শাস্তি নয়, বুঝিয়ে ভুল শোধরাতে পরামর্শ শিশু অধিকার কমিশনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোনও পড়ুয়া ক্লাসে দুষ্টুমি করলে বা কথা না শুনলে জরিমানা করে, বাড়তি হোমওয়ার্ক দিয়ে কিংবা ক্লাসরুম থেকে বের করে তাকে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর।
কিন্তু শারীরিক নিগ্রহমূলক না হলেও এ ভাবে শাস্তি দিলে পড়ুয়ার উপরে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে মত জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)-এর। কোনও শাস্তি দিয়ে নয়, বারবার বুঝিয়ে পড়ুয়ার ভুল শোধরানোর পরামর্শ দিচ্ছে ওই কমিশন।
রাজ্যে শিশুদের অধিকার নিয়ে দু’দিনের জনশুনানি শেষে শুক্রবার কমিশনের চেয়ারপার্সন শান্তা সিংহ বলেন, “যে ধরনের শাস্তির নিদান সরকারি নির্দেশিকায় রয়েছে, তাতে শারীরিক নিগ্রহ না হলেও এগুলি স্কুলপড়ুয়াদের মানসিক নির্যাতনেরই নামান্তর। শাস্তি না দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ছাত্রছাত্রীদের ভুল বোঝানো দরকার।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষার অধিকার আইনে বলা আছে, স্কুলে পড়ুয়াদের শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহমূলক শাস্তি দেওয়া যাবে না। অথচ সরকারি নির্দেশিকাই সেই আইন অমান্য করছে বলে অভিযোগ শান্তাদেবীর। পাশাপাশি, ওই আইনে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের নিখরচায় পড়ানোর কথাও বলা আছে। এ ক্ষেত্রেও রাজ্যের সরকারি নির্দেশিকা আইনের বিরোধী বলে তাঁর অভিযোগ।
এ দিন শান্তাদেবী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের দু’টি সরকারি নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় আইনকে অমান্য করছে। একটিতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, অন্যটিতে স্কুলের উন্নয়ন খাতে ২৪০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা অবৈধ।” স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষার অধিকার আইন এখনও এ রাজ্যে কার্যকর হয়নি। তাই হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ওই আইনের ব্যত্যয় ঘটছে।”
|
দলকে ‘জনমুখী’ করতে কংগ্রেসে ‘সমন্বয়’ কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সংগঠনকে ‘মজবুত’ করতে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে ‘সমন্বয়’ গড়ে তোলার জন্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মেনেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘সমন্বয় কমিটি’ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের কথায়, “দলের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক জটিলতা দূর করে কংগ্রেসকে অনেক বেশি করে ‘আম-আদমি’র কাছে নিয়ে যাওয়াই সমন্বয় কমিটির মূল লক্ষ্য।” কমিটির প্রথম বৈঠকের পরে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত শাকিল আহমেদ বলেন, “আমরা সমস্ত দলীয় মন্ত্রী ও বিধায়ককে বলেছি, তাঁরা জেলা সফরে গেলে জেলা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তেমনই নিয়মিত প্রদেশ কংগ্রেস দফতরেও তাঁদের যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ, মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা জানা এবং তা সমাধানের কাজে অনেক বেশি সময় দেওয়া দরকার কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিদের।’’ গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল না। এখন তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু বহু জায়গায় কংগ্রেস দফতর থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের উপর ‘হামলার’ ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তাতে সাধারণ, নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের ‘নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা’ প্রয়োজন বলেও দলীয় নেতাদের অভিমত। |