ডাকঘর
এখনও হয় পাহুর খেলা
কালীপুজোর পরের দিন প্রতিপদ তিথিতে মুর্শিদাবাদ জেলার গোয়ালা সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিশেষ ধরনের লোক-উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওই লোক-উৎসবের নাম ‘পাহুর খেলা’। গঙ্গার চরায় অথবা কোনও মন্দিরের সামনে গোয়ালারা প্রত্যেকে তাঁদের গরু ও মোষকে স্নান করিয়ে ওই সব গবাদি পশুর শিঙে সিঁদুর মালা পরিয়ে হাজির করেন। ‘পাহুর খেলা’র জন্য সবাই মিলে চাঁদা তুলে কিনে আনা হয় একটি হৃষ্টপুষ্ট শুয়োর। উৎসবের দিন ওই শুয়োরের কপালে সিঁদুরের ফোঁটা দেওয়া হয়। নতুন ধুতি ও ফতুয়া পরে গোয়ালারা ফলমূল সাজানো নতুন বেতের ডালা নিয়ে তাঁদের গরু-মোষগুলিকে ‘চুমায়’, অর্থাৎ বরণ করেন। তার পর বাজনা বেজে উঠলে বরাহনন্দনটির পায়ে ছাঁদন-দড়ি বেঁধে একপাল গরু-মোষের মাঝখানে ছেঁড়ে দেওয়া হয়। শুয়োরটিকে তখন গরু-মোষ শিং দিয়ে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে। যাঁর গরু শুয়োরটিকে মেরে ফেলে তাঁকে নেতার সম্মান দেওয়া হয়। ওই গোয়ালা-নেতা তখন এলাকার সব রাখাল ও আত্মীয়-স্বজনদের খুশি করতে ভোজসভার আয়োজন করেন।
ভাঙাচোরা কলেজ স্ট্রিট
নদিয়া জেলার প্রাণকেন্দ্র ও প্রধান শহর কৃষ্ণনগরের ১৬৫ বছররে প্রাচীন ও ঐতিহ্যপূর্ণ কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের পিছন দিয়ে চলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ‘কলেজ স্ট্রীট’ নামে পরিচিত। অফিস টাইমে ওই রাস্তাটি দিয়ে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ও অফিস যাত্রীরা যাতায়াত করেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলাপরিষদ, সেচ দফতরের কার্যালয়-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর ও স্কুল-কলেজে যেতে হয় ওই সড়ক পথ দিয়ে। ওই রকম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই রাস্তায় নেই কোনও রকম নিকাশির ব্যবস্থাও। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথটি। নয়ের দশকে তৎকালীন জেলাশাসক সুরেশ কুমারের আমলে জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের অর্থে ওই সড়ক পথটি নির্মাণ করা হয়। তার পর থেকে কুড়ি বছর ধরে কোনও সংস্কার করা হয়নি। ফলে সিংহ দরজা থেকে হোলি ফ্যামিলি স্কুল পর্যন্ত সড়ক পথটি বিধায়ক কোটা, সাংসদ কোটা, অথবা পুরসভা থেকে দ্রুত সংস্কার করা দাবি জানাই।
অল্প বৃষ্টিতেই জমে জল
বেথুয়াডহরির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক এলাকা বলতে বোঝায় বেথুয়াডহরি স্টেশন থেকে শিবানী হল পর্যন্ত এলাকা। ওই এলাকায় রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসস্টপও। লাগোয়া এলাকায় রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি। কিন্তু সেই জায়গাটি এতটাই নীচু যে অল্প বৃষ্টিপাতেই জল জমে যাওয়ার পর মনে হয়, নেতাজির মূর্তিটি যেন রয়েছে পুকুরের মধ্যে। এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন থেকে কিছু ভাঙা ইট সেখানে ফেলা হয়। তাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এলাকার দোকানঘরের সামনেও জল জমে গিয়ে বীভৎস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দ্রুত প্রতিকার চাই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.