|
|
|
|
ফোঁটার সঙ্গে পেন, পেনসিল পেল সাবিররা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর ও সিউড়ি |
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভাইফোঁটা দেওয়া হল বোলপুরের মাগা মায়ের মন্দিরে। শুক্রবার মাগা সেবা সমিতি এই উদ্যোগ নিয়েছিল। সমাজের বঞ্চিত ও অবহেলিত তথা পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর শ্রেণির কচি-কাঁচারাও এখানে অংশ নিয়েছিল। |
|
বোলপুরে বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর তোলা ছবি। |
উদ্যোক্তাদের পক্ষে হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত সাত বছর ধরে আমরা ভাইফোঁটার আয়োজন করছি। যারা এখানে আসেন, তাঁদের কারোর ভাই নেই বা কারোর বোন নেই। কেউ বা অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। অনেকে আবার অন্য সম্প্রদায়ের। তিনি বলেন, “জাত-পাতের ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটে।”
উপলক্ষ ভাইফোঁটা হলেও উদ্দেশ্য আরও বেশি। শিশুদের মিষ্টিমুখ করানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে পাঠ্য কলম, পেনসিল তুলে দেওয়া হয়। ভাল করে পড়াশোনা করতে বলা হয়। ফোঁটা নিতে এসেছিল আলি হোসেন শেখ, সাবির মোল্লারা। তাঁরা বলেন, “সারা বছর পরিশ্রম করে রোজগার করতে হয়। অক্ষর জ্ঞানটুকু হয়েছে মাত্র। এখানে ফোঁটা নিয়ে বেশ
ভাল লাগছে। বড়রা পড়তে উৎসাহ দিলেন। এত গুরুত্ব পেয়ে আমরা খুব খুশি।” ফেরার সময় তাঁদের চোখে ঝিলিক মারছিল সব পাওয়ার আনন্দ। |
|
সিউড়ির হোম। নিজস্ব চিত্র। |
এলাকার কিশোরী পায়েল মল্লিকও ফোঁটা দিতে এসেছিল। তার কথায়, “আমার ভাই নেই। তাই ভাইফোঁটায় মন খারাপ করত। এখানে এত জন দাদা-ভাইকে ফোঁটা দিলাম। মনে হচ্ছে আমার কত ভাই।” তাঁর মতো একই আনন্দের রেশ দেখা গেল শ্রীপর্ণা মুখোপাধ্যায়, পারমিতা ঘোষ, সুজিত ঘোষদের মুখে চোখে। প্রায় ৬০ জনকে ফোঁটা দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনেরা। অন্য দিকে, সিউড়িতে স্টেট ওয়েল ফেয়ার হোমে শুক্রবার সকালে ভ্রাতৃ দ্বিতীয়া উৎসব পালিত হল। সেখানে হোমের সুপার কাকলি কুণ্ডু, তাঁর মেয়ে ঋদ্ধি ও মা অনিতাদেবী আবাসিকদের ফোঁটা দেন। সেই সঙ্গে মিষ্টিমুখও করান। এ দিন সকালে তাঁরা ১৪ জন আবাসিককে ফোঁটা দেন। সেখানে প্রথম শ্রেণির আবাসিক দুই ভাই রাম ও লক্ষ্মণ মুর্মু , অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শান্তনু মুর্মু, নবম শ্রেণির ছাত্র হোসেন আলিকে বসিয়ে ধান, দূর্বা গিয়ে বরণ করা হয়। কাকলিদেবী আট বছর আগে ওই হোমের দায়িত্ব পান। তারপর থেকেই এখানে ভাইফোঁটা দেওয়া শুরু করেন। |
|
|
|
|
|