এলপিজি গ্যাস-ভর্তি একটি ট্যাঙ্কার উল্টে আগুন ধরে গেল। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন প্রায় ঘণ্টা পাঁচেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার রাজহাট এলাকায় দিল্লি রোডে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘটনাস্থলের প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা ব্যাসার্ধ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
কল্যাণী থেকে ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে আসা আধিকারিকেরা জানান, ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ ঘটলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারত। এ ব্যাপারে দমকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাঁরা। মহকুমাশাসক (সদর) জলি চৌধুরী বলেন, “দমকলকর্মীদের তৎপরতায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে ট্যাঙ্কারটি হলদিয়া থেকে কল্যাণী যাচ্ছিল। ভোর পাঁচটা নাগাদ রাজহাটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। আওয়াজ পেয়ে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে আসেন। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি বুঝে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দমকলও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই অবস্থাতেই ট্যাঙ্কারটি পড়ে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ কোনও ভাবে সেটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী আনা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহকুমাশাসক (সদর) জলি চৌধুরী, দুই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত এবং তপন মজুমদার। মহকুমাশাসক ইন্ডিয়ান অয়েলের আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন।
আগুন বাড়তে থাকায় আশপাশের লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন আয়ত্বে আসে দমকলকর্মীদের। দমকলের বিভাগীয় আধিকারিক (এফ ডিভিশন) সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষাল বলেন, “কী থেকে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তৈল সংস্থার লোকজন না আসা পর্যন্ত ট্যাঙ্কারটিকে সরানো সম্ভব ছিল না। তাই, আমরা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগে থেকেই সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিলাম।” |