কালীপুজোর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এলাকার একটি বহুতলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ল্যাডার সহ ১২টি ইঞ্জিন। বিপর্যয় মোকাবিলার দল। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এলাকার ৪ নম্বর গার্স্টিন প্লেসের ওই চারতলা বাড়িটির তিন তলার একটি ঘর থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পুলিশে ও দমকলে খবর দেন। পরে তিনতলা থেকে আগুন ক্রমশ ওই বাড়িটির চারতলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর সময় বাড়িটির পিছন দিকের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে।
তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার তরফে কয়েক বছর আগেই ওই বাড়িটি বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মাস দেড়েক আগে বাড়িটির কিছু অংশ ভেঙেও পড়েছিল। আগে বাড়িটির তিন ও চারতলায় লোকজন বসবাস করলেও এখন কেউ সেখানে বসবাস করেন না। তবে ওই বহুতলটির এক ও দুই তলায় অফিস রয়েছে। দমকল কর্তাদের কথায়, পুরনো দিনের ওই বাড়িটিতে কাঠের সিড়ি ও কড়িকাঠ রয়েছে। সেই কারণেই আগুন দ্রুত উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ক্রমশ ছড়াতে দেখে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি মই নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন, “ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। শর্ট-সার্কিট বা বাজির থেকেও এই আগুন লাগতে পারে। বহুতলটির সামনে ও পিছন থেকে জল দেওয়া হচ্ছে। পুরনো বাড়ি হওয়ায় প্রথমে দমকল কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে।” তবে দমকল কর্তাদের কথায়, ফরেন্সিক তদন্তে আগুন লাগার কারণটি পরিষ্কার জানা যাবে। ওই বহুতলটি কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলেন, “তিন তলায় সিয়ারাম ঠাকুরের ঘরে প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকেই আগুন উপরের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।” রাতের দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ দিন রাতে শেক্সপিয়র সরনিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অফিসেও আগুন লাগে। এ ছাড়াও কোলে মার্কেটে মাছের বাজারে আগুন লাগলে সেখানে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। |