কিছু দিন আগেই হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ আছে বলে অভিযোগ করে আমেরিকা। এর পরই বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন ড্রোন হানায় হক্কানি গোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ নেতা জাঁবাজ জারদান নিহত হয়েছে বলে খবর। তার সঙ্গে আরও দু’জন জঙ্গিও ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে বলে আমেরিকার এক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার আজ সাংবাদিকদের এ খবর দেন। তিনি
জানান, যখন এই হামলা হয় তখন ওই জঙ্গিরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।
ওই অফিসারের কথায়, জারদান দলে ‘জালিল’ নামে পরিচিত ছিল। হক্কানি গোষ্ঠীর প্রধান সিরাজুদ্দিন হক্কানির সঙ্গে জারদানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। জারদানের কাবুল এবং দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে ন্যাটো এবং মার্কিন বাহিনীর উপরে হামলার দায়িত্ব ছিল বলেও দাবি করেছেন ওই অফিসার। তবে আইএসআই এই হামলায় মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করেছে বলে যে কথা উঠেছে, সে ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন সেনার হামলায় আল কায়দা নেতা লাদেন নিহত হন। পাকিস্তানের অভিযোগ ছিল এ ব্যাপারে আমেরিকা তাদের কিছু জানায়নি। পরে আফগান সীমান্তে তালিবান অধ্যুষিত ওয়াজিরিস্তানে একাধিক ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। পাক সেনারা প্রতিবাদ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি আমেরিকা। হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ তোলার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে ওঠে। এর পরেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য আমেরিকার বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক গ্রসম্যান পাকিস্তানে এসেছেন। বিশেষজ্ঞের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার দরকার ছিল আমেরিকার। কারণ পাকিস্তানের সাহায্য ছাড়া ন্যাটো বা মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে কর্তব্যরত সেনা অফিসারদের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই অন্য একটি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে আরও ছয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা পাক সীমান্তে আমেরিকার সেনা ঘাঁটি লক্ষ করে মর্টার ছুড়ছিল। |