স্কুল ও সমবায়ে জিতল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
রবিবার জেলার একটি স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি ও কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই এই প্রথম নির্বাচন হল। এবং দু’টিতেই তৃণমূল জয়ী হয়েছে। ওই দিন সিউড়ি ২ ব্লকের বনশঙ্কা হাইস্কুলে দ্বিমুখী লড়াই হয় সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে। তাতে সব কটি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
১৯৭০ সালে গড়ে ওঠা এই স্কুলটি ক্রমে হাইস্কুলে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হল এই প্রথম। নির্বাচন না হওয়ার একমাত্র কারণ, এখানে কোনও বিরোধী প্রার্থী না থাকা। তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের দাবি, “১৯৮০ সালে সিপিএমের ৬ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিএমের সন্ত্রাসের কারণে কেউ আর ভোটে দাঁড়াননি। সিপিএম নিজেদের পছন্দ মতো লোকজনকে পরিচালন সমিতির দায়িত্বে বসিয়ে দিতেন। যদিও কাগজে কলমে ২০০৮ সালে নির্বাচন হয়েছে।” স্কুলের বর্তমান সম্পাদক সিপিএমের বনি ইস্রাইল বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। দলের কর্মীর অভাব ও তৃণমূলের হাওয়ার জন্য এ বার ভোটের ফল অন্য রকম হয়েছে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোরলাল ঘোষাল বলেন, “মোট ১২ জন প্রার্থী ছিলেন। ৬ জন জয়ী হয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল।” স্কুল নির্বাচনে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনেকে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে জোট হয়নি। এখানে ৯টি আসনের মধ্যে ৬টি পেয়েছে তৃণমূল। তিনটি পেয়েছে কংগ্রেস। এই নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি সাধন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রার্থী দিয়েছে। ৯টি আসনের মধ্যে সিপিএম কংগ্রেসকে ৫টি ছেড়ে দেয়। কংগ্রেস ৪টিতে প্রার্থী দেয়। শুধু তাই নয় আমাদের দলের এক নেতা আখের গোছাতে দলীয় প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছেন।”
কংগ্রেসের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, “তৃণমূল তিনটি আসনে হেরেছে। আর হারলেই কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে।” সিপিএমের সাঁইথিয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক জুরান বাগদি বলেন, “তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” |
রাতে আঁধার, দিনে আলো জ্বলে সিউড়িতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
সিউড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মালফটক থেকে লালকুঠি পাড়ার পুরনো মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় কোনও আলো জ্বলে না। অথচ বেশ কয়েকটি টিউব লাইট লাগানো হয়েছে খুঁটিতে। মসজিদের সামনে একটি পোলে ২টি টিউব লাগানো রয়েছে। অথচ একটাও জ্বলে না বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই। মসজিদের সামনে থাকেন কাজি কাজেমুল হক, শেখ আনাসুর রহমানের অভিযোগে, “এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরকে বার বার জানিয়েও আলো জ্বলেনি। পাড়ার ছেলেমেয়েরা বাইরে টিউশন পড়তে যায়। রাতে অন্ধকারে তাদের বাড়ি ফিরতে ভয় হয়।” ওই পাড়ারই ভেতরের দিকে দীর্ঘ রাস্তা অন্ধকার থাকে। অথচ সেখানে ৬টি টিউব লাইট রয়েছে। শুধু যে আলো জ্বলছে না তা নয়, মসজিদ থেকে একটু দূরে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব থেকে এসপি মোড় পর্যন্ত দিনের বেলায়ও আলো জ্বলে থাকে। কখনওই নেভে না। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামিমা বেগম অবশ্য বলেন, “কয়েক দিন ধরে কিছু রাস্তায় আলো জ্বলছে না বলে জানতাম না। দু’এক দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।” এ দিকে আলো না জ্বলা এবং দিনে আলো না নেভানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন, পুরপ্রধান তৃণমূলের উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। তিনি শুধু বলেন, “ব্যবস্থা নিচ্ছি।” |