রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আরামবাগ মহকুমায় ৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ জানায়, আরামবাগের বসন্তপুরে অশ্বিনী মালিক (৫২) নামে এক দিনমজুর খালের জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, তাঁর মৃগী রোগ ছিল। শৌচকর্মে গিয়ে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যান জলে। চন্দ্রবান গ্রামের দু’টি পাড়ায় তারকনাথ গড়াই (২৩) এবং লক্ষ্মীনারায়ণ মান্না (৪৫) নামে দুই ব্যক্তির গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই তাঁরা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। জোতরানা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন সুজিত বর (২৪) নামে এক যুবক। নিজের বাড়ির স্যুইচ বোর্ড মেরামত করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া, পারিবারিক অশান্তির জেরে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পান্থহরি গ্রামের বধূ পূর্ণিমা মহান্ত (৪২) বিষ পান করে আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবারের লোক তাঁকে ভর্তি করেছিল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। পাঁচটি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
গাড়ি ও লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। অরুণ দত্ত (৫০) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি চুঁচুড়ার প্রিয়নগরে। সোমবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় আহত হন আরও দু’জন। তাঁদের শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন পরিবারকে নিয়ে গাড়িতে চুঁচুড়ায় ফিরছিলেন অরুণবাবু। ভদ্রেশ্বরে দিল্লি রোডে বিঘাটি মোড়ের কাছে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দেয় উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে মারা যান অরুণ।
|
স্ত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার, বালি থানার ভোটবাগানে। মুখ ও দেহের উপরের অংশ ঝলসে যাওয়া অবস্থায় জাহিরা খাতুন নামে ওই বধূ (৩৫) জয়সোয়াল হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্ত স্বামী শেখ জলিল পলাতক। পুলিশ জানায়, হাওড়ার পিলখানার বাসিন্দা ওই দম্পতির অশান্তি চলছিল বহুদিন ধরেই। বছর দেড়েক আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন জাহিরা। পুলিশ জেনেছে, সেখানেই এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ দরজায় ধাক্কা শুনে দরজা খুলে জাহিরা দেখেন বাইরে জলিল দাঁড়িয়ে। অভিযোগ, একটি অ্যাসিড ভর্তি প্লাস্টিকের কৌটো স্ত্রীর মুখে ছুঁড়ে মারেন জলিল। জাহিরার চিৎকারে বাড়ির অন্যরা বেরিয়ে এলে জলিল পালায়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
গাড়ির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার সোমরুক গ্রামে। মৃতের নাম মুরারী কয়াল (৭০)। পুলিশ জানায়, রাত ৯টা নাগাদ গাড়িটি আসছিল বোয়ালিয়া-বীরশিবপুর রোড ধরে। সোমরুকে কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি এসে মুরারীবাবুকে ধাক্কা মারে। তারপরে তাঁকে ঠেলে নিয়ে ঢুকে যায় রাস্তার পাশেই একটি এসটিডি বুথে। গুরুতর আহত অবস্থায় মুরারীবাবুকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পরেই চালক পালিয়ে যায়। |