গোয়ালতোড়ের উন্নয়নে নেত্রীর কাছে যাচ্ছে দল |
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে গত জুলাইয়ে জঙ্গলমহলে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে তাতে গোয়ালতোড়ের নামোল্লেখ ছিল না। ফের জঙ্গলমহল সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের আশায় বুক বাঁধছেন গোয়ালতোড়বাসী। তাঁদের বক্তব্য, প্রথমে মাওবাদী ও পরে সিপিএমের সন্ত্রাসে দীর্ঘদিন এলাকার উন্নয়ন থমকে ছিল। পরিবর্তনের পরেও অবস্থা বিশেষ বদলায়নি। তাই সেচ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য-সহ সামগ্রিক উন্নয়নের দাবি নিয়ে মমতার কাছে দরবার করতে যাচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবারই মেদিনীপুরে পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, শনিবার ঝাড়গ্রাম যাবেন তিনি। এরই মধ্যে এক সময় দলনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন গোয়ালতোড় ব্লকের তৃণমূল নেতারা। দলের ব্লক সভাপতি রবি রায় বলেন, “গোয়ালতোড়ও জঙ্গল এলাকার মধ্যে পড়ে। উঁনি(মুখ্যমন্ত্রী) যাতে এই এলাকার প্রতি কিছুটা নজর দেন, সেই দাবি জানাব।” গোয়ালতোড়ের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। স্বাস্থ্য পরিষেবা, সেচ, রাস্তা বেহাল। বাসিন্দাদের দাবি, জিরাপাড়ার চৌরঙ্গিতে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হোক। তা হলে জিরাপাড়া ছাড়াও মাকলি, গোয়ালডাঙা-সহ বহু পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। এখন এই সব এলাকার মানুষকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে গোয়ালতোড় ব্লক হাসপাতালে যেতে হয়। পাথরপাড়ার শালবনি প্রাথমিক হাসপাতাল ফের চালু, গোয়ালতোড় ব্লক হাসপাতালকে ৩০ শয্যায় উন্নীত করার দাবিও উঠেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া, সেচের জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত একটি করে জলাধার ও একাধিক অগভীর নলকূপ, মাকলির পেড়ুয়াবাঁধ থেকে হাতিমশান-আমজোড় যাওয়ার জন্য খালের উপর সেতু, প্রতি গ্রামে পানীয় জলের নলকূপ-সহ নানা দাবি মমতার কাছে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
|
রাজ্য পূর্ত দফতরের কনস্ট্রাকশন বোর্ডে মেদিনীপুরে কর্মরত এক্সকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপক শী-র সন্ধান মিলছে না বৃহস্পতিবার থেকে। চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। চিন্তায় সহকর্মীরা। চরম উদ্বেগে পরিজনেরাও। বৃহস্পতিবার রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে মেদিনীপুর সদর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন থানায় দীপকবাবুর ছবি পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত অবশ্য তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাঁর মোবাইল ফোনটিও ‘সুইচড্ অফ’। বৃহস্পতিবার সকালে জেলাশাসকের দফতরে মিটিং রয়েছে বলে সেখপুরার সরকারি আবাসন থেকে বেরিয়ে যান দীপকবাবু। তার পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী সুমিতা শী। শরীর খারাপ নিয়ে মানসিক অস্থিরতাতেও ভুগতেন। অসুস্থতাজনিত কারণে প্রশাসনিক বৈঠকেও নিজে বিশেষ একটা উপস্থিত থাকতেন না। কোনও সহযোগীকে বৈঠকে ‘প্রতিনিধি’ করে পাঠাতেন। আজ, শনিবার মেদিনীপুরে জেলার সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে জরুরি বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সেখানে দীপকবাবুর মাপের আধিকারিককে ডাকার সম্ভাবনাও ছিল। ঠিক তার আগে ওই ইঞ্জিনিয়ারের অন্তর্ধান নিয়ে চাঞ্চল্য তাই বেশিই। পূর্ত দফতরের বিদ্যাসাগর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “অতি-সাধারণ জীবন-যাপন করতেন দীপকবাবু। তবে একটু একা থাকতে ভালবাসতেন।” |