পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র আপাতত পেল না লাভাসা শৈল নগরী। শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পূর্ব-শর্ত পূরণ না হওয়ার জন্যই এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়টি আপাতত ছাড়পত্র পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্র সরকার কী পদক্ষেপ করে এবং বম্বে হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত কী রায় দেয় তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। পরিবেশ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে সরাসরি অনৈতিক ও পক্ষপাতপূর্ণ বলে অভিযোগ করেছে নির্মাতা সংস্থা লাভাসা কর্পোরেশন। সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ১১ মাস ধরে এই প্রকল্পটিকে দেরি করে দেওয়ার প্রচেষ্টারই নামান্তর এই সিদ্ধান্ত। নির্মাতা সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত গুলাবচন্দ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, ২০০৪-এই রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ মন্ত্রক নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিও একই সুপারিশ করেছিল যা আবার গত জুনে মেনে নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রকই। এবং লাভাসা সব পূর্ব শর্তই পূরণ করেছে। পুণের অদূরে এই প্রকল্পটিকে ঘিরে সমস্যার সূত্রপাত বছরখানেক আগে যখন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন জয়রাম রমেশ। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী শরদ পওয়ারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অজিত গুলাবচন্দ প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা লগ্নি করে গড়ছেন এই লাভাসা শৈলনগরী। পরিবেশ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় গত নভেম্বরে কাজ স্থগিত রাখতে বলে পরিবেশ মন্ত্রক। যদিও নির্মাতা সংস্থার দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই প্রকল্প হচ্ছে। এ নিয়ে বম্বে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্ট পরিবেশ মন্ত্রককে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বলে। এ দিন কেন্দ্র জানিয়েছে, পূর্ব শর্ত পূরণ না হওয়ায় আপাতত আটকে থাকছে প্রকল্প। অন্য প্রকল্পেও ছাড়পত্র নেওয়ার আগেই নির্মাণ কাজ শুরুর যে উদাহরণ নির্মাতা দিয়েছে সেগুলির সঙ্গে লাভাসা প্রকল্পকে একসঙ্গে মেলাতে নারাজ এই মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, এই প্রকল্পটি যে হেতু অনেক বড়, পরিবেশ বিধি লঙ্ঘনের প্রভাবও তাই সুদূরপ্রসারী। তাই পূর্ব শর্ত পালন করা জরুরি। প্রায় ২০০০ হেক্টর এলাকায় প্রকল্পটি গড়ে উঠলেও নির্মাতার সংস্থা মাত্র ০.৫-৩ হেক্টরের কথা জানিয়েছিল বলে অভিযোগ তাদের। |