|
|
|
|
শান্তিপুরে ব্যাঙ্কে লুঠ ২১ লক্ষ টাকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিপুর |
দিনে দুপুরে শান্তিপুরের একটি ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল চার দুষ্কৃতী। শহরের ঘোড়ালিয়া মোড়ের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ ঢোকে দুষ্কৃতীরা। বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় তারা। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দুর্গাপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই দুষ্কৃতীরা ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে লুঠ করে পালিয়ে যায়। আমাকে ও ক্যাশিয়ার নির্মলকান্তি বিশ্বাসকে এক সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভল্টের তালা খুলতে বাধ্য করে। কাজ শেষ হতেই আমাদের স্টোর রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এ দিন একটি মোটরবাইকে করে ওই চার যুবক ব্যাঙ্কে আসে। ব্যাঙ্কে ব্যর্ধক্য ভাতা নেওয়ার ভিড় ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, “আচমকা ওই চার জন ব্যাঙ্কে ঢোকে। এক জনের মাথায় হেলমেট ছিল। সকলেরই বয়স ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে। একটা বড় ব্যাগ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তারা গ্রাহকদের দিকে তাক করে। এর পরে একে একে গ্রাহক ও কর্মীদের স্টেররুমের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় তারা।” এর পরেই ব্যাঙ্কের কাউন্টার থেকে টাকা লুঠ করতে থাকে ওই ডাকাত দল। ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার নির্মলাবাবুকে স্টোর রুমে আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেয় ডাকাতেরা। |
|
ডাকাতির তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র। |
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময়ে ব্যাঙ্কে জনা ত্রিশেক গ্রাহক এবং ৭ জন ব্যাঙ্ক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকলকেই ওই ডাকাতেরা ব্যাঙ্কের একটি ছোট ঘরে বন্ধ করে দিয়েছিল। ডাকাতেরা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বাথরুমে আটকে রাখা ব্যাঙ্ককর্মী ও গ্রাহকেরা সাইরেনের বোতাম টিপলে আশপাশের দোকান থেকে লোক চলে আসেন। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এক তলার একটি মিষ্টির দোকানের মালিককে ফোন করলে তিনি এসে দরজা খুলে সকলকে উদ্ধার করেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খবর দেওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জড়িয়ে রয়েছে। মাত্র ১২-১৫ মিনিটের মধ্যে লুঠ করে ডাকাত দলটি পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের ধারণা বেশ কয়েক বার দলটি ব্যাঙ্কে এসে ডাকাতির ছক কষেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের কাউন্টারের সামনে থেকে একটি জামা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি কালো বাক্স মিলেছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বম্ব স্কোয়াডের লোক এসে পরীক্ষার পরে বাক্সটি খোলা হবে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “আমি সকলের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। প্রতিটি ব্যাঙ্কের তরফে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী বহাল করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তাকর্মী রাখা হয়নি। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করা হয়েছে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানা গিয়েছে। আমরা প্রাথমিক তদন্তে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। আশা করছি অভিযুক্তেরা খুব দ্রুত ধরা পড়ে যাবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|