টুকরো খবর
পাল্টে যাচ্ছে আই লিগের লোগো
বদলে যাচ্ছে আই লিগের পরিচিত লোগো। দু-তিন দিনের মধ্যেই এআইএফএফ প্রকাশিত করবে আই লিগের নতুন লোগো। আই লিগ শুরুর মুখে বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে জাতীয় ফুটবল সংস্থা। বেছে নেওয়া হচ্ছে একটি। এ দিকে আই লিগের জন্য মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-প্রয়াগ ইউনাইটেড কবে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে নামবে তা এখনও ঠিক করতে পারেনি আই এফ এ। তবে প্রিমিয়ার লিগের বাকি দলের খেলা শুরু হচ্ছে ১৪ অক্টোবর থেকে। আই লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল নামছে ২২ অক্টোবর। পর দিনই খেলবে মোহনবাগান এবং প্রয়াগ। আই লিগে খেলা দলগুলির কলকাতা লিগ শুরু হবে ২৪ অক্টোবরের পর থেকে। আর্জেন্তিনা-ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পর ফের কলকাতায় হতে চলেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। যুবভারতীতে ভারতের বিরুদ্ধে ১৬ নভেম্বর খেলবে মালয়েশিয়া। যা পরিস্থিতি, তাতে জাতীয় দলের সহকারী কোচ স্যাভিও মিদেইরা ছাড়া কাউকে কোচ পাচ্ছে না এ আই এফ এফ।

টেস্ট গড়াপেটার খরচ সাড়ে সাত কোটি টাকা
একটা টেস্ট ম্যাচের দাম স্রেফ দশ লক্ষ পাউন্ড! অর্থাৎ সাড়ে সাত কোটি টাকারও বেশি। এমনই দাবি করছেন ব্রিটেনে বসবাসরত এবং এখন বিলুপ্ত ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর আন্ডারকভার রিপোর্টার মাজহার মেহমুদ। লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে চলছে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান বাট এবং মহম্মদ আসিফের বিচার। আজ জুরিদের শোনানো হল একটি টেপ, যেখানে অভিযুক্ত স্পোর্টস এজেন্ট মাজহার মজিদ বলছেন, “এই ব্যাপারটায় (ম্যাচ গড়াপেটা) প্রচুর অর্থ, যার কোনও সীমা নেই। ভাবা যায় না, ভারতে জুয়াড়িরা এটা থেকে কী পরিমাণ টাকা করছে।” মজিদের কথোপকথন থেকে জানা যাচ্ছে, ম্যাচের কোনও ঘটনা বা স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য খরচ ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পাউন্ড। আর ফলাফলে গড়াপেটা করতে হলে টি-টোয়েন্টিতে খরচ চার লক্ষ পাউন্ড আর টেস্ট ম্যাচে দশ লক্ষ পাউন্ড। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার তাঁর টেপ শোনান নেপথ্যে থেকে। কারণ বিচারকের কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন, চেহারা প্রকাশ্যে এলে তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে। সেই মতো বিচারক নির্দেশ দেন, প্রচারমাধ্যমে কোথাও সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তাঁর ছবি বা স্কেচ প্রকাশ করা যাবে না। ও দিকে, সালমান বাট আর মহম্মদ আসিফ নিজেদের ইতিমধ্যেই নির্দোষ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন। ব্রিটেনের প্রচারমাধ্যমে এই স্পট ফিক্সিং মামলা নিয়ে যথেষ্ট হইচই হচ্ছে। এ-ও খবর আইসিসি-র দুর্নীতিদমন শাখা এই মামলার প্রতি নজর রেখে চলেছে।

ইন্ডোর ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জিতল ভারত
ধোনির টিমের বিশ্বকাপ জয়ের বছরেই আর এক ভারতীয় দল ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করল। আর সেই জয়ে নেতৃত্ব দিলেন এক বাঙালি। কলকাতার অপরূপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ইন্ডোর ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে নিল ভারতীয় দল। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে তারা হারাল ৭ রানে। ইন্ডোর ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ম্যাচ ১৬ ওভারের হয়। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে অপরূপের ভারত তোলে ১০০। তার পর ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দেয় ৯৩ রানে। তেরো বছর ধরে ইন্ডোর ক্রিকেটের বিশ্বকাপে খেলছে ভারত। কিন্তু এই প্রথম কোনও ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জিতল। সে দিক দিয়ে সৌরভের শহরের আর এক তরুণ অপরূপ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন। বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবের মধ্যে ইংল্যান্ড থেকে এসএমএস মারফত অধিনায়ক অপরূপ বলেছেন, ‘‘আমাদের দীর্ঘ তেরো বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বিশ্বকাপ জেতার জন্য। ইতিহাস তৈরি করা এই দলটার ক্যাপ্টেন আমি ভেবে খুব গর্ব হচ্ছে। দারুণ কিছু প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার এ বার আমাদের দলে ছিল। সকলের চেষ্টাতেই আমাদের স্বপ্ন সফল হয়েছে।” মাত্র কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ডে বিধ্বস্ত হয়ে ফিরেছে ধোনির বিশ্বজয়ী টিম। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইন্ডোর ক্রিকেটের বিশ্বকাপ জিততে পেরেছেন বলে তাই বাড়তি আনন্দ পাচ্ছেন অপরূপ। বলছেন, “আমরা কোথাও তো একটা উত্তর দিতে পারলাম।”

ডুরান্ডে বিদায় মহমেডানের

চার্চিল ব্রাদার্স-২ (বেটো- পেনাল্টি, লালরেনডিকা)
মহমেডান-০
খেলার পাঁচ মিনিটেই লাল কার্ড ও পেনাল্টি। শেখ আজিম অযথা রেফারিকে গালাগাল করে লালকার্ড দেখলেন। দশ জনের মহমেডান এর পরে আর কতটা লড়াই করবে। মহমেডান হারল ০-২। এক গন্ডা গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে ডুরান্ড কাপে তাদের যাত্রা শেষ। খলনায়ক শেখ আজিম। চার্চিলের সঙ্গে সেমিফাইনালে গেল পুণে এফ সি। পিছিয়ে পড়েও এয়ার ইন্ডিয়াকে ২-১ হারিয়ে। পুণের প্রতিপক্ষ প্রয়াগ ইউনাইটেড। শেখ আজিম মাঠ থেকে উঠে যাওয়ায় অলোক মুখোপাধ্যায় বাধ্য হয়ে সুরয মণ্ডলকে তুলে ফরোয়ার্ডে শুধু হ্যান উককে রেখে মাঝমাঠে আনেন মহম্মদ মুখতারকে। এর মধ্যে গোল নষ্ট করে গেলেন মহমেডানের অনেকে। চার্চিল দ্বিতীয় গোলটি পায় খেলা শেষ হওয়ার মুখে। আর্নডের ক্রস মহমেডান বক্সে ঢোকার মুখে বেটো ফ্লিক করে দেন লালরেনডিকাকে। তাঁর হাল্কা বাঁ পায়ের শট সুখদেবের হাত ফস্কে গোলে ঢোকে।

সেরা শিখ ক্রীড়াবিদ হরভজন
চলতি বছরের সেরা শিখ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেলেন হরভজন সিংহ। লন্ডনে বিশ্ব শিখ পুরস্কারের অন্তর্গত এই বিভাগে হরভজন নির্বাচিত হলেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর ভূমিকার জন্য। গতকালই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলার জন্য হরভজন অবশ্য পুরস্কার নিতে যেতে পারেননি। তবে এই পুরস্কার তাঁকে এমন সময়ে দেওয়া হল যখন ধোনির এক দিনের দল থেকে বাদ পড়েছেন হরভজন।

পার্কিনসন্সে আক্রান্ত জানশের খান
স্কোয়াশ কিংবদন্তি জানশের খান দূরারোগ্য পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পাকিস্তানি তারকার চিকিৎসক আজ এই খবর জানিয়েছেন। আট বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ছ’বারের ব্রিটিশ ওপেন চ্যাম্পিয়ন জানশের খবরটা শোনার পর প্রাথমিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপর রোগের সঙ্গে লড়াই করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন। বলেছেন, “আমি মনে করি সব কিছুই ঈশ্বরের ইচ্ছা। আমি শুধু নিজের কাজটা করে যাব।” জানশের এখন পাকিস্তানে স্কোয়াশ ফেডারেশনের প্রধান কোচ। তবে গত ছ’মাস তিনি মাঝে মাঝেই হাত কাঁপা, মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলার মতো সমস্যায় ভুগছিলেন। এতদিনে আসল রোগ ধরা পড়ল। চিকিৎসক জাফর জানিয়েছেন, রোগ আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে।

কলকাতার মিটেও ডোপিং
মাসকয়েক আগে দেশের বৃহত্তম ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন সেরা অ্যাথলিটরা। তাতেও বোধোদয় হয়নি। গত মাসে যুবভারতীতে জাতীয় ওপেন মিটেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। নাডা-র ডিরেক্টর জেনারেল রাহুল ভাটনগর সোমবার জানান, ৯৩ জন অ্যাথলিটের মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়। ৩ জনের নমুনা ‘পজিটিভ’। তিনি অবশ্য কারও নাম বলেননি। সে জন্য দোষী তিনের মধ্যে ওপেন মিটের উদ্যোক্তা বাংলার কোনও অ্যাথলিট আছেন কি না তা জানা যায়নি। তবে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, “বাংলার কেউ থাকতেই পারে না।”

সোমদেবের হার
নড়বড়ে নাদালের বিরুদ্ধে খেলার মহাসুযোগ হাতছাড়া করলেন সোমদেব দেববর্মন। লিয়েন্ডার পেজ-মহেশ ভূপতির অবশ্য এখনও সেই সুযোগ রয়েছে। সোমবারই শুরু হওয়া সাংহাই মাস্টার্সে। ঘটনা হল, সিঙ্গলসে প্রথম রাউন্ড জিতলেই সোমদেবের ড্র অনুযায়ী পরের ম্যাচ খেলার কথা ছিল ‘বাই’ পাওয়া রাফায়েল নাদালের সঙ্গে। প্রথম রাউন্ডে ৪-৬, ৩-৬ হেরে যান আর এক স্পেনীয় গুলেরমো গার্সিয়া লোপেজের কাছে। যাঁকে এ মরসুমেই আগে দু’বার হারিয়েছেন সোমদেব।

জিতলেন ঋদ্ধিরা
চ্যালেঞ্জার ট্রফির প্রথম ম্যাচে ইন্ডিয়া ব্লু-র বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেটে জিতল গৌতম গম্ভীরের ইন্ডিয়া রেড। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪-৮ তোলে ইন্ডিয়া ব্লু। হাফসেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক বদ্রিনাথ (৫৬) এবং মনদীপ সিংহ (৫০)। জবাবে পনেরো বল বাকি থাকতেই ২৭৫-৫ তুলে দেয় ইন্ডিয়া রেড। অভিনব মুকুন্দের সেঞ্চুরির (১২৭) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ঋদ্ধিমান সাহার (অপরাজিত ৬৫)।

অন্য খেলায়
ভবানীপুর ব্যায়াম সঙ্ঘের পরিচালনায় টেবল টেনিসে বিভিন্ন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়, শৌভিক কংসবণিক, শিবাজি রায় এবং সুরভী পাটওয়ারি ও অনিশা নন্দী (দ্বিমুকুট)।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.