দোকানে ঢুকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। উত্তর ২৪ পরগনার টাকির চৌরঙ্গিতে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। শম্ভুনাথ দত্ত (৩৮) নামে ওই ব্যবসায়ীকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তিনি মারা যান। প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে টাকি স্টেশনে রেল অবরোধ ও চৌরঙ্গিতে টাকি রোড অবরোধ করেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। এলাকার দোকান বন্ধ রাখা হয়। এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ধারণা, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই খুন।” |
চৌরঙ্গি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “টাকিতে এমন ঘটনা আগে ঘটেছে বলে জানা নেই। তবে যে ভাবে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হল, তাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” হাসনাবাদের চৌরঙ্গিতে টাকি রোডের ধারেই শম্ভুবাবুর সোনার দোকান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ দোকানে একা বসেছিলেন তিনি। পাশেই অমল ঘোষ নামে আর এক জনের সোনার দোকান রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় তিনি বাইরে বসেছিলেন। অমলবাবু জানান, হঠাৎই মোটরসাইকেলে চেপে দু’জন আসে। বয়স ২৮-২৯ হবে। এক জন জিজ্ঞাসা করে, মালিক কোথায়? তাদের ভাবগতিক তাঁর ভাল ঠেকেনি। তাই তিনি ওই যুবকদের বলেন, মালিক নেই। অমলবাবুর কথায়, “দুই যুবক এ বার বাচ্চাদের আংটি আছে কি না, জানতে পাশে শম্ভুবাবুর দোকানে ঢুকে শাটার টেনে দেয়।” পুলিশ জানিয়েছে, দোকানে ঢুকে ওই যুবকেরা শম্ভুবাবুকে গুলি করে। শব্দ শুনে আশপাশের দোকানিরা ভেবেছিলেন হয়তো মোটর সাইকেল সারাইয়ের দোকানে টায়ার ফেটেছে। এর পর তাঁরা দেখেন শম্ভুবাবুর দোকান থেকে ২ যুবক বেরিয়ে আসছে। হাতে রিভলভার। বাইরে এসে তারা হুমকি দেয়, তাদের বাধা দেওয়া হলে গুলি চালাবে। পরে মোটরসাইকেলে হাসনাবাদের দিকে চলে যায়। এ দিন টাকিতে সোন্যেরবাগানে শম্ভুবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মা কল্যাণীদেবী ও স্ত্রী পূরবীদেবী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। শম্ভুবাবুর দোকানের কর্মচারী রাজেশ দত্ত বলেন, “ঘটনার পরে দোকানে গিয়ে দেখেছি কিছুই খোওয়া যায়নি।” কল্যাণীদেবী বলেন, “ছেলের সঙ্গে কারও গণ্ডগোল ছিল না। ব্যবসা নিয়েই থাকত। কেন ওকে খুন করা হল বুঝতে পারছি না।”
|