|
|
|
|
ঐশ্বর্যের আরাধনা শিল্পনগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শ্রী ও ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনায় মাতল পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পনগরী। লক্ষ্মীপুজো আজ আর শুধু গৃহস্থের ঘরেই সীমাবদ্ধ নয়। সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে এ বার হলদিয়া, মহিষাদল ও সুতাহাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে হলদিয়ার চাউলখোলা, শোভারামপুর, কিসমৎ শিবরামনগর গ্রামের পাঁচটি বারোয়ারি পুজোর জাঁকজমক টেক্কা দিয়েছে দুর্গাপুজোকেও।
চাউলখোলা ও শোভারামপুর গ্রামের মাঝখানে ঋষি অরবিন্দ স্মৃতি সঙ্ঘের পুজোর এ বার ৭৫তম বর্ষ। ৪০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ ফুল, মাদুরকাঠি দিয়ে সাজানো। সাবেক মাটির প্রতিমা। পুজোকমিটির কর্মকর্তা চিন্ময় মান্না জানান, ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পুজোর বাজেট। পুজো উপলক্ষে তিন দিন ধরে রয়েছে রক্তদান শিবির, যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
কিসমৎ শিবরমানগর গ্রামের প্রবেশপথেই মায়াপুরের লক্ষ্মী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। অগ্রণী সঙ্ঘের এই পুজো এ বার ৫৫ বছরে পড়ল। গ্রামেরই শিল্পী প্রশান্ত বেরা কাপড়ের উপরে থার্মোকলের কাজ করে ৬২ ফুট উচ্চতার সুদৃশ্য মণ্ডপটি বানিয়েছেন। পুজোর উদ্বোধন করছেন তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। সভাপতি সমীর মাইতি জানান, সাত দিন ব্যাপী মেলা বসেছে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গুহার আদলে মণ্ডপ গ্রামেরই সমন্বয় ক্লাবের। ৫৫তম বর্ষ এ বার। লক্ষ্মী প্রতিমার সঙ্গেই মণ্ডপে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবী ও বাহনের মূর্তি। ক্লাবের সভাপতি মুকুল মাজি জানান, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষ পুজোর কাজে হাত মেলান। এই গ্রামেরই বিনয়ী সঙ্ঘের মণ্ডপ খাজুরাহো মন্দিরের আদলে। ১৪ ফুট উচ্চতার ১৮টি হাতের মহালক্ষ্মী দেখতে ভিড় হচ্ছে ভালই। দেবীর সঙ্গেই রয়েছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। পুজোকমিটির সম্পাদক বাবুলাল মণ্ডল জানান, বাজেট ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। গ্রামের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি সঙ্ঘের পুজোর এ বার ৩৫তম বর্ষ। চার দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। সব মিলিয়ে শিল্পনগরীতে জমজমাট লক্ষ্মীপুজো। |
|
|
|
|
|