বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের একমাত্র চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছুটিতে চলে যাওয়ায় বিপাকে রোগী থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। মঙ্গলবার সকালে ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিতোষ বিশ্বাস ছুটির দরখাস্ত জমা দিয়ে কলকাতা চলে যান। বস্তুত, দীপাবলীর সময় চোখের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জেলা হাসপাতালে কোনও চোখের চিকিৎসক না থাকায় জেলার প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন দেখা দিয়েছে। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী খবর পেয়েই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হাসপাতাল সুপারের কাছে বিষয়টি জানতে চান। জেলাশাসক বলেন, “বিষয়টি শুনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিতোষবাবু টেলিফোনে অবশ্য বলেন, “বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে বালুরঘাট ছেড়ে আসতে হয়েছে। ছুটির দরখাস্ত দিয়ে এসেছি। সুপারকেও টেলিফোনে বিষয়টি জানিয়েছি।” সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডলও ছুটিতে। ভারপ্রাপ্ত সুপার ব্রিজেশ সাহা বলেন, “উনি কিছুই জানাননি। এই ভাবে ছুটিতে যাওয়া যায় না।” সুপার টেলিফোনে বলেন, “পরিতোষবাবুর ছুটি মঞ্জুর হয়নি। বালুরঘাটে ফিরে শোকজ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালেও একজন চোখের চিকিৎসক আছেন। তাঁকে এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। বালুরঘাটের হাসপাতালে পরিতোষবাবু ছাড়াও আরও একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ আছেন। তিনি দুই সপ্তাহ আগেই প্রশিক্ষণের জন্য ছুটিতে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই কাজে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতালেরই এক চিকিৎসককে শোকজ করে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন সুপার।
|
মেডিক্যাল কলেজে বিদ্যুৎবিভ্রাট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে বুধবার রাতে প্রায় দু’ঘন্টা অন্ধকারে থাকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মী, চিকিৎসকদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরাও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সিইএসসি খবর দেওয়া হলেও তাঁরা অনেক দেরীতে এসেছেন। যদিও সিইএসসি-র দাবি, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টিতে তাঁদের ত্রুটি নেই। হাসপাতালের সমস্যার জন্যই ওই ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। |