|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বড় জমায়েতের ডাক |
তৃণমূল-স্তরে লাগাতার সভার সূচি শাসকদলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভায় মাঠ ভরাবে তাঁর দল। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের ডাক দিয়েছে জেলা তৃণমূল। তবে সরকারি সভা বলে দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মীরা যাবেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ মুড়ে দেওয়া হবে দলীয় পতাকায়। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোর-কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সংগঠনকে মজবুত করতেও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবারের বৈঠকে। ভাইফোঁটার পর থেকে ব্লক ও পঞ্চায়েতস্তরে নিয়মিত কর্মিসভা এবং প্রতিটি ব্লকে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তৃণমূল সরকারের কাছেও বর্তমানে জঙ্গলমহলে মাওবাদী-মোকাবিলা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। মাওবাদীদের আক্রমণের নিশানা হচ্ছে এখন তৃণমূলও। যদিও সম্প্রতি মাওবাদীরা শর্তসাপেক্ষে অস্ত্র-সংবরণের প্রস্তাবও রেখেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক ভাবে মাওবাদী-মোকাবিলায় জোর দিচ্ছে সরকার। চলতি সপ্তাহে তাই যুব তৃণমূলের ব্যানারে ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক সভা আয়োজনের কথা ছিল প্রথমে। যদিও পরবর্তীকালে সেই সভা সরকারি অনুষ্ঠানের রূপ নিচ্ছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং হাজির থাকবেন। তাই সভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত করে জনভিত্তির জানান দিতে চাইছেন শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।
সোমবার দলের জেলা কোর কমিটির বৈঠকে প্রতিটি ব্লক থেকেই কর্মী-সমর্থকদের ঝাড়গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য জেলা কোর কমিটি অবশ্য কোনও বাসের ব্যবস্থা করছে না বা আথির্ক সাহায্য করছে না। ব্লক বা পঞ্চায়েতস্তরে দলীয় নেতৃত্বকেই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী গাড়ি ভাড়া করে লোক জমায়েত করতে হবে। তবে সেই গাড়িতে কোনও দলীয় পাতাকা ব্যবহার করা যাবে না। কারও হাতেও দলীয় পতাকা থাকবে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ও জেলার মানুষ যে সরকারের পক্ষে রয়েছেন তা বোঝাতে লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হবেন। সরকারি অনুষ্ঠান হওয়ায় কেউ পতাকা নিয়ে যাবেন না।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথকে জোড়াফুলে মুড়ে দেওয়া হবে।
অন্য দিকে, জেলার বেশ কিছু এলাকায় দলের ছন্নছাড়া দশা কাটাতে এ বার বিভিন্ন-স্তরে কমিটি-সদস্যদের নামের তালিকা তলবের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে দলের কাজকর্মে সমন্বয়ের জন্য এক জন করে দায়িত্বপ্রাপ্তও হচ্ছেন। যাঁরা অভিযোগ শুনবেন, তদন্ত করবেন, জেলা কমিটিকে রিপোর্ট পাঠাবেন। সেই রিপোর্ট ধরেই পরবর্তীকালে ব্লকস্তরে বৈঠক হবে। জোর-জুলুম, তোলা আদায়, দলবিরোধী কাজের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কেশপুর, গড়বেতায় সরাসরি জেলা নেতৃত্বই তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। কেশপুরের ব্লকস্তরে সাংগঠনিক কমিটির তালিকা করবেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী আর গড়বেতায় এই দায়িত্ব পালন করবেন শালবনির ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহ ও মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি উত্তরা সিংহ। তাঁদের সাহায্য করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলানেতা শ্যাম পাত্র ও বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে।
কিছু দিনের মধ্যেই ভোটার তালিকায় নাম সংযোজনের কাজও শুরু হবে। তা খতিয়ে দেখতে প্রতিটি বুথে এক জন করে কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে তা ঠিক করতে জেলার ১৯টি বিধানসভা এলাকায় ১৯ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই বুথস্তরে কর্মী বেছে নেবেন। |
|
|
|
|
|