চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল আর জি কর হাসপাতালে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতার আত্মীয়েরা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, গত ১৫ অক্টোবর মিতা বিশ্বাস (৪৯) হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আর জি কর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন। অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার পরে মিতাদেবীর হৃদযন্ত্রে ‘ব্লক’ পাওয়া যায়। এর পাঁচ দিন পর ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়। সে দিন রাত থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শনিবার সকালে তিনি হাসপাতালেই মারা যান।
এই ঘটনার পরেই রোগিণীর আত্মীয়েরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন। তাঁরা হাসপাতালের সুপার পার্থজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেন, যে চিকিৎসক স্টেন্ট বসিয়েছেন, তিনি তা সঠিকভাবে করেননি। এমনকী, যে মানের স্টেন্ট বসানোর কথা, তাও বসানো হয়নি। আরও অভিযোগ, রোগিণী মারা যাওয়ার পরেও তাঁর আত্মীয়দের জানানো হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় মৃতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সুধাংশু শেখর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এই অভিযোগ আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষার অধিকর্তা সুশান্ত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে।” অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডেপুটি সুপার জানান, স্টেন্ট বসানোর পর শারীরিক জটিলতার কারণে মিতাদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা। তবে মৃতার পরিবাবের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। |