হেস্টিংস থানা এলাকায় হসপিটাল রোডের ধারে এক অজ্ঞাতপরিচয় প্রৌঢ়ার গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ময়দানের ওই অংশে দিনভর অসংখ্য গাড়ি চলাচল করেছে। কিন্তু দেহটির সন্ধান মেলে রাত সওয়া ৮টা নাগাদ। তাই পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যার পরেই। টহলদার পুলিশ রেস কোর্সের বেড়ার ধারে পড়ে থাকা দেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু এটা খুন না আত্মহত্যা, সেই বিষয়ে ধন্দ কাটেনি। বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়ার দেহের পাশে ভ্যানিটি ব্যাগ, রক্তমাখা ব্লেড পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, তাঁর পরনে ছিল শাড়ি, চোখে চশমা ও পায়ে চটি। প্রাথমিক ভাবে খুন বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। কিন্তু মহিলার চটি ও চশমা একদম ঠিকঠাক থাকায় সংশয় বাড়ে। গলা কাটা হলেও ঘটনাস্থলে খুব বেশি রক্ত দেখা যায়নি। খুন হয়ে থাকলেও ওই এলাকায় যে সেটা করা হয়নি, সেই বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত। তাদের বক্তব্য, বাইরে খুন করে দেহটি যদি ওখানে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকলে পোশাক, চশমা ও চটি যথাস্থানে থাকার কথা নয়। তাই আত্মহত্যার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। ব্যাগের কাগজপত্র থেকে ওই মহিলার নাম-ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে।
|
কন্টেনার-বোঝাই ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হল দু’জনের। জখম তিন জন। শুক্রবার ভোরে, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও ইডেন হসপিটাল রোডের মোড়ে। মৃতদের এক জনের নাম আজিজুল মোল্লা (৩৫)। অন্য জনের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, গিরিশ পার্কের দিক থেকে আসা ১৬ চাকার ট্রেলারটি আচমকাই ফুটপাথে উঠে পড়ে। পিষ্ট হন ফুটপাথে শুয়ে থাকা আজিজুল-সহ পাঁচ জন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আজিজুলের। অন্য জন মারা যান মেডিক্যালে। কবীর মোল্লা, আনারুল মোল্লা ও সইফুল মোল্লা নামে অন্য তিন জনের অবস্থা গুরুতর।
|
গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে এপিসি রোডে। মৃত মোহন দাস (২৪) একটি খাবারের দোকানের কর্মী। পুলিশ জানায়, একটি বাড়ির এক তলায় রাখা ছিল সিলিন্ডারটি। সেটি ফুটপাথের খাবারের দোকানে ব্যবহৃত হত। দোকান-মালিক দিলীপকুমার জৈন স্থানীয় বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, এ দিন সকালে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। পাশে স্টোভটিও জ্বলছিল। আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটলে মৃত্যু হয় মোহনের। অভিযোগ, বসতবাড়ির নীচে যে ভাবে সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা বেআইনি। এলপিজি সিলিন্ডারটি বাজেয়াপ্ত করেছে। |