‘ডিউটি’ থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই হাসপাতালে দেখা যায় না চিকিৎসককে। ‘ফাঁকি’র এমন অভিযোগ পেয়ে আচমকা পরিদর্শনে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। শনিবার সকালে রাজগঞ্জ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক শর্মিষ্ঠা দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ছাড়াও হাসপাতাল ঘুরে আরও কিছু ‘বেনিয়ম’ চোখে পড়ে তাঁর। এই সময় স্থানীয় গ্রামবাসীরা ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার প্রদীপ মজুমদারকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভও দেখালেন। খগেশ্বরবাবু এ দিন বলেন, “রাজগঞ্জের কালীনগর প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা তলানিতে ঠেকেছে। মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পান না বলে অভিযোগ পাচ্ছিলাম। এ দিন সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখলাম চিকিৎসক কোয়ার্টারে রয়েছেন।” রাজগঞ্জ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের আধিকারিক শর্মিষ্ঠা দাস বলেন, “বাসিন্দাদের অভিযোগ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানানো হবে।”
|
রাজ্যে আর্সেনিক, ফ্লোরাইডের মোকাবিলায় এ বার মোবাইল ভ্যান পাঠাচ্ছে দিল্লি। তবে কতগুলি মোবাইল ভ্যান পাঠানো হবে, তা এখনও জানতে পারেনি রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। পানীয় জলে দূষণের মাত্রা পরীক্ষার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরবে এই ভ্যান।
বর্তমানে ১২ টি মোবাইল ভ্যান দিয়ে রাজ্যে জল পরীক্ষার কাজ করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের নিজেদের মোবাইল ভ্যান আছে ১২ টি। তবু আরও ভ্যান পেলে সুবিধাই হবে।” কেন্দ্র যাতে আরও ৬টি ভ্যান রাজ্যকে দেয়, তার জন্য দফতরের সচিব সৌরভ দাস গত মঙ্গলবার দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের এখনকার ভ্যানগুলির মতোই নতুন ভ্যানে জল পরীক্ষার সব আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে বিশুদ্ধ জলের পাউচ রাখা হবে। কোনও এলাকায় পানীয় জলে দূষণ ধরা পড়লে সেখানে জলের পাউচ বিলি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।” শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশেই জলে দূষণ পরীক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন পানীয় জল ও নিকাশি সংস্থা। জাতীয় গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকার থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে জলদূষণ পরীক্ষা ও নিরাময়ের কাজ করার জন্য রাজ্যে রাজ্যে মোবাইল ভ্যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
|
বাসিন্দাদের দাবি মেনে হলদিবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকারকে সরিয়ে নিল স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেন ওই চিকিৎসক। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শনিবার কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হলদিবাড়ি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি চিকিৎসককে বদলির দাবি জানান। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানিকলাল দাস দাবি মেনে নেন। তিনি বলেন, “বিশ্বজিৎবাবুকে এলাকার কেউ চাইছে না। তাই তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।” হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “চিকিৎসকের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছিল। ওই কারণে আমরা তাঁর বদলি চেয়েছিলাম। স্বাস্থ্যকর্তা দাবি মেনে নিয়েছেন।”
|
এক রোগিণীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ব্যারাকপুরের যামিনীভূষণ দে মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কিছু আসবাবপত্র ও কাচ ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পলতা শান্তিনগরের বাসিন্দা দীপিকা বিশ্বাস (২০) গলব্লাডার অস্ত্রোপচারের জন্য শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকালেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে দীপিকার অবস্থার অবনতি হয়েছিল। কিন্তু কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি। শনিবার সকালেও কোনও চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। পরে এক চিকিৎসক দীপিকাকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর কথা বলেন। সেই ব্যবস্থা করতে ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় দীপিকা মারা গিয়েছেন। যদিও দীপিকার পরিবারের লোকজন কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়, ওই রোগিণীর চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি বা চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল না। হাসপাতালটি পুরসভা পরিচালিত। পুরপ্রধান মলয় ঘোষ বলেন, “হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। রোগিণীর আত্মীয়দের ভুল বোঝানো হয়েছিল। চিকিৎসা ঠিকই হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তবু কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
|
রাজ্যের উন্নয়নে সাফল্যের জন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছিল মার্কিন কংগ্রেসের তথ্য সহায়ক সংস্থা। অথচ ২০১১ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্ট বলছে, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান দু’টি সূচকে বেশ পিছিয়ে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত। গত কাল প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রায় ৪৪.৬% অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় ৭০% শিশু রক্তাল্পতায় আক্রান্ত। এই ফলাফলের নিরিখে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের থেকেও পিছিয়ে গুজরাত। তবে রিপোর্টে এ-ও জানানো হয়েছে, গত এক দশকে মানব উন্নয়ন সূচক ২১% উঠেছে। |