টুকরো খবর
মোবাইল টাওয়ার নিয়ে বিধি চায় পরিবেশ দফতর
রাজ্যে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চায় পরিবেশ দফতর। শুক্রবার মহাকরণে পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার এ কথা জানান। তিনি বলেন, “মোবাইল টাওয়ার থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটি তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হচ্ছে।” মহাকরণ সূত্রের খবর, রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর পর আলোচনা করে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে? সূত্রের খবর, মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে নানা রকমের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, স্কুল-কলেজ বা হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে মোবাইল টাওয়ার বসানো যাবে না। দ্বিতীয়ত, কোনও বহুতল আবাসনের ছাদে টাওয়ার বসানোর জন্য বাসিন্দাদের সম্মতি নিতে হবে। মহাকরণ সূত্রের খবর, যততত্র মোবাইল টাওয়ার বসানোয় মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এই তেজস্ক্রিয়তার সর্বোচ্চ মাত্রা প্রতি বর্গমিটারে ৪.৭ ওয়াট। কিন্তু এ রাজ্যে-সহ গোটা দেশে তার অনেক বেশি মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়। যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে বিরল।

বিনামূল্যে ওষুধ প্রসূতিদের
ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদের ওষুধের যাবতীয় খরচ বহন করার নির্দেশ সম্প্রতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশ মেনে কাজ শুরু হয়েছে বীরভূমে। সিউড়ি সদর এবং রামপুরহাট ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল তো বটেই, প্রসব করানো হয় এমন ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদেরও ওষুধের যাবতীয় খরচ দেওয়া হবে। বিপিএল থেকে এপিএলভুক্ত পরিবার এই সুবিধা পাবেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিসকুমার মল্লিক বলেন, “গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্য স্বাস্থ্যভবন থেকে এই নির্দেশ জারি হয়েছে। সেই মতো এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। এর জন্য সাড়ে ২৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাহিদা মতো বিভিন্ন দোকান থেকে ওষুধ কিনে দেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, শুধু ওষুধ কিনে দেওয়া নয়, প্রসূতিদের যাবতীয় পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা হয়েছে বিনামূল্যে। সেই সঙ্গে প্রসূতিদের বাড়ি থেকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসার খরচ বহন করছে স্বাস্থ্য দফতর। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া খয়রাশোলের যোগমায়া গড়াই, সাঁইথিয়ার সোমা মাহাতোরা বলেন, “আমাদের অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু কোনও রকম ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়নি।” সোমাদেবীর স্বামী মঙ্গলবাবুর কথায়, “দু’বছর আগে এই হাসপাতালে আমার প্রথম সন্তান হয়েছে। সেই সময় বাইরের দোকান থেকে প্রায় দেড় হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়েছিল। এ বার তা করতে হয়নি।”

স্যালাইনের অভাব
রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডে শুক্রবার দুপুরে স্যালাইনের অভাব দেখা দেয়। অনেক রোগীকে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হয়। ওই ওয়ার্ডে এ দিন দুপুর পর্যন্ত ৮টি শিশু-সহ ৪৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। স্যালাইনের জোগান না থাকায় রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মাঝেমধ্যে স্যালাইনের জোগানে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই হাসপাতালে মাসে গড়ে সাধারণ স্যালাইন লাগে ৫ হাজার বোতল। তার জোগানে মাঝেমধ্যে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হয়। এ দিনও দুপুরের পর থেকে সাধারণ স্যালাইনের জোগানে ঘাটতি দেখা দেয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”

হাসপাতালকে দূষণ-হুঁশিয়ারি
হাসপাতাল চত্বরে জুড়ে আবর্জনা। প্রতিদিন চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য সরানো হলেও হাসপাতালের চারপাশে রোগী এবং পরিবারের লোকেদের ফেলা আবর্জনা সরানো হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দ্রুত ব্যবস্থা না-হলে দূষণ মুক্তির সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আবর্জনা সরানোর দায়িত্ব পুরসভার। তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার সুপ্রিম সাহা বলেন, “মহকুমা হাসপাতালের দৈনন্দিন মেডিকেল বর্জ্য পদার্থ একটি সংস্থা নিয়ে গেলেও সাধারণ মানুষ ও রোগীর আত্মীয়দের ফেলা বর্জ্য নিয়ে সমস্যা তৈরী হয়েছে। হাসপাতালের মর্গের সামনে যে অস্থায়ী বর্জ্য ফেলার জায়গাটি রয়েছে তাও ভরে গিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুর চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার তরফে নিয়মিত মহকুমা হাসপাতাল থেকে আবর্জনা সরানো হচ্ছে। একটি বেসরকারি সংস্থা হাসপাতালের সমস্ত বর্জ্য নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারণ জঞ্জাল, রক্তমাখা ব্যান্ডেজ, তুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। তা পুরসভার পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। মহকুমা হাসাপাতাল নিয়মিত সাফাই না করার অভিযোগ ভুয়ো। তবে পুরসভার তরফে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার রাখতে প্রচার চালানো হবে।” জুলাইয়ে পর্ষদের তরফে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে হাসপাতাল চত্বরের আবর্জনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ২৯ আগস্ট সহকারী সুপারকে কলকাতার সল্টলেকে দফতরে ডেকে পাঠান দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা।

ক্যান্সার নির্ণয় কেন্দ্র
ক্যান্সার রোগীদের পরামর্শ এবং সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে শিলিগুড়িতে খোলা হল অ্যাপোলো স্পেশালিটি ক্যান্সার হাসপাতালের যোগাযোগ কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের কাছেই ওই কেন্দ্র খোলা হয়। কর্তৃপক্ষ জানান, ক্যান্সার আক্রান্ত, বা প্রাথমিকভাবে রোগ সংক্রমণ মনে হচ্ছে এমন রোগী কোথায় চিকিৎসা করাবেন, কেমন কী খরচ হতে পারে এই যোগাযোগ কেন্দ্রে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। শুক্রবার শিলিগুড়িতে হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ দেবনারায়ণ দত্ত বলেন, “এই কেন্দ্র থেকে পাঠানো রিপোর্ট চেন্নাইয়ের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেখে প্রয়োজনীয় মত দেবেন। প্রয়োজনে টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে রোগীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন।” যোগাযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুর্জয় পাল মজুমদার জানান, চটজলদি রোগীরা যাতে পরিষেবা পান সেটাই মূল উদ্দেশ্য। বিস্তারিত তথ্য, চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ সমস্ত ব্যবস্থাই এই কেন্দ্র থেকে করা হবে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প
আইআইটি-র অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা চিকিৎসা প্রকল্প চালু হচ্ছে। ‘আইআইটি অ্যান্ড আদার সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র খড়্গপুর শাখার সম্পাদক অমরকান্তি কুমার বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে প্রকল্প চালু হয়েছে।” তিনি জানান, অবসরের সময় কর্মীরা এককালীন টাকা জমা দিলে সুবিধা পাবেন। অবসরপ্রাপ্তেরা আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন দিলে এই সুবিধা পাবেন।

জল-সঙ্কট হাসপাতালে
পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ায় জল-সঙ্কট দেখা দিল কেশপুর ব্লক হাসপাতালে। সমস্যায় পড়লেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। বৃহস্পতিবার রাতে পাম্পটি হঠাৎ অচল হয়ে পড়ে। দেখা দেয় তীব্র জল-সঙ্কট। এখন প্রায়শই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে, পাম্প থেকে জল তোলার কাজও ব্যাহত হয়। কেশপুর হাসপাতালে একটি সাব মাসির্বল পাম্প রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে পাম্প মেরামতের কাজ শুরু হয়। দুপুরের দিকে মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে, জলের সমস্যা রয়েইছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখানে একটি নতুন পাম্প বসানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দরবারও করা হয়েছে। জল সংকটের কথা স্বীকার করে কেশপুরের বিএমওএইচ জয়দেব মন্ডল বলেন,‘‘ পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলেই সমস্যা দেখা দেয়। পরে তা মেরামত করা হয়েছে।”

ঘাটালে নতুন হাসপাতাল
একটি বেসরকারি হাসপাতালের নতুন শাখা খুলল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। এএমআরআই-এর ওই শাখার উদ্বোধন হয়েছে বৃহস্পতিবার। শহরের কুশপাতায় হাসপাতালের উদ্বোধনে এসেছিলেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার (উন্নয়ন) শুভাংশু রায় বলেন, “প্রাথমিক ভাবে সংস্থার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে এসে আউটডোরের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে ইনডোর-সহ সব ধরনের পরীক্ষার ইউনিট খোলা হবে। এই শাখার মাধ্যমে যে সব রোগী আমাদের সংস্থায় ভর্তি হবেন, তাঁরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন।”

শিবির
বিশ্ব আথরাইটিস দিবসে নিখরচায় শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর শিলিগুড়ির বলাইদাস চট্টোপাধ্যায় রোডের বাতের রোগের শিবির হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.