প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা-সামগ্রী বিতরণ করল ‘ডেবরা থানা প্রতিরোধ বাহিনী’। বৃহস্পতিবার ডেবরায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা-সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি এলাকার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা, শ্রেষ্ঠ পুজো-কমিটিগুলিকেও পুরস্কৃত করা হয়। ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল, খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদ, এসডিপিও দীপক সরকার, বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি প্রমুখ। প্রতিরোধ বাহিনীর উদ্যোগে ওই পুজোর ৪০ তম বর্ষে আয়োজিত হয় নানা অনুষ্ঠান। এ দিন সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয়। পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজো-কমিটির সদস্য পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতি বছরই অন্য রকম কিছু কর্মসূচি নিই। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই সব কর্মসূচি। এ বারও তাই হয়েছে।” তাঁর কথায়, “এ ক্ষেত্রে এলাকার সবাই নানা ভাবে সহযোগিতা করেন। পাশে থেকে উৎসাহ দেন।” শ্যামচকে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল রয়েছে। এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরই এ দিন শিক্ষা-সামগ্রী দেওয়া হয়। রক্তদান শিবিরের আয়োজনও হয়েছিল। ডেবরা এলাকার তিনটি শ্রেষ্ঠ পুজো-কমিটি যথাক্রমে বালিচক স্কুলবাজার, বালিচক গেটবাজার ও ডেবরা নতুনবাজারের উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রতিরোধ বাহিনীর এক সদস্যের কথায়, “পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহিত করতেই এই সম্মাননা।” পাশাপাশি, এলাকার কৃতি ছাত্রছাত্রীদেরও সংবর্ধনা জানানো হয়।
|
কালীপুজো উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন হল খড়্গপুর সুভাষপল্লিতে। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, সাংবাদিক-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকেই সম্মান জানানো হল। এ বারই ছিল সুভাষপল্লির কালীবাড়ি পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী। এই পুজোকে ঘিরে শুধু এলাকার মানুষই নন, খড়্গপুরের সমস্ত মানুষের মধ্যেই উন্মাদনা রয়েছে। পুজোয় বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন হয় আবার পঙ্ক্তিভোজেরও বিশাল আয়োজন হয়েছিল। এ বার চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগেও একটি বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যে কর্মসূচিতে শিখ, জৈন, হিন্দু, মুসলিম-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে প্রতিমা দর্শন করানো হয়।
|
গণ-ভাইফোঁটা মহিলা তৃণমূলের |
গণ-ভাইফোঁটার আয়োজন করল মেদিনীপুর শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। এই উপলক্ষে স্টেশন রোডে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় পঞ্চাশ জন দরিদ্র পরিবারের শিশুকে ফোঁটা দেওয়া হয়। মিষ্টি মুখ করিয়ে দেওয়া হয় নতুন পোশাক। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। উদ্যোক্তা শহর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মৌ রায় বলেন, “প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান করি। গরিব বাড়ির বাচ্চাদের নিয়েই তাই আমাদের এই গণ-ভাইফোঁটা।” মেদিনীপুর ও খড়্গপুর দুই শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ দিন ভাইফোঁটা পালিত হয়েছে নানা ভাবে। কোথাও গণ-ভাইফোঁটা, আবার কোথাও পারিবারিক অনুষ্ঠান। শুধু কী ফোঁটা! থাকে ভুরিভোজের আয়োজনও। মিষ্টি ও মাংসের দোকানে সকাল থেকেই লম্বা লাইন। বাজারেও ভিড়। সেরা জিনিসটি বেছে নিতে তৎপর গৃহস্বামীরা। শঙ্খধ্বনিতে ফোঁটা শেষে নতুন জামা আর কপালে ফোঁটা নিয়ে সগর্বে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধদেরও। এ ভাবেই পেরিয়ে গেল বাঙালির সেরা চার উৎসবদুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো আর ভাইফোঁটা। অদূরেই অবশ্য জগদ্ধাত্রী পুজো।
|
দুর্ঘটনা রুখতে উদ্যোগী রেল কর্তৃপক্ষ |
নির্বিঘ্নেই চলছে কালী বিসর্জন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে নিরঞ্জন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টহল চলছে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে। মেদিনীপুরে অধিকাংশ প্রতিমাই কাঁসাই নদীতে বিসর্জন হয়। নদীঘাটেও পুলিশি নজরদারি। ক্যাম্প করেছে পুরসভা। উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি বলেন, “বিসর্জন-পর্ব নির্বিঘ্নে শেষ করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” শীঘ্রই ঘাট সাফাই শুরু হবে বলেও পুরসভা জানিয়েছে। খড়্গপুরে বড় পুকুরেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। পুরপ্রধান জহরলাল পাল বলেন, “শীঘ্রই পুকুরগুলি পরিষ্কার করা হবে।”
|
সম্প্রতি খড়্গপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা তৃণমূলের কমিটি গঠিত হল। এই উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণপুর হাইস্কুলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস চৌধুরী, কমল কুণ্ডু প্রমুখ। নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুনন্দা চক্রবর্তী। কার্যকরী সভাপতি স্নিগ্ধা মণ্ডল ও সম্পাদিকা সঙ্গীতা শিকদার। সব শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস চক্রবর্তী ও কাশীনাথ দাস। তবলায় দেবাশিস মজুমদার। |