|
|
|
|
 |
 |
খেয়াল রাখুন |
|
দ্য অ্যাসোসিয়েশন টু অ্যাডভান্স কলিজিয়েট স্কুলস অফ বিজনেস (এ এ সি এস বি)-এর সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল। বিশ্ব জুড়ে ৭০টির-ও বেশি দেশের প্রায় ১,২০০টি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটির সদস্য। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এ এ সি এস বি-র ছাদের তলায় আসলে এক দিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজনেস স্কুলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা সম্ভব হয়। ফলে জানতে পারা যায় তারা কী পড়াচ্ছে বা কী ভাবে পড়াচ্ছে। অন্য দিকে, পাঠ্যক্রমগুলি আরও উন্নত করে তোলার ক্ষেত্রেও তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে সাহায্য করে এ এ সি এস বি।
গ্লোবসিন কর্তৃপক্ষের দাবি, এই স্বীকৃত পাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক মানের বিজনেস স্কুল হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে গ্লোবসিনের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক কর্মশালা ও আলোচনা সভায় যোগদানের সুযোগ পাবেন। খুলে যাবে সারা বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদদের থেকে পরামর্শ নেওয়ার পথও। প্রসঙ্গত, কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের পর এ রাজ্য থেকে তারাই দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই সদস্য পদ পেল। আর এই হিসেবে গোটা পূর্বাঞ্চলে গ্লোবসিন ষষ্ঠ। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে দেখে নাও www.globsyn.edu.in ওয়েবসাইটটি।
|
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিজনেস স্কুল এক্সএলআরআই জামশেদপুর-এর ক্যাম্পাসে এ বার তৈরি হচ্ছে ‘বিহেভিয়রাল ল্যাব’ বা মানুষের ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করার জন্য বিশেষ গবেষণাগার। যা ব্যবহার করতে পারবেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গবেষক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিচালন (ম্যানেজমেন্ট) ক্ষেত্রে ‘বিহেভিয়রাল স্টাডিজ’ (মানুষের ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য সংক্রান্ত পড়াশোনা) বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণা করার জন্য যা যা প্রয়োজন হয়, তার সব কিছুই এখানে রাখা হবে। বিশেষত ক্রেতার পছন্দকে কী ভাবে প্রভাবিত করা যায়, তা নিয়ে গবেষণার জন্য মানুষের অবচেতন মনে উঁকি মারতে আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত যাবতীয় উপকরণই এই গবেষণাগারটিতে মিলবে। বিহেভিয়র স্টাডিজ, অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়র স্টাডিজ, ইকনমিক, ফিনান্স, এইচ আর এম ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা প্রকল্প চালানোর সুযোগ এক্স এল আর আই-এর এই গবেষণাগারে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
|
পুণে শহরে ‘মেকাট্রনিক্স অ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রোগ্র্যাম’ নামের একটি পাঠ্যক্রম চালু করল ফোক্সভাগেন গ্রুপ ইন্ডিয়া। তিন বছর মেয়াদের পাঠ্যক্রমটি জার্মানির বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করে পড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
এই ‘জার্মান ডুয়াল সিস্টেম অফ ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’-এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দ্বৈত ব্যবস্থার মাধ্যমে। সেখানে এক দিকে ক্লাস করে পড়ুয়ারা এবং অন্য দিকে কোনও সংস্থায় হাতে-কলমে চলতে থাকে কাজ। এ দেশেও গাড়ি শিল্পে উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিকল্পনা, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি, গবেষণা ও উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে কাজের জন্য যোগ্য কর্মী গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের এই মডেলই কাজে দেবে বলে দাবি ফোক্সভাগেন গ্রুপ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের। সে ক্ষেত্রে শিল্পের চাহিদা মেনে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক ও ইনফর্মেটিক্সের পাশাপাশি গাড়ি তৈরির আধুনিক প্রযুক্তিগুলিও শেখানো হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে কর্মীদের ব্যক্তিত্ব ও যোগাযোগ ক্ষমতা বিকাশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণও। পুণের ফোক্সভাগেন অ্যাকাডেমি ট্রেনিং সেন্টার-এর চত্বরেই ক্লাস হবে। ভারতে দ্রুত হারে বাড়তে থাকা গাড়ি শিল্পের জন্য যোগ্য কর্মী তৈরি করতেই সংস্থার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ভারতে ফোক্সভাগেন গোষ্ঠীর মুখ্য প্রতিনিধি ও ফোক্সভাগেন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং এমডি জন চাকো।
|
আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর |
 |
|
প্রশ্ন: একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভবিষ্যতে আইন নিয়ে পড়তে চাই। দ্বাদশের পর কোথায় বিষয়টি পড়ানো হয় এবং এর জন্য কী পরীক্ষা দিতে হয়?
অপর্ণা বিশ্বাস, তাহেরপুর
উত্তর: দ্বাদশ পেরনোর পর ক্ল্যাট অর্থাৎ কমন ল অ্যাডমিশন টেস্টের মাধ্যমে দেশের একাধিক জাতীয় স্তরের প্রতিষ্ঠানে আইন পড়া যেতে পারে। এগুলি হল
১) ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (কলকাতা),
২) ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি (বেঙ্গালুরু),
৩) হায়দরাবাদের নালসার,
৪) ন্যাশনাল ল ইনস্টিটিউট অফ ইউনিভার্সিটি (ভোপাল),
৫) ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (যোধপুর),
৬) হিদায়াতুল্লাহ ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (রায়পুর),
৭) গুজরাত ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (গাঁধীনগর),
৮) ডক্টর রামমনোহর লোহিয়া ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (লখনউ),
৯) রাজীব গাঁধী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ল (পাতিয়ালা),
১০) চাণক্য ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি (পটনা) এবং
১১) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ (কোচি)। জানুয়ারি মাস নাগাদ ক্ল্যাটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরীক্ষা হয় মে মাসে।
এ রাজ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছ’টি কলেজে পাঁচ বছরের আইন পড়ার সুযোগ রয়েছে।
১) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল কলেজ ক্যাম্পাস (হাজরা),
২) যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ,
৩) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ,
৪) সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ,
৫) কিংস্টোন ল কলেজ,
৬) বিকাশভারতী ল কলেজ। ১০+২ পাশ করার পর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হয় কলেজগুলিতে। |
 |
এ ছাড়াও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিমলচন্দ্র কলেজ অফ ল (কান্দি), জে আর এস ই টি কলেজ অফ ল (পাঁচপোতা), মহম্মদ আব্দুল বারি ইনস্টিটিউট অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস (মানিকনগর), এস কে আচার্য ইনস্টিটিউট অফ ল-এ আইন পড়ানো হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেঙ্গল ল কলেজ, বাঁকুড়া সংহতি ল কলেজ, বিনোদা ল কলেজ, দুর্গাপুর ইনস্টিটিউট অফ লিগ্যাল স্টাডিজ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হলদিয়া ল কলেজ, সরশুনা ল কলেজ ইত্যাদিতেও ১০+২ উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইন পড়া যেতে পারে।
পাশাপাশি রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে দ্বাদশ পেরিয়ে পাঁচ বছরের ল পাঠ্যক্রম পড়ার সুযোগ আছে। যেমন, জ্যোতির্ময় স্কুল অফ ল, রবীন্দ্রশিক্ষা সম্মিলনী ল কলেজ, জলপাইগুড়ি ল কলেজ, মেদিনীপুর ল কলেজ, হলদিয়া ল কলেজ, বালুরঘাট ল কলেজ ইত্যাদি। |
 |
প্রশ্ন: কলা বিভাগের ছাত্র। কম খরচে কোন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটার শেখানো হয় জানালে উপকৃত হবো?
কল্লোল দাস, জলপাইগুড়ি
উত্তর: তুলনায় কম খরচে কম্পিউটারের বিভিন্ন পাঠাক্রম করার জন্য যোগাযোগ করতে পার রাজ্যের বিভিন্ন যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ বিভাগের অধীন কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি ছড়িয়ে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে যুব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন শাখা।
হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যার কম্পিউটারের সব ধরনের পাঠ্যক্রমই করানো হয়। ডিটিপি, মাল্টিমিডিয়া, ভিডিও এডিটিং, বিপিও-কলসেন্টার অপারেশন্স ইত্যাদিও রয়েছে পাঠ্যক্রমগুলির মধ্যে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখে নিতে পার yctc.co.in ওয়েবসাইটটি কিংবা ফোন করে নিতে পার প্রতিষ্ঠানের ২৩৩৪-৫৮৩১ নম্বরে। |
 |
প্রশ্ন: প্যাকেজিং-এর উপর কোর্স কোথায় করানো হয় জানালে উপকৃত হব।
কমলকৃষ্ণ মজুমদার, অশোকনগর
উত্তর: প্যাকেজিং-এর উপর পাঠ্যক্রমের কথা উল্লেখ করতে হলে প্রথমেই বলতে হয় ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ প্যাকেজিং-এর নাম। দেশের প্যাকেজিং ও সংশ্লিষ্ট শিল্প এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। দেশে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের পাশাপাশি কলকাতাতেও প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে।
এখানে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ওই বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের কাজও হয়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্যাকেজিং-এ যে পাঠ্যক্রমগুলি পড়ানো হয় দু’বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন প্যাকেজিং, তিন মাসের প্যাকেজিং-এর উপর সার্টিফিকেট কোর্স। এ ছাড়া দূরশিক্ষায় গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন প্যাকেজিং পাঠ্যক্রমও পড়তে পারে ইচ্ছুকরা। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করে নেওয়া যায় আই আই পি, ব্লক সি পি, সেক্টর-৫, সল্টলেকে গিয়ে। দেখে নেওয়া যেতে পারে প্রতিষ্ঠানের iip-in.com ওয়েবসাইটটি। |
|
|
 |
|
|