ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হল এক যুবককে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে গুড়াপের গুড়বাড়ি অঞ্চলের মহেশগুড়িয়ায়। গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা ও তাঁর স্বামীকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে নয়ন মালিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আলোদেবীর। তাঁদের চার বছরের এক পুত্রসন্তান আছে। সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় (৩২) নামে স্থানীয় এক যুবকের জমিতে চাষের কাজ করতেন নয়ন। গত তিন মাস ছিলেন সেখানেই। ইতিমধ্যে আলোর সঙ্গে সুমন্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানতে পারেন নয়নবাবু। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। সোমবার রাতে সুমন্তকে ডেকে পাঠানো হয়। দু’জনের তর্কাতর্কি বাধে। অভিযোগ, নয়ন হাঁসুই দিয়ে কোপ মারেন সুমন্তের মাথায় ও পায়ে। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে আসেন। স্ত্রীকে নিয়ে নয়ন ওই রাতেই ধনেখালিতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সুমন্তকে বাড়ির লোক নিয়ে যান ধনেখালি হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই মারা যান ওই যুবক। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। সুমন্তর বাবা অভয়পদ বন্দ্যোপাধ্যায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তারই ভিত্তিতে এ দিন নয়নের শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধরা পড়েছেন আলোদেবীও।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন দু’জন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড় থানার জিরাট পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃত সুদেব ঘোষ (৫৫) এবং দেবাশিস ঘোষ (১৭) সম্পর্কে জ্যাঠা-ভাইপো। পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ সুদেববাবু জমিতে চাষে কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এ দিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ দেবাশিস দেখে জমির এক কোণে পড়ে আছে জ্যাঠার দেহ। তাঁকে জড়িয়ে ধরতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দেবাশিস। মারা যায় সে-ও। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উদ্ধার করা হয় দু’জনের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মাঠের উপর দিয়ে গিয়েছে হাইভোল্টেজ তার। সেটি ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন দু’জন। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য।
|
মঙ্গলবার রাতে আরামবাগের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে বাসিন্দারাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ১৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কোথা থেকে বোমা এল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |