রাজীব গাঁধীর তিন হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড মামলা মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে সরানোর আবেদনের বিরোধিতা করল তামিলনাড়ু সরকার। আজ সুপ্রিম কোর্টে তামিলনাড়ু সরকারের অতিরিক্ত আইনজীবী গুরুকৃষ্ণ কুমার ওই মামলা সরানোর আবেদনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, ওই মামলার স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত শুনানির জন্য রাজ্যের পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে সুপ্রিম কোর্টে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা সরাতে যিনি আর্জি জানিয়েছেন, সেই আবেদনকারী এল কে বেঙ্কটের যুক্তির গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিলনাড়ু সরকারের আইনজীবী। বেঙ্কটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এল নন্দকুমার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন, তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি যে রকম ‘অরাজক এবং জটিল’, তাতে রাজীব-হত্যাকারীদের মামলার ঠিকমতো শুনানি সম্ভব নয়। কারণ, ওই রাজ্যে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী এলটিটিই-র বহু সমর্থক হত্যাকারীদের পক্ষে স্লোগান দিয়ে বিচারবিভাগীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তিনি জানান, ৩০ অগস্ট, রাজীব-হত্যাকারীদের শুনানির সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট চত্বরে অন্তত ৫ হাজার লোক জমা হয়ে বিচারকাজে বিঘ্ন ঘটিয়েছিল। কয়েক জন রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি রাজ্যও হত্যাকারীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আজ দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি এবং বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দিতে। পরবর্তী শুনানি ১৯ অক্টোবর।
|
ভাট্টা-পারসল গ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ এবং ১ জন প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি) কম্যান্ডান্টের আর্জি খারিজ করে তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে মামলা করারই নির্দেশ দিল নয়ডার এক আদালত। আজ জেলা ও দায়রা বিচারক এই নির্দেশ দিয়ে বলেন, “অভিযুক্তদের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল।” গত মাসে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল। গত ৭ মে এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে নয়ডার এক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ভাট্টা-পারসল গ্রামে কৃষকদের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। মায়ার পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিল। একই অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গাঁধীও। সেই ঘটনায় জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে বলায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে মায়ার সরকার। তাই সরকার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতে হলফনামাও দিয়েছিল।
|
জমি বিবাদের জেরে এক কিশোরীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল গ্রামবাসীরা। কাল ঘটনাটি ঘটেছে বৈশালী জেলার মহুয়া ব্লকের বিজরৌলি-নুনফার গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, হরেন্দ্র এবং সুরেশ, দুই ভাই একই পরিবারের দুই বোনকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। সম্প্রতি একটি জমিকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। কাল সকালে সুরেশের ঘনিষ্ঠ হরিসুধন বলে এক ব্যক্তিকে রাস্তায় আটকে বেধড়ক পেটায় হরেন্দ্র এবং তার লোকজন। এই খবর পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায় পুরো গ্রামে। উত্তেজিত জনতা গিয়ে প্রথমে হরেন্দ্র এবং সুরেশ, উভয়ের ঘরেই আগুন লাগিয়ে দেয়। এর পরে হরেন্দ্রর মেয়ে গুঞ্জন কুমারীকে আগুনে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় গুঞ্জনের। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন গুঞ্জনের মা এবং বোনও। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিরহুত রেঞ্জের ডিআইজি বাচ্চু সিংহ মিনা জানিয়েছেন, ঘটনার পরে পুলিশ পৌঁছলে তাদের উপরেও হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। এর পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। মিনা বলেন, “আমরা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছি। পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, তদন্তে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
আত্মসমর্পণ করলে জঙ্গিদের জন্য বিএসএফ, আসাম রাইফেল্স বা সিআরপিএফ-এ চাকরির আশ্বাস দিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ। তিনি জানান, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি চেয়েছে মণিপুর। আজ ইউপিপিকে জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সেই অনুষ্ঠানেই এই ঘোষণা করেন ইবোবি। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের নানা বিভাগেও আত্মসমর্পণকারীদের কর্মসংস্থান হবে।” চার জঙ্গি মায়ানমার শিবির থেকে ৮ অক্টোবর পালিয়ে আসে। তারা তিনটি জার্মান হেকলার কোচ-৩৩ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও মায়ানমারে তৈরি এ-১ রাইফেল জমা দিয়েছে। ডিজি ওয়াইনাম জয়কুমার জানান, গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই চার জঙ্গিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে কথা চলছে। তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও সতর্ক থাকবে রাজ্য সরকার।
|
বড় ছেলের আক্রমণ থেকে ছোট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে কামরূপের বকোতে। ঘটনার শুরু মাত্র ৫০ টাকা নিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল রাতে জালুকবাড়ি গ্রামে, তরুণ ঠাকুরিয়া দুই ছেলের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন। খাওয়ার সময়েই বড় ছেলে উপেন ছোট ভাই লখেশ্বরের কাছ থেকে ধার নেওয়া ৫০ টাকা ফেরত চায়। টাকা না পেয়ে খেপে ওঠে উপেন। রাতে সকলে শুয়ে পড়ার পরে, উপেন দা নিয়ে লখেশ্বরকে হত্যা করতে যায়। চীৎকারে ঘুম ভেঙে বের হয়ে আসেন তরুণবাবু। বড় ছেলের পথ আটকান তিনি। বাধা পেয়ে উপেন বাবাকেই কুপিয়ে মারে। গ্রামবাসীরা উপেনকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সে-ও হাসপাতালে ভর্তি।
|
আদিম জনজাতিভুক্ত শবর-সমাজের দুই যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত রাতে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ডুমরিয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। জামশেদপুরের হাসপাতালে তাঁদের মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত দুই ব্যক্তি হলেন রুংদা শবর (৪২) ও দুন্দা শবর (৩৫)। ডুমরিয়ার বোমরো গ্রাম থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পূর্ব সিংভূমের এসএসপি অখিলেশ কুমার ঝা বলেন, “কাজরিকোচা গ্রাম থেকে মেলা দেখে ফেরার পথে ওই দুই যুবক কারও সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি। ওই ঝগড়ার জেরেই সম্ভবত দু’জন খুন হয়েছেন। তদন্ত চলছে।” |