নাপোলিই আমাকে ফুটবল জীবনের কথা মনে করাচ্ছে
ভারতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে কতটা বাড়ছে, সেটা আর্জেন্তিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচে সমর্থকদের ভিড় দেখেই বোঝা গিয়েছিল। কল্পনা করার চেষ্টা করছি, লিওনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে ভারতীয়রা কত খুশিই না হয়েছে! আশা করব, ফুটববলের নামী টিম এবং তারকাদের ভারতে আসা সবে শুরু হল। ঠিক যেমন আমিও আগে গিয়েছিলাম ভারতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে।
ইউরোপের ফুটবল-মরসুমের কথায় এ বার আসি। মরসুম চালু হয়ে গিয়েছে এবং ম্যাঞ্চেস্টার, চেলসি, বার্সেলোনা, মাদ্রিদ, মিলান, বায়ার্ন-সব ক্লাবের কোচদেরই দেখছি, খুব সতর্ক হয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টিম নামাচ্ছে। যাতে সব ক’টা প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়া যায়। আশ্চর্যের হচ্ছে, এই মুহূর্তে লা লিগায় এক নম্বর জায়গায় বেটিস। ওদের কোচ মেলের হাতে প্রতিভাবান রকি সান্তা ক্রুজ ও মাতিলার মতো ফুটবলার আছে। যারা ভাল ফল করতে সাহায্য করবে। লা লিগার দুই মহাশক্তি বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের শুরুটা ঢিমে গতিতে হলেও ইউরোপে ওরা সহজেই জিতেছে। বার্সার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার জন্য মোরিনহোর হাতে রয়েছে ওজিল, রোনাল্ডো, কাকা এবং তাঁর পাল্টা আক্রমণ করার স্টাইল। গুয়ার্দিওলা টিমের ফুটবলারদের চোট নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। যেমন ইনিয়েস্তা ও পুওল। কিন্তু মেসি-জাভি-পুওল অ্যান্ড কোম্পানি এখনও স্পেন ও ইউরোপে অপ্রতিরোধ্য। ইপিএলে ছড়ি ঘোরাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। কোচ মানচিনি আমাপ জামাই আগেরোকে কিনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ইতিমধ্যেই আটটা গোল করেছে। দুর্ভাগ্যজনক, ও তেভেজকে পাচ্ছে না যা তেভেজ এবং টিমের পক্ষে ক্ষতিকারক। বালোতেল্লি ও জেকো নীল জার্সির দলের সামনের দিকে সেরা শক্তি। ও দিকে, স্যর আলেক্স ফার্গুসনের সৌজন্যে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড যেটা সবচেয়ে ভাল পারে সেটাই করে যাচ্ছে----জয়। রুনি আর নানি তো রয়েইছে সঙ্গে আছে চিচারিতো আর ওয়েলবেক। ইপিএল জেতার জন্য লাল দলই ফেভারিট। স্পেনের দশ নম্বর মাতাকে এনে খুব ভাল চাল দিয়েছে চেলসি। আনেলকার সঙ্গে ওকে খেলানো হচ্ছে তোরেসকে সামনে রেখে। পিছন থেকে টেরিকে সাহায্য করছে ডেভিড লুইস। কিন্তু ল্যাম্পার্ডকে মাঝে মাঝে বাইরে বসে থাকতে দেখে খারাপ লাগছে। কোনও সন্ধেহ নেই, এ বার ইপিএল-এ ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দিতা হবে।
মেসির বার্সা এখনও অপ্রতিরোধ্য
ইতালিতে সিরি-‘এ’-তে আমার টিম নাপোলি দারুণ খেলছে। লাভেজ্জি-কাভানি এবং হ্যামসিক আমাকে আমার ফুটবল-জীবনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে যখন আমি কারেকা এবং জির্য়াদানোকে জুড়ি করে খেলতাম। এবং দু’বার লিগ জিতেছিলাম। নাপোলি ইউরোপে খুব ভাল খেলছে। যার নেতৃত্বে ক্লাব মালিক অরেলিও দ্য লরেন্টিস এবং কোচ মাজ্জারি। আন্দ্রে পির্লোকে কিনে জুভেন্তাসও প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছে। পির্লো কিন্তু বিশ্বকাপে ইতালিকে তুলেছে আর মিলানকে বেশ কিছু চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়েছে। আমি নিশ্চিত, চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য জুভেন্তাসের হয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। দুই প্রথম সারির টিম ইন্টার এবং মিলান ধীরে শুরু করেছে। ইন্টার প্রথমে তরুণ কোচ গাসপেরিনিকে নিয়েছিল। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কোচ বদলে রানিয়েরিকে এনেছে। মিলানের হয়ে রয়েছে ইব্রাহিমোভিচ, কাসানো এবং পাতো। ইন্টার এবং মিলানই লিগ জয়ের দাবিদার। কাছাকাছি থাকবে নাপোলি ও জুভেন্তাস।
অন্য লিগগুলোয় ফ্রান্সে পারি স্যাঁ জাঁমেইন খুব ভাল খেলছে। দলে রয়েছে তরুণ আর্জেন্তিনীয় পাস্তোরে, মেনেজ ও মাতুইদি। কোচ রেমি গার্দের হাত ধরে লিয়ঁ সবার আগে। জার্মানিতে সেরা বায়ার্ন মিউনিখ। গোলকিপার নয়ার আসার সঙ্গে সঙ্গে ওদের ডিফেন্স খুব মজবুত হয়েছে। এ ছাড়াও আছে রাফিনহা, বোয়াতেং ও লাম। সঙ্গে যোগ করুন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সোয়াইনস্টাইগারকে। ফরোয়ার্ড লাইনে থাকছে গোমেজ, রিবেরি ও মুলার। জার্মানির সেরা তো বটেই এরা ইউরোপ সেরা হওয়ারও ক্ষমতা রাখে। জার্মানিতে ওদের চ্যালেঞ্জ জানাবে ওয়াডার ব্রেমেন এবং অপেক্ষাকৃত ছোট দল বোরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাডব্যাচ। গত বছরের চ্যাম্পিয়ন ডর্টমুন্ড অন্যদের তুলনায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। ইউরোপের সব ফুটবলারই বিভিন্ন লিগে খেলে নিজের নিজের জাতীয় দলের কোচের চোখে পড়তে চাইবে। কারণ সামনেই আসছে ইউরো ২০১২। কাজেই দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রচুর গোলের সম্ভাবনা সহ একটা মরসুমের আশা করা যায়।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.