মানেসর কারখানা চত্বর থেকে সরলেন ধর্মঘটীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
টানা ৮ দিন মানেসর কারখানা চত্বরে ধর্মঘট চালানোর পর, শুক্রবার সেখান থেকে সরলেন মারুতি-সুজুকির ধর্মঘটী কর্মীরা। তবে, কারখানার বাইরে ওই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি ওই কর্মীদের। প্রসঙ্গত, কারখানার ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ধর্মঘট করা যাবে না বলে এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল হরিয়ানা হাইকোর্ট।
এ দিন দুপুরে কারখানা চত্বর থেকে ধর্মঘটীদের সরাতে সেখানে মোতায়েন করা হয় ১,৫০০ পুলিশ। সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কর্মীদের খাদ্য এবং জল সরবরাহ। তবে মারুতি কর্মীদের সমর্থনে ধর্মঘটে সামিল হওয়া সুজুকি পাওয়ার ট্রেনের কর্মীরা তাঁদের কারখানা চত্বর খালি করবেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ শুধু মারুতি-সুজুকি কর্মীদের জন্য। ফলে তাঁদের আন্দোলন চলবে।
এ দিকে, শুক্রবার আরও ২৫ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে মারুতি কর্তৃপক্ষ। এর ৯ জন শিক্ষানবিশ কর্মী। ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় ১৮ জনকে বরখাস্ত করেছে সুজুকি পাওয়ার ট্রেন-ও। সেখান থেকে ডিজেল ইঞ্জিন না মেলায় গুড়গাঁও -এ মারুতির কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল শুক্রবার। শনিবারও তা বন্ধ থাকবে। |
ফোক্সভাগেনের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ সুজুকি মোটরের
সংবাদসংস্থা • টোকিও |
বিতর্ক চলছিলই। গাঁটছড়া বাঁধার আড়াই বছরের মধ্যে এ বার সুজুকি মোটর কর্পোরেশন সরাসরি সহযোগী ফোক্সভাগেনের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনল। সুজুকি-র অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী জার্মান বহুজাতিকটি তাদের ‘হাইব্রিড’ প্রযুক্তি দেয়নি। এবং অবিলম্বে তা হাতে না পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার, এমনকী গাঁটছড়া ভেঙে দেওয়ারও হুমকি জানিয়েছে সুজুকি। যদিও ফোক্সভাগেনের দাবি, এই অভিযোগে একেবারেই অযৌক্তিক। পাল্টা আইনি পথ খোলার রাখার কথা জানিয়েছে তারাও।
গত ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ২৩০ কোটি ডলারে সুজুকি-র ১৯.৯% অংশীদারি হাতে নিয়েছিল ফোক্সভাগেন। মূল লক্ষ্য ছিল, হাইব্রিড-সহ পরিবেশ সহায়ক প্রযুক্তির আদানপ্রদান। সেই প্রযুক্তিই এখনও দেওয়া হয়নি অভিযোগ করে সুজুকি-র এগ্জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াই হারায়ামা বলেন, “চুক্তি না মানলে সুজুকি-র শেয়ার অবিলম্বে ফিরিয়ে দিক ফোক্সভাগেন।” দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা তাঁরা ঝুলিয়ে রাখতে চান না বলেও স্পষ্ট জানান তিনি। |
সব সঞ্চয় প্রকল্পের জন্য একটি তথ্যভাণ্ডারের প্রস্তাব সেবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এত দিন বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের জন্য গ্রাহককে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য (নো ইওর ক্লায়েন্ট) আলাদা আলাদা ভাবে জমা দিতে হত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তার পরিবর্তে এ বার প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য একটাই তথ্যভাণ্ডার তৈরির কথা ঘোষণা করল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি।
সেবির প্রস্তাব অনুযায়ী, শেয়ার কেনা-বেচাই হোক বা মিউচুয়াল ফান্ড, মূলধনী বাজারের যে কোনও সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নি করতে গেলে প্রথমেই নাম নথিভুক্ত করতে হবে ওই তথ্যভাণ্ডারে। অক্টোবরের শেষেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা ঘোষণা করবে তারা। এই দুই ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি চালু হওয়ার পর ব্যাঙ্ক ও বিমাতেও তা প্রয়োগ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে সেবি। ইতিমধ্যেই তারা এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। |
কলকাতা বিমানবন্দরে ডাক বিভাগকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। শুক্রবার জাতীয় ডাক সপ্তাহের শেষ দিনে চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (বেঙ্গল সার্কল) এস কে চক্রবর্তী এ কথা জানিয়ে বলেন, মান বাড়াতে নেওয়া নানা ব্যবস্থার মধ্যে আছে বিমানবন্দরের ডাক বিভাগে বিশেষ স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানোর উদ্যোগও। নতুন এই ‘প্রসেসিং সেন্টার’-এর যন্ত্রে ঘন্টায় ৪০ হাজার চিঠি বাছা যাবে, জানান তিনি। এ দিন ৪ কর্মীকে ডাক সেবা পদক দিয়ে স্বীকৃতিও জানান কর্তৃপক্ষ। |
পুণে-মুম্বই শিল্পাঞ্চলে ১৩৫ কোটি টাকা লগ্নিতে দিনে ৩০০ টন তরল গ্যাস উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা গড়ছে প্র্যাক্সএয়ার ইন্ডিয়া। এখান থেকে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের শিল্পাঞ্চলে গাড়ি, বস্ত্র, কাঁচ এবং অ্যালুমিনিয়াম-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে তরল অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং আর্গন সরবরাহ করবে তারা। |