রামে। কর্মসূত্রে বোলপুরে থাকেন। একটি পঞ্চায়েতের সচিব। ফলে পঞ্চায়েতের বিস্তর কাজ সামলাতে হয় গীতিকণ্ঠ মজুমদারকে। এর পরেও তিনি রাত জেগে লেখালেখি করেন। প্রায় নিঃশব্দে তিনি ৩৪ বছর ধরে সাহিত্য সাধনা করছেন। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় ও কবি নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন, পত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি ১১টি জীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে পত্রশিল্পী রবীন্দ্রনাথ পাঠকদের সমাদর পেয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় ১৮টি উপন্যাস ও বেশকিছু গল্পও লিখেছেন তিনি। |