|
|
|
|
|
হরবোলা |
দোয়েল পাখি বা কোকিলের কূজন হুবহু শোনাতে পারেন তিনি। দুপুরে ঘুঘুর ডাক কিংবা মোরগের ডাক এতটাই নিখুঁত রপ্ত করেছেন যে তারা প্রত্যুত্তর না দিয়ে থাকতে পারে না। কাকেদের কলরব শোনালেই আশপাশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে কাকের দল। সিংহের আক্রমণে বুনো মহিষের আর্তনাদ, হাতির ডাক থেকে সিংহের গর্জন অবিকল নকল করেছেন তিনি। হরবোলা ভরত সাহা, পেশায় মালবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ডাক ভেন্ডার। আট-নয় বছর বয়স থেকেই নকল করার এই চেষ্টা শুরু, পরিণত বয়সে এসে একেবারে ডুবে রয়েছেন এই শিল্পে। রাত গভীর হলে শুরু হয়ে চর্চা। তাঁর ঝুলিতে আছে কুকুরের ঝগড়া, আহত কুকুরের আর্তনাদ কিংবা কান্না। চর্চিত গলায় ধরে রেখেছেন ঝড়ের শব্দ, সানাইয়ের সুর। আয়ত্ত করেছেন বাষ্পচালিত ট্রেনের ইঞ্জিনের আওয়াজ; পাশাপাশি চলমান দু’টি ট্রেনের ক্রসিং-এর শব্দ। শালিখের কিচিরমিচির তো আছেই। না, এখানেই থেমে থাকেননি। বন্য জন্তু সংরক্ষণ, মানুষের সঙ্গে বন্য প্রাণীর সংঘাত এড়ানোর মতো বিষয় তাঁর অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকেই প্রচার করেন ভরত সাহা।
|
ছবি: অনিতা দত্ত |
সৌরগ্রাম |
|
পৃথিবীর প্রচলিত শক্তির ভাণ্ডার ক্রমশ নিঃশেষিত। তাই খোঁজ পড়ছে বিকল্প শক্তির। আর সেই খোঁজেই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৈরি করে ফেলল আস্ত একটি সৌরগ্রাম। সৌজন্যে বি এ ডি পি (সীমান্ত অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প)। ৩২ বর্গকিমি এলাকা ও ২২৭৫০ মানুষের বাসুরিয়া গ্রাম সংসদ সৌরশক্তির জনপ্রিয়করণে একটি দৃষ্টান্ত। দশটি গ্রাম সংবলিত এই সংসদে ১০৩টি সৌরবাতি রয়েছে। গঙ্গারামপুরের তৎকালীন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক হিমাদ্রি সরকার জানান, ‘বি এ ডি পি -তে মডেল গ্রাম হিসেবে বাসুরিয়া’কে গড়ে তুলতেই ২০০৭-০৮-এ এই সৌরগ্রাম তৈরির পরিকল্পনা।’ আর বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবুল হাঁসদা, পঞ্চায়েত সহায়ক অচিন্ত্য পাল কিংবা গ্রাম রোজগার সেবক সেকান্দার আলি সমস্বরে বললেন ‘বাসুরিয়াকে আমরা মডেল হিসেবে সমগ্র ভারতে তুলে ধরতে চাই। বাসুরিয়াতেই যে সমস্ত অঞ্চলে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, সেখানে অবিলম্বে সৌরবাতির ব্যবহার করে আঁধার দূর করতে চাই।’ তৎকালীন ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার এই প্রকল্প বাসুরিয়া কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
|
প্রকৃতিপাঠ |
প্রকৃতিকে চিনতে পাঁচটি রাত কাটাল তাঁবুতে। কংক্রিটের জঙ্গল থেকে বহু দূরে ওদের ক্যাম্প গাড়ুচিরায়। মনে ওদের জঙ্গল আর পাহাড় ছুঁয়ে দেখার অদম্য আবেগ। এমনই ১৩০ জন শিশু, কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে হয়ে গেল প্রকৃতিপাঠ শিবির। আয়োজক প্রকৃতিপ্রেমী সংস্থা ন্যাফ। পাহাড়, সমতল আর বনভূমির এক অপরূপ সঙ্গমস্থল গাড়ুচিরা। উত্তরে ভুটানের পাহাড়ের বুকে সবুজের গালিচা, দক্ষিণে ঘন সবুজ বনানী আর সমতল চোখ জুড়ানো তৃণভূমি। তাঁবুর নাম করণেও ছিল প্রকৃতিপ্রেমের ছোঁয়া। কোনটি মহানন্দা, কোনটি রেতি কিংবা সংকোশ বা রায়ডাক। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ওই শিবিরের সূচনা করেন মাদারিহাটের বিধায়ক। ন্যাফ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু জানান, গাড়ুচিরাতেই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রকৃতিপাঠ শিবির শেষ হয়েছে ২৩ অগস্ট। অন্যদের নিয়ে একই শিবির শেষ হল ৩০ অগস্ট। প্রতি দিন সকাল হতেই ওরা ছোট ছোট দলে বেরিয়ে পড়ত প্রকৃতি চিনতে, জানতে। শান্ত গাড়ুচিরা ছিল কচি-কলরবে মুখরিত। ওদের মানসিক বিকাশের জন্যই এ ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয় বলে অনিমেষবাবু জানান। সহযোগিতার আশ্বাস দেন ডিএফও। |
উত্তরের কড়চা বিভাগে ছবি ও লেখা দিলে পুরো নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করবেন।
উত্তরের কড়চা
এ বি পি প্রাঃ লিমিটেড
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|
|
|
|
|
|