দীপাবলীতে আলোর ঝরণায় ভাসল গোটা উত্তরবঙ্গ। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই মালদহ থেকে কোচবিহার, সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়ে আলোকমালায় সেজে ওঠে দোকানপাট, বাড়ি থেকে শুরু করে পুজো মণ্ডপ। সন্ধ্যা নামার পরেই মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনার্থীদের ভিড় জমে যায়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদহ, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা-সহ বিভিন্ন এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবক নামাতে হয়। শিলিগুড়িতে তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বৃন্দাবনের দুর্গাবাড়ির আদলে। হুবহু যেন দুর্গাবাড়ি তুলে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এখানে। দর্শনাথীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় গ্লোব ট্রর্টাস ক্লাব, শিলিগুড়ি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব মণ্ডপেও ভিড় হয়। ভিড় ছিল বিভিন্ন কালী মন্দিরেও। সন্ধ্যায় এদিন শিলিগুড়িতে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়।
জলপাইগুড়িতে যোগোমায়া কালী মন্দিরের নাট মন্দিরে সন্ধ্যে থেকে শ্যামা সঙ্গীতের আসর বসে। জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম প্রাচীন এই কালীবাড়িতে এমনিতেই কালী পুজোর রাতে ভিড় উপচে পড়ে। এবার শ্যামা সঙ্গীতের আসর উপস্থিত সকলেই উপভোগ করেছেন। কালীমন্দির কর্তৃপক্ষের আয়োজনেই সঙ্গীতের আসর বসানো হয়েছিল। শহরের শিল্পী মর্মিতা মিত্র, অন্তরীপা শর্মা, সৌরভ হোম এবং মোহন গুপ্তরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। জলপাইগুড়ির সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পুজো মণ্ডপ সাজা হয়েছে পুতুল দিয়ে। যেন পুতুলের দেশ। নকশালবাড়ির ইউনাইটেড ক্লাব পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন এলাকার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। উজ্জ্বল সঙ্ঘ, কিশোর সঙ্ঘ এবং সাতভাইয়া স্পোর্টি ক্লাবের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ। এদিন সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির সন্ধানী ক্লাবের পুজো মণ্ডপেরও উদ্বোধন হয়। |