নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
ইসিএলের বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মীকে পুনরায় নিযোগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৪৯ ও ৬২ দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে অন্ডালের কাজোড়া এরিয়ার জেকে রোপওয়েজের ওই দুই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়েছে, এ কথা জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এক মাসের মধ্যে ওই দুই খনিকর্মীকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসিএলের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেকে রোপওয়েজের কর্মী সুরেশ ভুঁইয়াকে ২০০৭-এর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৬২ দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে চার্জশিট জারি করা হয়। ২০০৯ সালের ১৬ মার্চ চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে প্রতিকার না মেলায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বলে জানান সুরেশবাবু।
প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে সালানপুর এরিয়ার বেগুনিয়া কোলিয়ারির কর্মী সোনাতোড় মারান্ডির ক্ষেত্রেও। ২০০৭-এর ২৪ মে থেকে মোট ৪৯ দিন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ১২ জুলাই তাঁর নামে চার্জশিট পাঠান কর্তৃপক্ষ। সোনাতোড়বাবু জানান, তিনি অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে অসুস্থতার কথা বিশদে জানান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। ২০০৯ সালের জুনে সোনাতোড়বাবুকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরে তিনি বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়ে আবেদন করেও কোনও সমাধান হয়নি বলে জানান। শেষে ২০১০ সালের শুরুতে তিনিও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এর পরে আদালত দু’টি মামলারই হলফনামা জমা দিতে বলে ইসিএলকে। তাতে ইসিএলের তরফে জানানো হয়, দু’জনই বিনা অনুমতিতে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। সে কারণে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। ওই দুই খনিকর্মীর আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপেন সেনের এজলাস থেকে জানানো হয়, লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়েছে ওই দুই কর্মীর। এক মাসের মধ্যে সংস্থাকে দু’জনকেই ফের নিয়োগের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসিএলের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |