ফের দুষ্কৃতী-হামলা হল ট্রেনে।
মঙ্গলবার ভোরে পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের তিলডাঙা ও ফরাক্কা স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল নিউজলপাইগুড়িমুখী দার্জিলিং মেল। সেই সুযোগেই চড়াও হয় ৩০ জন দৃষ্কৃতী। অভিযোগ, চারটি সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল, সোনার গয়না-সহ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় তারা। হামলায় ৭ যাত্রী জখম হন। সকালে ট্রেনটি মালদহে ঢোকার পরে যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মালদহ টাউন স্টেশনে রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চার যাত্রী। স্টেশনের রেল পুলিশের আইসি সুজিত ঘোষ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” তবে রাত পর্যন্ত রেল পুলিশ ডাকাতদের হদিস পায়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ফরাক্কা স্টেশনের অনেক আগে একটি ফাঁকা জায়গায় ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। তখনই এস-২, ৫, ৭ এবং ১০ নম্বর সংরক্ষিত কামরায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মহিলাদের গলার চেন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি, কামরার ভিতরে ঢুকেও তারা জিনিসপত্র কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। রেল পুলিশকে যাত্রীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে লুঠপাট চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জলপাইগুড়ির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ অগ্রবাল কলকাতা থেকে ওই ট্রেনেই বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা, “আমার সামনের এক যাত্রীর হাত কামড়ে দুষ্কৃতীরা সোনার চেন, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।” ওড়িশার বাসিন্দা সুপ্রিয়া পাণিগ্রাহী ডুয়ার্সে যাবেন বলে দার্জিলিং মেল ধরেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, নগদ ১১ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল কেড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব পূর্ব রেলের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঠিক কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন রেল কর্তৃপক্ষ।” মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম হর্ষ কুমার বলেন, “দার্জিলিং মেলে ডাকাতির ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে রেলের কারও যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিলিগুড়ির রেল পুলিশ সুপার শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, “যাত্রীরা মালদহ টাউন জিআরপিতে মামলা করেছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |