বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নেই, দাবি ডানলপের
ডানলপ কর্তৃপক্ষের দাবি, সাহাগঞ্জ কারখানার বিদ্যুতের বিল বাবদ কোনও টাকা তাঁদের বকেয়া নেই। কিন্তু বিদ্যুৎমন্ত্রী মনীশ গুপ্তের অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল বাবদই ডানলপের কাছে ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পাবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি।
নিজেদের দাবির পক্ষে শনিবারই একটি হিসাব দাখিল করেছেন ডানলপ কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁদের দাবি, ২০০৯ সালে সাহাগঞ্জ কারখানা খোলার পর যে বিদুৎ খরচ হয়েছে, তার পুরো টাকাই মিটিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সঙ্গে করা চুক্তি মেনে ডানলপের পুরনো মালিক ছাবরিয়াদের আমলের বাকি পড়া বিদ্যুতের বিল মেটাতেও কিস্তিতে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারই বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত অভিযোগ করেছিলেন, “দু’বছর আগেই ডানলপকে কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ওরা বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। টাকাও মেটায়নি।” এ দিনও তিনি ফের বলেন, “বিভিন্ন সময়ে বন্টন কোম্পানির সঙ্গে করা চুক্তি ‘বেপরোয়া ভাবে’ ভঙ্গ করেছেন কর্তৃপক্ষ।” সংস্থার কাছে বিল বাবদ ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ডানলপ কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাবরিয়াদের আমলের পুরনো বিল হিসেবে ওই ১২.৬০ কোটি টাকা মেটানো এখনও বাকি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ওই টাকা কিস্তিতে মেটানোর শর্তেই চুক্তি হয়েছিল বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির সঙ্গে। যা মেনে কিস্তির টাকা মিটিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অর্থাৎ, টাকা বাকি থাকলেও, তা চুক্তি মেনে মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই কর্তৃপক্ষের দাবি।
এর বিশদ ব্যাখ্যা হিসেবে ডানলপ কর্তৃপক্ষ জানান, ২০০৯ সালে সাহাগঞ্জের কারখানা খোলার সময়েই বন্টন কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি করে সংস্থা। যার শর্ত ছিল, মোট ১০৮ কিস্তিতে পুরনো বিল মেটাতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলের টাকা। এই দুই শর্তই মানা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি।
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ জানান, বন্টন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনার পর ২০০৯ সালে তাদের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল ১,৬১,৩৩,১০০ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি। কখনও মাসিক বিদ্যুৎ বিলের টাকা কিংবা পুরনো বিলের কিস্তি জমা না দেওয়া হলে, তা কেটে নেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি থেকে। এবং ছাবরিয়াদের আমলের পুরনো বিলের কিস্তি ও বিদ্যুৎ বিলের যে টাকা জমা দেওয়া হয়নি, তা উসুল করে নেওয়ার পরেও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিতে এখনও ১৬,১০,০৯১ টাকা রয়েছে বলে হিসাব দাখিল করেছেন কর্তৃপক্ষ। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ফের অভিযোগ তুললেও মণীশবাবুর আশ্বাস, “আগামী দিনে সংস্থা কী চায় তা জানালে, আমরা ভেবে দেখব।’’

ধনতেরাস উপলক্ষে
উৎসবের মরসুমে ব্যবসা বাড়াতে ধনতেরাস এবং দেওয়ালিকেই পাখির চোখ করছে গয়না বিপণিগুলি। এই উপলক্ষে গীতাঞ্জলি জুয়েল্স-এর বিপণি-সহ গড়িয়াহাট ও বৌবাজারের ডি কে বসাক জুয়েলার্স, বিধান সরণির দত্ত গিনি ম্যানসনের বিপণিতে চলছে এক গুচ্ছ প্রকল্প। পাশাপাশি, বৌবাজারে আর চৌধুরী অ্যান্ড সন্স ও দত্ত গিনি প্যালেসের বিপণিতেও নানা সুবিধা মিলছে। বিভিন্ন বিপণিতে সোনা ও হিরের গয়নার মজুরিতে ২০% থেকে ৫০% ছাড় মিলবে। রয়েছে বিভিন্ন উপহারের সুযোগও। গ্রাহক টানতে রাত্রেও কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন ধরেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে বিপণিগুলিতে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.